ঢাকা, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মহররম ১৪৪৭

হতে চান জজ-ম্যাজিস্ট্রেট?

  • ১২তম বিজেএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন। অনলাইনে আবেদন করা যাবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিশেষ আয়োজনে লিখেছেন ১০ম বিজেএস পরীক্ষায় প্রথম ফরিদ উদ্দীন ও ১১তম বিজেএস পরীক্ষায় প্রথম রিমি সাহা
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
হতে চান জজ-ম্যাজিস্ট্রেট?
১০ম ও ১১তম বিজেএস পরীক্ষায় প্রথম ফরিদ উদ্দীন ও রিমি সাহা। ছবি : মোহাম্মদ আসাদ

১২তম বিজেএস নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন। নেওয়া হবে ৫০ জন। উত্তীর্ণ হওয়ার পরে দেশের বিভিন্ন আদালতে নিয়োগ দেওয়া হবে সহকারী জজ হিসেবে। ক্রিমিনাল মামলা পরিচালনার সময় তাঁরা বিবেচিত হবেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি পাওয়া যাবে www.bjsc.gov.bd/blog-detail-fullwidth.php?blog=17 ev goo.gl/aAf7zQ লিংকে। অনলাইনে কমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে (www.bjsc.gov.bd) আবেদন করতে হবে। আবেদন করা যাবে ৫ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

 

আবেদনের যোগ্যতা

যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক বা দ্বিতীয় শ্রেণির এলএলএম ডিগ্রি থাকলেই আবেদন করা যাবে সহকারী জজ পদে।

পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকলেও আবেদন করা যাবে। বিদেশি ডিগ্রি থাকলে ইকুইভেলেন্ট সার্টিফিকেট দিতে হবে। ১ মার্চ ২০১৮ তারিখে সর্বোচ্চ বয়স হতে হবে ৩২ বছর।

 

পরীক্ষার ধরন

প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ), লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

প্রিলিতে থাকবে ১০০ নম্বর। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও আইন বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.২৫ নম্বর।

লিখিত পরীক্ষায় দিতে হবে ১০০০ নম্বরের পরীক্ষা। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান, দেওয়ানি মামলাসংক্রান্ত আইন, অপরাধসংক্রান্ত আইন, পারিবারিক আইন, সাংবিধানিক আইন ও জেনারেল ক্লজেস অ্যাক্ট ও সাক্ষ্য আইন, ভুমি, চুক্তি, রেজিস্ট্রেশন, সম্পত্তি হস্তান্তর ও অন্যান্য আইন, শিশু, নারী, পরিবেশ ও আইনগত সহায়তা প্রদান আইন এবং দুর্নীতি দমন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মানবপাচার প্রতিরোধ ও অর্থঋণসংক্রান্ত আইন বিষয়ে পরীক্ষা হবে।

উত্তীর্ণ হলে ডাকা হবে ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায়। তিনটি পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেলে পাস ধরা হবে। তবে বিজেএস পরীক্ষায় পাস নম্বর তোলা মানেই সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নয়। ভালো নম্বরধারীরাই নিয়োগ পেয়ে থাকেন।

 

প্রিলিমিনারিতে টিকতে হলে

১১তম বিজেএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী রিমি সাহা জানান, নবম, দশম ও এগারোতম প্রিলিতে আইন থেকেই

৬০-৮০টি প্রশ্ন এসেছিল। বাকি প্রশ্নগুলো এসেছে সাধারণ বিষয় থেকে। সব মিলে ১০০ নম্বর। তাই প্রিলির জন্য জোর দিতে হবে আইনের বিষয়ের ওপরেই। সাধারণ জ্ঞানের জন্য দৈনিক সংবাদপত্র, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক সাময়িকী পড়তে হবে। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে বেশি প্রশ্ন আসে। বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণেও নজর দিতে হবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির সিলেবাস অনুসরণ করলেই হয়ে যাবে। গণিত ও ইংরেজির জন্যও তাই। তিনি বলেন, ‘আইনের ধারাগুলো পড়ে যা বুঝতাম তা-ই বিশ্লেষণ করে নোট রাখতাম। এভাবে প্রিলির আগে গুরুত্বপূর্ণ সব আইন পড়া শেষ করেছিলাম। প্রতিটি ধারা লেখার পরে কিছু জায়গা ফাঁকা রাখতাম। এ বিষয়ে কোনো মামলা পেলে তা টুকে রাখতাম। এতে করে সংশ্লিষ্ট ধারার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে দায়ের করা মামলার বিষয়টিও জানা হয়ে যেত। বাজারে বিভিন্ন বই পাওয়া যায়। সেগুলো থেকে প্র্যাকটিস করেছি।’

