বিসিএস ভাইভার জন্য বরাদ্দ ২০০ নম্বর। কাঙ্ক্ষিত ক্যাডার পেতে ভাইভায় ভালো করাটা খুব জরুরি। বিসিএস ভাইভার প্রার্থীদের ব্যাপারে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক এক আলোচনায় বলেছিলেন, ‘প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীর জ্ঞান যাচাই করা হয়। যাঁরা লিখিত পরীক্ষায় ভালো করেছেন, তাঁরাই ভাইভায় ভালো (নিশ্চিতভাবে) করবেন, বিষয়টি এমন নয়! ভাইভার মাধ্যমে প্রার্থীর আর্টিকুলেশন, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, উপস্থাপনা, গেটআপ ইত্যাদিও দেখা হয়।
৪১তম বিসিএসের ভাইভা প্রস্তুতি
- ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হবে শিগগিরই। ভাইভার জন্য প্রার্থীদের এখন থেকেই নিতে হবে প্রস্তুতি। দরকারি পরামর্শ দিয়েছেন ৪০তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত মো. সাদরুল আলম সিয়াম
অন্যান্য

যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম
ভাইভা পরীক্ষার যদিও নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস নেই, তবু ধরে নেওয়া হয় মোটামুটি ৪টি বিষয় থেকে প্রার্থীকে প্রশ্ন করা হয়। তাই আমি সিলেবাসকে ৪টি ভাগে ভাগ করে নিয়েছিলাম—
১. নিজ সম্পর্কে, নিজ জেলা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অনার্সে পঠিত বিষয় সম্পর্কে।
২. বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান সম্পর্কে।
৩. ক্যাডার চয়েস সম্পর্কে।
৪. সাধারণ জ্ঞান ও সাম্প্রতিক সময়ের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে।
১। নিজ সম্পর্কে, নিজ জেলা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অনার্সে পঠিত বিষয় :
প্রার্থীদের প্রায়ই নিজ নামের অর্থ, নামের সঙ্গে মিল আছে, এমন বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ, পছন্দের বিষয় (ব্যক্তি/কাজ/গান/কবিতা/খেলাধুলা/সাহিত্যিক) ইত্যাদি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়।
২। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান :
প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে, দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে জানা অবশ্যকর্তব্য। এগুলো সম্পর্কে প্রায়ই প্রশ্ন করা হয় এবং উত্তর করতে না পারলে সেটাকে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরিবার, রাজনৈতিক জীবন, জেলজীবন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান, শাসনামল, ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর লিখিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইগুলো অবশ্যই পড়তে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রাখতে হবে। অনেক সময় মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত কী রেফারেন্স বই পড়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়। তাই কয়েকটি রেফারেন্স বই পড়ে রাখা ভালো।
সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো মনে রাখতে হবে। নিম্নের অনুচ্ছেদগুলো দেখে যেতে পারেন—২, ২ক, ৪, ৪ক, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ক, ১৯, ২১, ২২, ২৩, ২৩ক, ২৫, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১, ৩৩, ৩৪, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৪, ৪৬, ৪৮, ৪৯, ৫১, ৫২, ৫৫, ৫৭, ৫৯, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৪, ৭৫, ৭৬, ৭৭, ৮০, ৮১, ৮৪, ৮৭, ৮৮, ৯১, ৯৩, ৯৪, ৯৫, ৯৬, ৯৭, ১০১, ১০২, ১০৩, ১০৮, ১১০, ১১৭, ১১৮, ১১৯, ১২২, ১২৭, ১২৮, ১৩৭, ১৪০, ১৪১ক, ১৪১খ, ১৪১গ, ১৪২, ১৪৩, ১৪৫, ১৪৫ক, ১৪৬, ১৪৮। এ ছাড়া সংবিধানের সংশোধনী, প্রস্তাবনা, তফসিল, সংবিধান রচনার ইতিহাস, বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সম্পর্কেও জানতে হবে।
