মধ্যপ্রাচ্যে দরিদ্র দেশগুলোর একটি ইয়েমেন।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানায় প্রবেশ করে। শিয়া মতাদর্শের হুতিদের অস্ত্র-অর্থ দিয়ে সাহায্য করছে ইরান। পরের বছর জানুয়ারির মধ্যেই পুরো সানার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় তারা।
মধ্যপ্রাচ্যে দরিদ্র দেশগুলোর একটি ইয়েমেন।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানায় প্রবেশ করে। শিয়া মতাদর্শের হুতিদের অস্ত্র-অর্থ দিয়ে সাহায্য করছে ইরান। পরের বছর জানুয়ারির মধ্যেই পুরো সানার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় তারা।
ইয়েমেন সংকটের সূচনা অবশ্য আরো আগে। হুতিরা সানা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার বেশ কয়েক বছর আগেই আরব বসন্তের ঢেউ আছড়ে পড়ে ইয়েমেনে। ওই ধাক্কায় ইয়েমেনের দীর্ঘদিনের কর্তৃত্বপরায়ণ নেতা আলী আবদুল্লাহ সালেহ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। ২০১১ সালে তিনি তাঁর সহযোগী আব্দরাব্বুহ মানসুর হাদির কাছে দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংকটের এক পাহাড়ের সামনে এসে দাঁড়ান হাদি। দেশের সাধারণ সমস্যাগুলোর পাশাপাশি মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়ায় জিহাদি ও দক্ষিণাঞ্চলীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন। সেনাবাহিনীতে তখনো বিপুলসংখ্যায় সালেহর অনুসারী। নতুন প্রেসিডেন্টের এই দুর্বলতার সুযোগ নেয় ইয়েমেনের জাইদি শিয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী।
নতুন ত্রিধাবিভক্ত পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে বহু সুন্নিসহ সাধারণ ইয়েমেনি হুতিদের সমর্থন দেয়।
২০১৪ সালের শেষ দিক এবং ২০১৫ সালের গোড়ার দিকে সানার নিয়ন্ত্রণ নেয় হুতি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরব সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশকে নিয়ে জোট গঠন করে ২০১৫ সালের মার্চে ইয়েমেনে সামরিক হস্তক্ষেপ শুরু করে। হুতি বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট হাদির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার পর থেকেই সালেহর সঙ্গে হুতিদের এক ধরনের সমঝোতা তৈরি হয়। যদিও দুই পক্ষ এর আগ পর্যন্ত চরম বৈরী ছিল। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ থেকে এদের সঙ্গে মিত্রতা করেন সালেহ। হুতি বিদ্রোহী এবং সালেহ সমর্থিত বাহিনী এই দিনগুলোতে আক্রমণ জোরদার করে। পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে তারা। তাদের জোরালো আক্রমণের মুখে ২০১৫ সালের মার্চে বিদেশে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট হাদি।
মূলত হুতিদের এই উত্থানেই ভয় পেয়ে যায় সৌদি আরব। ধারণা করা হয়, হুতি প্রতিবেশী শিয়া শক্তি ইরানের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা ও সমর্থন পায়। ইরান উপসাগরের আঞ্চলিক রাজনীতির শক্তিশালী খেলোয়াড়। নানাভাবেই ওই অঞ্চলে তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়ছে। মূলত ইরান আতঙ্কের কারণেই আরো আটটি সুন্নি দেশকে সঙ্গে নিয়ে ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করে রিয়াদ। ওই সময় তাদের মূল লক্ষ্য ছিল, হাদি সরকারকে আবার সানায় প্রতিষ্ঠিত করা। এই জোটকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। গোড়ার দিকে সৌদি কর্মকর্তাদের ধারণা ছিল, কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে এই যুদ্ধ। কিন্তু চার বছরেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়েছে এই লড়াই। এখনো চলছে।
এই যুদ্ধে সৌদি আরবের জড়িয়ে যাওয়া যেমন ইরান ইস্যুর কারণে, ঠিক তেমনি পশ্চিমা কয়েকটি দেশ জড়িয়েছে তেলস্বার্থ এবং নিরাপত্তার কারণে। লোহিত সাগর ও আদেন উপসাগর দিয়ে বিশ্বের তেল বাণিজ্য অনেকটাই পরিবাহিত হয়। এই অংশটি নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়লে তেল পরিবহনও হুমকির মুখে পড়বে।
আদেন বন্দরনগরীতে জোটের সেনারা পদার্পণ করে ২০১৫ সালের আগস্টে। পরের কয়েক মাসে তারা হুতি বিদ্রোহী ও তাদের সহযোগীদের দক্ষিণাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা থেকে বের করে দেয়। আদেনে হাদি সরকারের একটি অস্থায়ী কার্যালয় ছিল। কিন্তু তাদের পক্ষে মৌলিক সেবাগুলো নিশ্চিত করা বা জনসাধারণকে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।