 

লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি

জুডিশিয়াল পরীক্ষার সিলেবাস পাওয়া যায়। এটি সংগ্রহ করে পড়তে হবে। রিমি সাহা জানান, দেওয়ানি মামলাসংক্রান্ত আইনের পরীক্ষা হবে এক দিনে। তাই একসঙ্গে পড়তে হবে লিমিটেশন অ্যাক্ট, স্পেসিফিক রিলিভ অ্যাক্ট, সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট ও স্যুাট ভ্যালুয়েশন অ্যাক্ট। দেওয়ানি আইন থেকে পড়তে হবে দেওয়ানি মামলা করার নিয়ম, ডিগ্রি, আপিল, সমন জারি, অর্ডার, জুরিসডিকশন, আরজি, ইন্সপেকশন, ইনহেরিট্যান্স পাওয়ার টু দ্য কোর্ট, রিসিভারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো।

অপরাধসংক্রান্ত আইনের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে। থাকবে ফৌজদারি কার্যবিধি, দণ্ডবিধি, স্পেশাল আইন, আর্মস অ্যাক্টস, দ্রুত বিচার আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টস। ফৌজদারি কার্যবিধিতে পড়তে হবে ফার্স্ট ইনফোরশেন রিপোর্ট, চার্জশিট, আমলযোগ্য অপরাধ, আমল অযোগ্য অপরাধ, জবানবন্দি, ইনকোয়ারি, ইনভেস্টিগেশন, অ্যারেস্ট ইউথআউট ওয়ারেন্ট, জেরাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো। দণ্ডবিধিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ, আঘাত সম্পর্কিত ধারাগুলো গুরুত্বপূর্ণ। ব্যতিক্রম ধারাগুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

পারিবারিক আইনগুলোতে পড়তে হবে মুসলিম আইন, হিন্দু আইন, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ও যৌতুক নিরোধ আইন। মুসলিম আইনে বিভিন্ন ধরনের জুডিশিয়াল ডিসিশন দেখতে হবে, বিয়ে, তালাক, দান, অসিয়ত, গার্ডিয়ানশিপ বিষয়গুলো পড়তে হবে।

সাংবিধানিক আইন, জেনারেল ক্লজেস অ্যাক্ট ও সাক্ষ্য আইন বিষয়ে এক দিনে পরীক্ষা হবে। পড়তে হবে ফান্ডামেন্টাল রাইট, রুল অব ল, সেপারেশন অব পাওয়ার, অ্যাফেক্টস অব ভায়লেশন অব ফান্ডামেন্টাল রাইট। প্রতিটি আইনের ধারার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামলার রায় পড়তে হবে।

বাংলা, গণিত ও ইংরেজির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাস অনুসারে পড়তে হবে।

রিমি সাহা জানান,  লিখিত পরীক্ষায় সময় কম পাওয়া যায়। তাই প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে। উত্তরে কোন ধরনের রেফারেন্স আনা যাবে, কোন আইনের কোন ধারাটি লেখা যাবে তার একটি বায়োগ্রাফি মনে মনে আঁকতে হবে। তারপর বিশ্লেষণসহ সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে হবে।

 

মৌখিক পরীক্ষা

আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সব সময় যে আইন থেকেই প্রশ্ন করবে এমনটি না-ও হতে পারে। পরীক্ষার্থীর আইনসংক্রান্ত জ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, মানসিক দক্ষতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, বাচনভঙ্গি, ব্যক্তিত্ব প্রভৃতি বিষয় যাচাই করা হতে পারে।

 