৩। ক্যাডার চয়েস : প্রার্থী যে ক্যাডারকে প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় চয়েসে রেখেছে তার সম্পর্কে বেসিক ধারণা আছে কি না তা জানতে চাওয়া হয়। কেন ওই ক্যাডারকে প্রথম বা দ্বিতীয় চয়েসে রাখা হয়েছে, ওই ক্যাডারের সঙ্গে নিজের পঠিত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিক উত্তর আগে থেকেই রেডি করে রাখা উচিত। কৃত্রিমতা পরিহার করে সহজ ও সুন্দরভাবে নিজের মতো করে উত্তর করাই শ্রেয়। পুরো ক্যাডার চয়েস লিস্টটাই জেনে রাখতে হবে। অনেক সময় লাস্ট চয়েস কী ও কেন দেওয়া হয়েছে তা-ও জানতে চাওয়া হয়। উল্লিখিত ক্যাডারগুলোর পদসোপান, সাংগঠনিক কার্যক্রম, কাজের কাঠামো, প্রধান প্রধান কাজ, চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি জানতে হবে।
৪। সাধারণ জ্ঞান ও সাম্প্রতিক সময়ের আলোচ্য বিষয় :
ভাইভা প্রস্তুতির সময় নিয়মিত পত্রিকা পড়তে হবে। দেশে ও বিদেশে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। ভাইভায় এ সম্পর্কিত বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্য জানতে চাওয়া হতে পারে। ম্যাপ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা, বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো, স্থানীয় সরকার, মেগাপ্রজেক্ট, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে হবে। ভাইভার দিনে বয়স, দিনটি কেন বিখ্যাত, ওই তারিখে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ইত্যাদি সম্পর্কেও জানতে হবে।
মক ভাইভা
ভাইভায় অংশগ্রহণ করার আগে কয়েকটি মক বা নমুনা ভাইভা দিতে পারেন। আয়নার সামনে কিংবা কয়েকজন বন্ধু মিলে ভাইভা অনুশীলন করলেও নার্ভাসনেস নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হয়। ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাসটাও বৃদ্ধি করতে পারেন।
সহায়িকা
বিগত বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের ভাইভা অভিজ্ঞতা জানার চেষ্টা করুন। কালের কণ্ঠের চাকরি আছে পাতায় ও ফেসবুকে প্রার্থীরা নিজ নিজ ভাইভা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। ক্যাডার চয়েস ও ভাইভা প্রস্তুতি সম্পর্কে গাইড বইগুলোও সংগ্রহ করুন। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে রেফারেন্স বই, বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লিখিত বইগুলো পড়তে পারেন। জেলা সম্পর্কে জানার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন ওয়েবসাইট কিংবা বাংলা একাডেমির বইটা দেখতে পারেন।
ভাইভায় আরো যাচাই করা হয়
১. প্রার্থীর ভদ্রতা, বিনয় ও পরিমিতিবোধ।
২. কতটা প্রেজেন্টেবল।
৩. ক্যাডার চয়েস সম্পর্কে জ্ঞান।
৪. আউটলুক।
৫. ভাষাগত দক্ষতা।
৬. সমসাময়িক বিষয়ে ধারণা, মানসিকতা ও উপস্থিত জ্ঞান।
উত্তর না পারলে
ভাইভায় উত্তর না পারলে ভণিতা না করে সরাসরি বলুন, ‘স্যরি স্যার। উত্তরটি আমার জানা নেই/উত্তরটি মনে করতে পারছি না।’ এমনও হতে পারে আপনি টানা ৪-৫টি উত্তর পারছেন না। এতে ভয় পাওয়ার বা ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। মাথা ঠাণ্ডা রাখুন। মনে রাখবেন, ভাইভা কেবল জ্ঞানের গভীরতা যাচাইয়ের পরীক্ষাই নয়; প্রার্থী কিভাবে কোন পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন, বিভিন্ন জটিল প্রশ্নের মাধ্যমে সেটাও যাচাই করা হয়।
যা করা যাবে না
১. ভুল কিংবা অনুমাননির্ভর তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হোন।
২. কোনো ব্যাপারে ইচ্ছাকৃত ভুল বা মিথ্যা কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
৩. অধিক পাণ্ডিত্য জাহির করতে যাবেন না।
৪. কোনোভাবেই বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে তর্কে জড়ানো যাবে না।