সানা থেকে হুতিদের বের করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া তারা তৃতীয় শহর তায়েজের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছিল। এখান থেকেই তারা সৌদি আরবের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে থাকে। এই নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতির সুযোগ নেয় আরব উপদ্বীপের আল-কায়েদা (একিউএপি) এবং স্থানীয় ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী (আইএস)। এরা দক্ষিণের বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়ে আদেনের ওপর হামলা চালাতে শুরু করে।
এদিকে রিয়াদের ওপর হুতি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত থাকে। এই হামলা বাড়তে থাকলে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ইয়েমেনের ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। তাদের যুক্তি, হুতি বিদ্রোহীরা ইরান থেকে যে অস্ত্র চোরাচালানের মাধ্যমে পাচ্ছে, তা বন্ধ করতে এই অবরোধ জরুরি। যদিও ইরান কখনোই হুতিদের অস্ত্র দেওয়ার কথা স্বীকার করেনি। কিন্তু এই অবরোধের কারণে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়তে থাকে। বহু লোক খাদ্য সংকটে পড়ে যায়।
এক ধরনের অচলাবস্থা চলতে থাকে ইয়েমেনে। এই অচলাবস্থাকে ভেঙে দিতেই ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত লোহিত সাগর তীরবর্তী হুদাইদাহ বন্দরনগরীতে বড় ধরনের অভিযান শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এই বন্দরটি ইয়েমেনের দুই-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীর পণ্য সরবরাহের মূল পথ। ওই সময়ই জাতিসংঘ সতর্ক করে জানায়, এই বন্দর যদি ক্ষতিগ্রস্ত বা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দেবে। সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর কয়েক মাস পার হয়ে যায়। অবশেষে সুইডেনে বসে তারা।
ডিসেম্বরে সরকার ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ওই চুক্তি অনুসারে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা কার্যকর করা যায়নি। ফলে চুক্তি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ইয়েমেন বিশ্বের সবচেয়ে বিপর্যয়কর মানবসৃষ্ট দুর্যোগের মুখে পড়েছে।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৫ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইয়েমেনে অন্তত সাত হাজার ২৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১১ হাজার ১৪০ জন। নিহতদের ৬৫ শতাংশই সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিমান হামলায় প্রাণ হারায়। তবে এই গৃহযুদ্ধের ওপর নজর রাখা একটি আন্তর্জাতিক গ্রুপ জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্ট গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যে পরিসংখ্যান তৈরি করেছে, তাতে দেখা যায়, ২০১৬ সাল থেকে বেসামরিক ও যোদ্ধা মিলে ৬৭ হাজার ৬৫০ জন নিহত হয়েছে। আরো কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে অপুষ্টি, রোগ আর খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে।
এই সমস্যাগুলো খুব সহজেই সমাধান করা যেত। দেশটির মোট জনসংখ্যা দুই কোটি ৪০ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষেরই মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষার প্রয়োজন। অন্তত দুই কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার প্রয়োজন। এর মধ্যে এক কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষ থেকে এক কদম দূরে রয়েছে। অন্তত দুই লাখ ৪০ হাজার মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ২০ লাখ। এসব শিশু চরম পুষ্টিহীনতায় ভুগছে।
দেশটির সাড়ে তিন হাজার স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের মধ্যে অর্ধেকের মতো এখন চালু আছে। ফলে দুই কোটি মানুষ পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না।
খাবার পানি বা পয়োনিষ্কাশনের সুবন্দোবস্ত নেই এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের। এর মধ্যেই মহামারি আকারে কলেরা ছড়িয়ে গিয়ে ২০১৭ সাল থেকে মারা গেছে প্রায় তিন হাজারজন।