বেতন ও সুযোগ-সুবিধা

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেল ২০১৬ অনুসারে ৩০৯৩৫-৬৪৪৩০ টাকা স্কেলে বেতন দেওয়া হবে। একজন সহকারী জজ জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ ও জেলা জজ পর্যন্ত হতে পারেন।

 

বড় সিলেবাস দেখে অনেকেই খেই হারিয়ে ফেলে

ফরিদ উদ্দীন

প্রথম স্থান অধিকারী, ১০ম বিজেএস পরীক্ষা

 

আমার বিশ্বাস, একটি চাকরিকে টার্গেট করে পড়াশোনা করলে সাফল্য আসবেই। বিসিএস, ব্যাংকসহ অন্যান্য চাকরির কথা ভুলে যান। আপনার ধ্যান-জ্ঞান হবে শুধুই সহকারী জজ হওয়া। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, একেক সময় একেক ধরনের পড়াশোনা করি। ফলে আমরা Jack of all trades, master of none. আজ থেকে আপনি জুডিশিয়ারির সিলেবাস নিয়ে পড়ে থাকুন। আমি নিশ্চিত, আপনি এবারই জজ হবেন অথবা পরেরবার কিংবা তার পরেরবার। জজ আপনি হবেনই। হওয়াটাই বড় কথা।

বিশাল বড় সিলেবাস দেখে অনেকেই খেই হারিয়ে ফেলে। ভাবছেন, আগে পড়া নেই, এই কয় দিনে এত বড় সিলেবাস কিভাবে শেষ করব? আগে খুব বেশি পড়া আমারও ছিল না। জজ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে এবং বিশাল বড় সিলেবাস দেখে this is the last time বলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। ধরেই নিলাম, আপনার ভালো প্রস্তুতি নেই। কিন্তু আপনি তো আইনের ছাত্র। আইনের বইগুলোতে কোথায় কী আছে আপনার জানা। আজ থেকেই শুরু করুন। A good beginning is half done.ভাবছেন, আপনার রেজাল্ট খারাপ? অথবা আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিখ্যাত নয়? ভাইভা বোর্ডে আপনাকে বাদ দিয়ে দেবে! চাকরি হয় যোগ্যতায়। রেজাল্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো ফ্যাক্টর নয়। আমার এলএলবিতে সেকেন্ড ক্লাস, এলএলএমে ফার্স্ট ক্লাস। এই রেজাল্ট নিয়ে কোনোদিন হীনম্মন্যতায় ভুগিনি। জানতাম, আমি কী করতে পারি। আর খোঁজ নিয়ে দেখুন, ভালো চাকরি কিন্তু ব্যাকবেঞ্চাররাই বেশি পায়! আপনার ভেতর যে স্ফুলিঙ্গ আছে, সেটার স্ফুরণ ঘটানোর দায়িত্ব আপনারই।

এত কথা কেন বললাম? বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী আগেই ধরে নেয় যে তার হবে না। যুদ্ধ শুরু করার আগেই হেরে যায়। বিশ্বাস করুন, ১০০ শতাংশ প্রিপারেশন নিয়ে কেউ পরীক্ষা দিতে পারে না। যে বিশাল সিলেবাসে পরীক্ষা হয়, তা শেষ করার বা শেষ করেও মনে রাখার সাধ্য কারো নেই। সুতরাং আপনি পাস করবেন—এটা ধরেই আগান। আপনি আপনার সাধ্যের আরো একটু বেশি চেষ্টা করুন। তাতেই সই।