৫. সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা যাবে না কিংবা প্রশ্নের উত্তর মনে করতে গিয়ে বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না।
৬. রাজনৈতিক দর্শন প্রকাশ করা যাবে না।
৭. অতি সৌজন্যবোধ ও মাত্রাতিরিক্ত কনফিডেন্স না দেখানোই ভালো।
৮. প্রশ্নের গভীরতা না বুঝে উত্তর দেওয়া যাবে না।
৯. উত্তর দিতে গিয়ে চতুরতা কিংবা তাড়াহুড়া এড়িয়ে চলুন।
১০. আঞ্চলিকতা পরিহার ও শব্দচয়নে সতর্ক থাকতে হবে।
সম্পর্কিত খবর

বিমানবাহিনীর অফিসার ক্যাডেট হওয়ার সুযোগ
- ‘ডিই-২০২৬এ’ ও ‘এপিএসএসসি-২০২৬এ’ কোর্সে অফিসার ক্যাডেট নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। আবেদন করতে হবে অনলাইনে ২৭ আগস্ট ২০২৫ এর মধ্যে। নির্বাচনী পরীক্ষার ধাপ, পরীক্ষা পদ্ধতিসহ দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ

নির্বাচন পদ্ধতি ও পরীক্ষার ধরন
প্রথমে নেওয়া হবে প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষা। উত্তীর্ণদের দ্বিতীয় ধাপে নেওয়া হবে প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা। এরপর ধাপে ধাপে প্রাথমিক মৌখিক, আন্তঃবাহিনী নির্বাচন পর্ষদ (আইএসএসবি বা এসএসবি), কেন্দ্রীয় চিকিৎসা পর্ষদ (সিএমবি) কর্তৃক চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ক্যাডেট চূড়ান্ত নির্বাচন পর্ষদ (সিএসএসবি) পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং, এটিসি, এডিডব্লিউসি, ফিন্যান্স ও মিটিওরলজি শাখায় স্বল্পমেয়াদি কমিশন (ডিই-২০২৬এ) এবং শিক্ষা (পদার্থ ও গণিত) শাখায় বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশন (এপিএসএসসি-২০২৬এ) কোর্সে জনবল নেওয়া হবে।
নির্বাচনী পরীক্ষার স্থান ও সূচি
সব জেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে এই ঠিকানায়—বাংলাদেশ বিমানবাহিনী তথ্য ও নির্বাচনী কেন্দ্র, পুরাতন বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা। প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৭ ও ৩০ জুলাই ২০২৫ এবং ৩, ৬, ১০, ১৩, ১৭, ২৪, ২৭ ও ৩১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।
প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা
নির্বাচিতদের বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমিতে ছয় মাস প্রশিক্ষণ নিতে হবে। স্বল্পমেয়াদি কমিশনে সরাসরি ফ্লাইং অফিসার এবং বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশনে সরাসরি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণকালীন অফিসার ক্যাডেটরা পাবেন ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা।
শারীরিক যোগ্যতা
‘ডিই-২০২৬এ’ প্রার্থীর বয়সসীমা ২০ থেকে ৩০ বছর এবং ‘এপিএসএসসি ২০২৬এ’ প্রার্থীর বয়সসীমা ২১ থেকে ৩৫ বছর হতে হবে। বয়সের হিসাব হবে ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
শিক্ষাগত যোগ্যতার বিস্তারিত ও দরকারি তথ্য পাওয়া যাবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ওয়েবসাইটে (joinairforce.baf.mil.bd)|
আবেদনের অযোগ্য যাঁরা
সেনা/নৌ/বিমানবাহিনী বা যেকোনো সরকারি চাকরি থেকে অপসারিত, বরখাস্ত বা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন এমন প্রার্থীরা আবেদনের অযোগ্য। বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে আইএসএসবি পরীক্ষায় দুবার প্রত্যাখ্যাত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। ফৌজদারি অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত, সিএমবি আপিল মেডিক্যাল বোর্ড কর্তৃক অযোগ্য, দ্বৈত নাগরিক অথবা অন্য কোনো দেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি আছে—এমন প্রার্থীরাও আবেদনের অযোগ্য।

ভাইভা অভিজ্ঞতা
প্রভাবশালীরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে কী করবেন?