নির্বাচন পদ্ধতি ও পরীক্ষার ধরন
প্রথমে নেওয়া হবে প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষা। উত্তীর্ণদের দ্বিতীয় ধাপে নেওয়া হবে প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা। এরপর ধাপে ধাপে প্রাথমিক মৌখিক, আন্তঃবাহিনী নির্বাচন পর্ষদ (আইএসএসবি বা এসএসবি), কেন্দ্রীয় চিকিৎসা পর্ষদ (সিএমবি) কর্তৃক চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ক্যাডেট চূড়ান্ত নির্বাচন পর্ষদ (সিএসএসবি) পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং, এটিসি, এডিডব্লিউসি, ফিন্যান্স ও মিটিওরলজি শাখায় স্বল্পমেয়াদি কমিশন (ডিই-২০২৬এ) এবং শিক্ষা (পদার্থ ও গণিত) শাখায় বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশন (এপিএসএসসি-২০২৬এ) কোর্সে জনবল নেওয়া হবে।
নির্বাচনী পরীক্ষার স্থান ও সূচি
সব জেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে এই ঠিকানায়—বাংলাদেশ বিমানবাহিনী তথ্য ও নির্বাচনী কেন্দ্র, পুরাতন বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা। প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৭ ও ৩০ জুলাই ২০২৫ এবং ৩, ৬, ১০, ১৩, ১৭, ২৪, ২৭ ও ৩১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।
প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা
নির্বাচিতদের বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমিতে ছয় মাস প্রশিক্ষণ নিতে হবে। স্বল্পমেয়াদি কমিশনে সরাসরি ফ্লাইং অফিসার এবং বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশনে সরাসরি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণকালীন অফিসার ক্যাডেটরা পাবেন ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা।
শারীরিক যোগ্যতা
‘ডিই-২০২৬এ’ প্রার্থীর বয়সসীমা ২০ থেকে ৩০ বছর এবং ‘এপিএসএসসি ২০২৬এ’ প্রার্থীর বয়সসীমা ২১ থেকে ৩৫ বছর হতে হবে। বয়সের হিসাব হবে ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
শিক্ষাগত যোগ্যতার বিস্তারিত ও দরকারি তথ্য পাওয়া যাবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ওয়েবসাইটে (joinairforce.baf.mil.bd)|
আবেদনের অযোগ্য যাঁরা
সেনা/নৌ/বিমানবাহিনী বা যেকোনো সরকারি চাকরি থেকে অপসারিত, বরখাস্ত বা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন এমন প্রার্থীরা আবেদনের অযোগ্য। বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে আইএসএসবি পরীক্ষায় দুবার প্রত্যাখ্যাত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। ফৌজদারি অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত, সিএমবি আপিল মেডিক্যাল বোর্ড কর্তৃক অযোগ্য, দ্বৈত নাগরিক অথবা অন্য কোনো দেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি আছে—এমন প্রার্থীরাও আবেদনের অযোগ্য।
আসসালামু আলাইকুম, স্যার।
চেয়ারম্যান : ওয়া আলাইকুমুস সালাম। বসুন। আপনি এখন কী করছেন?
—ধন্যবাদ স্যার।
আপনি কী কী দায়িত্ব পালন করেন?
—শীতলীকরণ কেন্দ্রের যাবতীয় কাজ আমার তত্ত্বাবধানেই হয়। যেমন—প্রাণিচিকিৎসা, দুধের মান নিয়ন্ত্রণ, সব হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ, সম্প্রসারণ কাজ পরিচালনা ইত্যাদি।
মিল্ক ভিটায় পদক্রম কী?
—সহকারী ব্যবস্থাপক>উপব্যবস্থাপক> ব্যবস্থাপক>উপমহাব্যবস্থাপক>অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক>মহাব্যবস্থাপক।
বাহ! আমার প্রগ্রামে দুধ লাগবে। আপনি ৩০-৪০ লিটার দুধ দিতে পারবেন?
—দুঃখিত স্যার, পারব না!
কেন পারবেন না?
—শীতলীকরণ কেন্দ্র থেকে দুধ বিক্রি বা সাপ্লাইয়ের সুযোগ নেই। তবে সেলস সেন্টার থেকে দেওয়া সম্ভব।
—প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ভালোই মেনে চলেন তাহলে! গুড।
—গরু-ছাগলের মতো প্রাণীগুলো উদগিরণের মাধ্যমে প্রকৃতিতে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে। এটি একটি গ্রিনহাউস গ্যাস, যা জলবায়ুতে বিরূপ ভূমিকা রাখে। একটি গরু দিনে প্রায় ৪০০-৫০০ লিটার মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে।
পরিবেশদূষণ বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সরকার কী করছে?
—জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ও অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন ইত্যাদি।
এসডিজি কী? কয়টি গোলস (লক্ষ্য)?
—স্যার, এসডিজির পূর্ণরূপ হলো—সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য)।
এসডিজির সঙ্গে আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রদত্ত একটি তত্ত্বের মিল আছে। সেটি কী?
—থ্রি-জিরো তত্ত্ব।
থ্রি-জিরোর সঙ্গে এসডিজির সম্পর্ক কী?
—নোবেল বিজয়ী বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের থ্রি-জিরো তত্ত্ব অনুযায়ী তিনটি বিষয়কে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো—শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ। এই তিনটি শূন্য বাস্তবায়ন হলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। এর ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৭টি গোল পূরণ হবে।
স্থানীয় সরকারের স্তরগুলো বলুন?
—স্যার, শহরে—পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এবং গ্রামে—জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ।
কিছুদিন আগে পেপারে দেখলাম কেউ কেউ ব্যয় কমাতে সরকারের আকার ছোট করতে পরামর্শ দিচ্ছে। আপনার মত কী?
—জি স্যার। আমার মতে, সরকারের আকার ছোট করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সাহায্যে শাসনকার্য চালানো যেতে পারে।
প্রাণিসম্পদে বর্তমান সরকারের চলমান কিছু প্রকল্প সম্পর্কে বলুন?
—লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প, পিপিআর রোগ নির্মূলকরণ প্রকল্প, প্রাণিপুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদি।
এক্সটারনাল-১ : আপনি ইউএনও হলে জনগণকে সরাসরি কী কী সেবা দেবেন?
—আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি, নির্বাচন পরিচালনা, বিভিন্ন ভাতা প্রদান, ত্রাণ বিতরণ, অনুদান প্রদান ইত্যাদি।
অনুদান প্রদানের সময় স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রভাবিত করলে বা দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে কী করবেন?
—আমি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুদান প্রদান করতে থাকব। যদি কেউ প্রভাবিত করে, সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেব। পুনরায় এমন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
ধরুন, আপনি উপসচিব হওয়ার পর আর প্রমোশন পাননি। এ অবস্থায় আপনার সেবা দেওয়ার গতি কি কমে যাবে?
—না স্যার। বিধি অনুযায়ী আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করব।
মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের পদক্রম বলুন।
—সহকারী সচিব>সিনিয়র সহকারী সচিব>উপসচিব>যুগ্ম সচিব>অতিরিক্ত সচিব>সচিব।
এক্সটারনাল-২ : আপনার বাড়ি আবু সাঈদের এলাকায়, আপনি গর্বিত?
—অবশ্যই স্যার।
ঠিক আছে, কাগজপত্র নিয়ে যান।
পরীক্ষা পদ্ধতি
প্রার্থী বাছাই করা হবে তিন ধাপের পরীক্ষার মাধ্যমে—এমসিকিউ (প্রিলিমিনারি), লিখিত ও ভাইভা। প্রথমেই এমসিকিউ পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে প্রার্থীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে পরীক্ষার কেন্দ্র, তারিখ ও সময় জানানো হবে। অনেক সময় একই দিনে এমসিকিউ ও লিখিত (রচনামূলক) পরীক্ষা নেওয়া হয়।
বিগত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ
২০২৩ সালের সিনিয়র অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়েছে এক ঘণ্টায়। এখানে বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্যে ২৫টি প্রশ্ন, ইংরেজি সাহিত্য ও ব্যাকরণে ২৫টি প্রশ্ন, গণিতে ২৫টি প্রশ্ন এবং সাধারণ জ্ঞান, ব্যাংকিং ও আইসিটি মিলে ২৫টি প্রশ্ন করা হয়েছে।
প্রস্তুতির জন্য করণীয়
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরীক্ষা পদ্ধতি ও ধরন প্রায় একই রকম।
আবেদনের যোগ্যতা
সরকার স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে প্রার্থীদের। বিদেশে পড়াশোনা করা প্রার্থীদের সমমানের সনদ থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের সবগুলো পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ থাকতে হবে। এ ছাড়া গার্মেন্টস এক্সপোর্ট (ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ) বিষয়ে অফিসার বা সমপদে কোনো ব্যাংক বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম এক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কম্পিউটারে দরকারি কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। প্রার্থীর বয়স হতে হবে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর।