একটা কমন প্রশ্ন, ‘কিভাবে পড়াশোনা করলে জজ হতে পারব?’ আগে প্রিলির প্রশ্নের ধরন কেমন হবে, সেটি একটা ধাঁধার মতো ছিল। এখন মোটামুটি নিশ্চিত যে আইন থেকে ৬০ থেকে ৮০টি প্রশ্ন হবে। বাকি প্রশ্নগুলো করা হবে ইংরেজি, বাংলা, সাধারণ জ্ঞান, গণিত, বিজ্ঞান থেকে। প্রিলিতে ৫০ পেলেই আপনি পাস। প্রিলির নম্বর যেহেতু যোগ হয় না এবং ৫০ পেলেই পাস, সেহেতু প্রিলিতে আপনি ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়ার জন্য পড়বেন না। আমি যেটা করেছি সেটা হলো, আমার পছন্দের কিছু সাবজেক্ট ভালো করে পড়েছি। পছন্দের তালিকায় সেসব সাবজেক্ট রেখেছিলাম, যেগুলো রিটেন ও ভাইভায় কাজে লাগবে। প্রিলির প্রশ্ন নিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখেছি, কোথা থেকে প্রশ্ন বেশি আসে। একটা খাতায় সেই সব টপিক লিখে সেগুলো বিভিন্ন বই থেকে পড়ে ফেলেছি। যেসব বিষয় ভুলে যেতে পারি, সেগুলো নোট করেছি। প্রিলির প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০-৩০ মার্কের যে সাধারণ বিষয়াবলি থেকে প্রশ্ন আসে, সেগুলো কমন ফেলা কঠিন। আপনার বেসিক ভালো হলে এমনিতেই পারবেন। তাই এ বিষয়ে খুব বেশি মাথা না ঘামিয়ে আইন ভালো করে পড়ুন। সিপিসি, সিআরপিসি, অ্যাভিডেন্স অ্যাক্ট, স্পেসিফিক রিলিফ অ্যাক্ট, পেনাল কোড, সাংবিধানিক আইন, মুসলিম ও হিন্দু আইন, ভূমি আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন—মোটামুটি এই বিষয়গুলো থেকে বেশি প্রশ্ন হয়। একটি বা দুটি সহায়ক বই কিনে পড়ে শেষ করতে হবে।

আমার মনে হয়েছে, সাধারণ বিষয়াবলির জন্য প্রিলি ডাইজেস্টই যথেষ্ট। অনেকেই বলেন, শুধু ডাইজেস্ট পড়লে হবে? কিন্তু ৯০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী ডাইজেস্ট পড়েই শেষ করতে এবং সব মনে রাখতে পারে না। কারণ এতে প্রচুর তথ্য থাকে। প্রিলিতে ম্যাথ খুব বেশি আসে না। সাধারণ সূত্রের প্রয়োগ সংবলিত ম্যাথগুলো করে রাখা ভালো। সাম্প্রতিক বিষয় পড়ে মাথা নষ্ট না করাই শ্রেয়। তবে চোখ-কান খোলা রাখা উচিত। বাংলা-ইংরেজির জন্য এখন থেকেই প্রিপারেশন নিলে রিটেনে ভালো করা যাবে। ইংরেজি গ্রামারের জন্য আমার পছন্দের বই ছিল জাকির হোসেনের A passage to the English language, চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইনের ইন্টারমিডিয়েট গ্রামার বই। তবে এই বইগুলো যতটা না পড়েছি, তার থেকে বেশি পড়েছি ইংলিশ নিউজ পেপার, নেটে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন আর্টিকল। গ্রামার নিয়ে কোনো প্রশ্নের উদ্ভব হলে বা কোনো শব্দের অর্থ জানার দরকার হলে সঙ্গে সঙ্গে নেটে সার্চ দিয়ে বের করে পড়েছি। বাংলার জন্য সৌমিত্র শেখরের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, মুনীর চৌধুরী ও হায়াত মামুদের ব্যাকরণ বই ফলো করেছি।