আসসালামু আলাইকুম, স্যার।
চেয়ারম্যান : ওয়া আলাইকুমুস সালাম। বসুন। আপনি এখন কী করছেন?
—ধন্যবাদ স্যার।
আপনি কী কী দায়িত্ব পালন করেন?
—শীতলীকরণ কেন্দ্রের যাবতীয় কাজ আমার তত্ত্বাবধানেই হয়। যেমন—প্রাণিচিকিৎসা, দুধের মান নিয়ন্ত্রণ, সব হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ, সম্প্রসারণ কাজ পরিচালনা ইত্যাদি।
মিল্ক ভিটায় পদক্রম কী?
—সহকারী ব্যবস্থাপক>উপব্যবস্থাপক> ব্যবস্থাপক>উপমহাব্যবস্থাপক>অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক>মহাব্যবস্থাপক।
বাহ! আমার প্রগ্রামে দুধ লাগবে। আপনি ৩০-৪০ লিটার দুধ দিতে পারবেন?
—দুঃখিত স্যার, পারব না!
কেন পারবেন না?
—শীতলীকরণ কেন্দ্র থেকে দুধ বিক্রি বা সাপ্লাইয়ের সুযোগ নেই। তবে সেলস সেন্টার থেকে দেওয়া সম্ভব।
—প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ভালোই মেনে চলেন তাহলে! গুড।
—গরু-ছাগলের মতো প্রাণীগুলো উদগিরণের মাধ্যমে প্রকৃতিতে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে। এটি একটি গ্রিনহাউস গ্যাস, যা জলবায়ুতে বিরূপ ভূমিকা রাখে। একটি গরু দিনে প্রায় ৪০০-৫০০ লিটার মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে।
পরিবেশদূষণ বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সরকার কী করছে?
—জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ও অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন ইত্যাদি।
এসডিজি কী? কয়টি গোলস (লক্ষ্য)?
—স্যার, এসডিজির পূর্ণরূপ হলো—সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য)।
এসডিজির সঙ্গে আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রদত্ত একটি তত্ত্বের মিল আছে। সেটি কী?
—থ্রি-জিরো তত্ত্ব।
থ্রি-জিরোর সঙ্গে এসডিজির সম্পর্ক কী?
—নোবেল বিজয়ী বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের থ্রি-জিরো তত্ত্ব অনুযায়ী তিনটি বিষয়কে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো—শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ। এই তিনটি শূন্য বাস্তবায়ন হলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। এর ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৭টি গোল পূরণ হবে।
স্থানীয় সরকারের স্তরগুলো বলুন?
—স্যার, শহরে—পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এবং গ্রামে—জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ।
কিছুদিন আগে পেপারে দেখলাম কেউ কেউ ব্যয় কমাতে সরকারের আকার ছোট করতে পরামর্শ দিচ্ছে। আপনার মত কী?
—জি স্যার। আমার মতে, সরকারের আকার ছোট করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সাহায্যে শাসনকার্য চালানো যেতে পারে।
প্রাণিসম্পদে বর্তমান সরকারের চলমান কিছু প্রকল্প সম্পর্কে বলুন?
—লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প, পিপিআর রোগ নির্মূলকরণ প্রকল্প, প্রাণিপুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদি।
এক্সটারনাল-১ : আপনি ইউএনও হলে জনগণকে সরাসরি কী কী সেবা দেবেন?
—আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি, নির্বাচন পরিচালনা, বিভিন্ন ভাতা প্রদান, ত্রাণ বিতরণ, অনুদান প্রদান ইত্যাদি।
অনুদান প্রদানের সময় স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রভাবিত করলে বা দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে কী করবেন?