শর্ত—ব্যাংকের যেকোনো শাখায় কাজের মানসিকতা থাকতে হবে। নিয়োগের পর এক বছরের প্রবেশন শেষে ব্যাংকটিতে পাঁচ বছর চাকরি করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
পদায়ন
যোগদানের পর প্রথম এক বছর ‘প্রবেশন সময়’ হিসেবে কাজ করতে হবে। প্রবেশনের সময় প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়া হবে। প্রবেশন সময় মূল্যায়ন করে এক বছর পর সিনিয়র অফিসার পদে পদায়ন করা হবে। এরপর ব্যাংকটির সিনিয়র অফিসার পদের নির্ধারিত বেতনকাঠামো অনুসারে মাসিক বেতন, উৎসব বোনাস, বৈশাখী বোনাসসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।
আবেদন লিংক
www.pubalibangla.com/career
খেয়াল রাখুন
প্রার্থী বাছাই হবে শারীরিক মাপ, সক্ষমতা যাচাই, লিখিত পরীক্ষা, স্বাস্থ্যসহ কয়েক ধাপের পরীক্ষা ও যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। অনলাইনে আবেদনের সময় ট্রেকিং নম্বর ও আবেদনের রঙিন প্রিন্ট সংরক্ষণ (প্রিন্ট) করে রাখুন। বাছাই পরীক্ষার দিন নির্ধারিত কেন্দ্রে সময়মতো উপস্থিত থাকতে হবে। দরকারি পোশাকও সঙ্গে রাখতে হবে।
বাছাই পদ্ধতি ও পরীক্ষা
প্রার্থী বাছাই হবে বেশ কয়েকটি ধাপে।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
বিগত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্রে দেখা গেছে, লিখিত পরীক্ষা হয়েছে রচনামূলক পদ্ধতিতে ৪৫ নম্বরে।
বাছাই পরীক্ষায় সঙ্গে রাখবেন
বাছাই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। শারীরিক পরীক্ষার (ফিজিক্যাল টেস্ট) সময় প্রবেশপত্রের ডাউনলোডকৃত দুই কপি, শিক্ষাগত যোগ্যতা পরীক্ষার মূল বা সাময়িক সনদ, সর্ব শেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক চারিত্রিক সনদের মূল কপি, স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি, অভিভাবকের সম্মতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। একই সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি, সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তার সত্যায়িত তিন কপি পাসেপোর্ট আকারের ছবি, মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সনদ, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সুবর্ণ নাগরিক কার্ডের মূল কপি, তৃতীয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন কর্তৃক সনদ এবং চাকরিজীবী প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় সনদ দেখাতে হবে।
প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা
নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) হিসেবে ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ চলাকালে বিনামূল্যে পোশাক, থাকা-খাওয়াসহ মাসিক প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হবে। সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করলে শিক্ষানবিশ কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষানবিশ কনস্টেবল পদধারীদের বেতন জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ১৭তম গ্রেডে ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা। ন্যূনতম দুই বছর শিক্ষানবিশ কনস্টেবল হিসেবে চাকরির পর কনস্টেবল পদে চাকরি স্থায়ী করা হবে। কনস্টেবল পদের কর্মীরা বেতনের পাশাপাশি বিনামূল্যে পোশাক, ঝুঁকিভাতা, বাসস্থান, খাওয়া ও চিকিৎসা ভাতা পাবেন। এ ছাড়া থাকছে স্বল্পমূল্যে পারিবারিক রেশন সুবিধা, পদোন্নতি ও জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে কাজের সুযোগ। চাকরি থেকে অবসরের পর যথারীতি পেনশন সুবিধাও পাবেন।
সুযোগ যাঁদের
এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ অন্তত ২.৫০ থাকলেই আবেদন করা যাবে। প্রার্থীদের জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক (পুরুষ অথবা মহিলা) এবং অবিবাহিত হতে হবে। পুরুষ প্রার্থীদের বেলায় মেধা কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্বা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। বুকের মাপ—মেধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি, সম্প্রসারণে ৩২ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্বা কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি, সম্প্রসারণে ৩১ ইঞ্চি। মহিলা প্রার্থীদের বেলায় মেধা কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। ওজন বয়স ও উচ্চতা অনুসারে এবং চোখের দৃষ্টি ৬/৬। ২৪ জুলাই ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছর।
আবেদন লিংক ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
http://police.teletalk.com.bd
https://www.police.gov.bd