—আমি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুদান প্রদান করতে থাকব। যদি কেউ প্রভাবিত করে, সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেব। পুনরায় এমন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
ধরুন, আপনি উপসচিব হওয়ার পর আর প্রমোশন পাননি। এ অবস্থায় আপনার সেবা দেওয়ার গতি কি কমে যাবে?
—না স্যার। বিধি অনুযায়ী আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করব।
মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের পদক্রম বলুন।
—সহকারী সচিব>সিনিয়র সহকারী সচিব>উপসচিব>যুগ্ম সচিব>অতিরিক্ত সচিব>সচিব।
এক্সটারনাল-২ : আপনার বাড়ি আবু সাঈদের এলাকায়, আপনি গর্বিত?
—অবশ্যই স্যার।
ঠিক আছে, কাগজপত্র নিয়ে যান।

দেড়শ সিনিয়র অফিসার নেবে পূবালী ব্যাংক
- সিনিয়র অফিসার পদে ১৫০ জন নিয়োগ দেবে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক পূবালী ব্যাংক। বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগে আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স-সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য এসব কর্মকর্তা নেওয়া হবে। অনলাইনে আবেদন করতে হবে ২০ জুলাই ২০২৫ এর মধ্যে। আবেদন প্রক্রিয়া, পরীক্ষা পদ্ধতি ও নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছেন সাজিদ মাহমুদ

পরীক্ষা পদ্ধতি
প্রার্থী বাছাই করা হবে তিন ধাপের পরীক্ষার মাধ্যমে—এমসিকিউ (প্রিলিমিনারি), লিখিত ও ভাইভা। প্রথমেই এমসিকিউ পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে প্রার্থীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে পরীক্ষার কেন্দ্র, তারিখ ও সময় জানানো হবে। অনেক সময় একই দিনে এমসিকিউ ও লিখিত (রচনামূলক) পরীক্ষা নেওয়া হয়।
বিগত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ
২০২৩ সালের সিনিয়র অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়েছে এক ঘণ্টায়। এখানে বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্যে ২৫টি প্রশ্ন, ইংরেজি সাহিত্য ও ব্যাকরণে ২৫টি প্রশ্ন, গণিতে ২৫টি প্রশ্ন এবং সাধারণ জ্ঞান, ব্যাংকিং ও আইসিটি মিলে ২৫টি প্রশ্ন করা হয়েছে।
প্রস্তুতির জন্য করণীয়
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরীক্ষা পদ্ধতি ও ধরন প্রায় একই রকম।
আবেদনের যোগ্যতা
সরকার স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে প্রার্থীদের। বিদেশে পড়াশোনা করা প্রার্থীদের সমমানের সনদ থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের সবগুলো পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ থাকতে হবে। এ ছাড়া গার্মেন্টস এক্সপোর্ট (ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ) বিষয়ে অফিসার বা সমপদে কোনো ব্যাংক বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম এক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কম্পিউটারে দরকারি কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। প্রার্থীর বয়স হতে হবে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর।
শর্ত—ব্যাংকের যেকোনো শাখায় কাজের মানসিকতা থাকতে হবে। নিয়োগের পর এক বছরের প্রবেশন শেষে ব্যাংকটিতে পাঁচ বছর চাকরি করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
পদায়ন
যোগদানের পর প্রথম এক বছর ‘প্রবেশন সময়’ হিসেবে কাজ করতে হবে। প্রবেশনের সময় প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়া হবে। প্রবেশন সময় মূল্যায়ন করে এক বছর পর সিনিয়র অফিসার পদে পদায়ন করা হবে। এরপর ব্যাংকটির সিনিয়র অফিসার পদের নির্ধারিত বেতনকাঠামো অনুসারে মাসিক বেতন, উৎসব বোনাস, বৈশাখী বোনাসসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।
আবেদন লিংক
www.pubalibangla.com/career

এসএসসি পাসে কনস্টেবল নিয়োগ
- সারা দেশ থেকে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ পুলিশ। জিপিএ ২.৫ পাওয়া এসএসসি বা সমমানের পুরুষ ও নারী প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন। অনলাইনে আবেদন করতে হবে ২৪ জুলাই ২০২৫ এর মধ্যে। বাছাই প্রক্রিয়া, পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রস্তুতিসহ বিস্তারিত জানাচ্ছেন রাকিবুল ইসলাম

খেয়াল রাখুন
প্রার্থী বাছাই হবে শারীরিক মাপ, সক্ষমতা যাচাই, লিখিত পরীক্ষা, স্বাস্থ্যসহ কয়েক ধাপের পরীক্ষা ও যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। অনলাইনে আবেদনের সময় ট্রেকিং নম্বর ও আবেদনের রঙিন প্রিন্ট সংরক্ষণ (প্রিন্ট) করে রাখুন। বাছাই পরীক্ষার দিন নির্ধারিত কেন্দ্রে সময়মতো উপস্থিত থাকতে হবে। দরকারি পোশাকও সঙ্গে রাখতে হবে।
বাছাই পদ্ধতি ও পরীক্ষা
প্রার্থী বাছাই হবে বেশ কয়েকটি ধাপে।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
বিগত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্রে দেখা গেছে, লিখিত পরীক্ষা হয়েছে রচনামূলক পদ্ধতিতে ৪৫ নম্বরে।
বাছাই পরীক্ষায় সঙ্গে রাখবেন
বাছাই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। শারীরিক পরীক্ষার (ফিজিক্যাল টেস্ট) সময় প্রবেশপত্রের ডাউনলোডকৃত দুই কপি, শিক্ষাগত যোগ্যতা পরীক্ষার মূল বা সাময়িক সনদ, সর্ব শেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক চারিত্রিক সনদের মূল কপি, স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি, অভিভাবকের সম্মতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। একই সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি, সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তার সত্যায়িত তিন কপি পাসেপোর্ট আকারের ছবি, মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সনদ, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সুবর্ণ নাগরিক কার্ডের মূল কপি, তৃতীয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন কর্তৃক সনদ এবং চাকরিজীবী প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় সনদ দেখাতে হবে।
প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা
নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) হিসেবে ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ চলাকালে বিনামূল্যে পোশাক, থাকা-খাওয়াসহ মাসিক প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হবে। সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করলে শিক্ষানবিশ কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষানবিশ কনস্টেবল পদধারীদের বেতন জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ১৭তম গ্রেডে ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা। ন্যূনতম দুই বছর শিক্ষানবিশ কনস্টেবল হিসেবে চাকরির পর কনস্টেবল পদে চাকরি স্থায়ী করা হবে। কনস্টেবল পদের কর্মীরা বেতনের পাশাপাশি বিনামূল্যে পোশাক, ঝুঁকিভাতা, বাসস্থান, খাওয়া ও চিকিৎসা ভাতা পাবেন। এ ছাড়া থাকছে স্বল্পমূল্যে পারিবারিক রেশন সুবিধা, পদোন্নতি ও জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে কাজের সুযোগ। চাকরি থেকে অবসরের পর যথারীতি পেনশন সুবিধাও পাবেন।
সুযোগ যাঁদের
এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ অন্তত ২.৫০ থাকলেই আবেদন করা যাবে। প্রার্থীদের জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক (পুরুষ অথবা মহিলা) এবং অবিবাহিত হতে হবে। পুরুষ প্রার্থীদের বেলায় মেধা কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্বা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। বুকের মাপ—মেধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি, সম্প্রসারণে ৩২ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্বা কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি, সম্প্রসারণে ৩১ ইঞ্চি। মহিলা প্রার্থীদের বেলায় মেধা কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। ওজন বয়স ও উচ্চতা অনুসারে এবং চোখের দৃষ্টি ৬/৬। ২৪ জুলাই ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছর।
আবেদন লিংক ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
http://police.teletalk.com.bd
https://www.police.gov.bd