এবার আসি রিটেনে। ১০০০ মার্কের পরীক্ষা হয়, ৬০০ মার্ক আইনের ওপর আর ৪০০ মার্ক সাধারণ বিষয়াবলির ওপর। লিখিত পরীক্ষায় কোনো বিষয়ে ৩০-এর কম পেলে ফেল আর সব বিষয় মিলিয়ে ৫০ শতাংশ মার্কস পেলে পাস। ৬০০ নম্বরের আইনের জন্য প্রায় ৫০টি আইন পড়তে হয়, বুঝতে হয়, মনে রাখতে হয়—যা আসলেই ভয় উদ্রেককারী। এত বিশাল সিলেবাস দেখে অনেকেই হতাশ হয়ে আশা ছেড়ে দেয়। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোই পরীক্ষায় আসে, যা একটু চিন্তা করলে কমন ফেলা যায়। আমি রিটেনে একটা প্রশ্নও ছেড়ে আসিনি। ১০০০ মার্কের উত্তর করেছিলাম। অযথা বড় করে উত্তর লিখিনি। কাঠখোট্টা না আবার বাগাড়ম্বরও না। অনেকের স্বভাব আছে পৃষ্ঠা ভরানো। রচনা ২০ পেজ না লিখলে তাদের মন ভরে না। আমার যুক্তি হচ্ছে, একটা বিষয় সম্পর্কে যতটুকু লিখলে সেটা পরিষ্কারভাবে পরীক্ষককে বোঝানো যায়, ততটুকুই লিখব। প্রশ্নের নম্বর কম হলে কম লিখব।

বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ টপিক থেকে প্রশ্ন আসে এবং সঙ্গে সঙ্গে অতীতের বিষয়গুলো টেনে আনা হয়। যেমন—ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার বিবাদে ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকার অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণ কী? ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের ইতিহাস আলোচনা করে এই সমর্থনের যৌক্তিকতা বিচার করুন। এ বিষয়ে বাজারের যেকোনো একটা লিখিত ডাইজেস্ট পড়লেই হবে।

গণিতের জন্য আগের বিসিএস ও বিজেএস পরীক্ষার সব প্রশ্ন বুঝে বুঝে সমাধান করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। বিজ্ঞানের জন্য দৈনন্দিন জীবনে যেসব বিজ্ঞানের বিষয় চোখে পড়ে, সেখান থেকেই প্রশ্ন আসে। ইংরেজি ও বাংলার জন্য আগে যেসব বইয়ের কথা বলেছি, সেখান থেকে গ্রামার বা ব্যাকরণ, সাহিত্য পড়তে পারেন।

সাধারণ বিষয়াবলিতে সময় কম দিয়ে আইন পড়েছি বেশি। ক্লাসে যে বই পড়েছি, সেই বই থেকেই নতুন করে পড়েছি। বেয়ার অ্যাক্ট সামনে নিয়ে মিলিয়ে পড়েছি। নোট করেছি। ছোট স্পেশাল লগুলো বেয়ার অ্যাক্ট থেকে পড়লেই হবে। কিন্তু সাংবিধানিক আইন, মুসলিম/হিন্দু আইন, সিপিসি, সিআরপিসিসহ বেশ কিছু আইন বিস্তারিত পড়তে হবে এবং লেখার সময় কিছু কেস রেফারেন্স দিতে হবে।

এবার ভাইভা প্রসঙ্গ। আমার কাছে যা মনে হয়েছে, আপনি ভাইভা বোর্ডে কী পারলেন না পারলেন, সেটা যতটা না বড় বিষয়, তার থেকে বিবেচ্য বিষয় হলো, আপনি এই পদের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন কি না।

কিছু কিছু কমন প্রশ্ন প্রিলি, রিটেন, এমনকি ভাইভায়ও করা হয়। যেমন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও মুক্তিযুদ্ধ, মামলা দায়েরের পদ্ধতি, সময়সীমা, বিচারপ্রক্রিয়া, আপিল, রিভিউ, রিভিশন।

সব শেষে একটা কথা, আপনার পরিশ্রম অর্থহীন, যদি আপনি সুস্থ শরীরে পরীক্ষা দিতে না পারেন। শুভ কামনা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিমানবাহিনীর অফিসার ক্যাডেট হওয়ার সুযোগ

    ‘ডিই-২০২৬এ’ ও ‘এপিএসএসসি-২০২৬এ’ কোর্সে অফিসার ক্যাডেট নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। আবেদন করতে হবে অনলাইনে ২৭ আগস্ট ২০২৫ এর মধ্যে। নির্বাচনী পরীক্ষার ধাপ, পরীক্ষা পদ্ধতিসহ দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
বিমানবাহিনীর অফিসার ক্যাডেট হওয়ার সুযোগ
ছবি : বাংলাদেশ বিমানবাহিনী

নির্বাচন পদ্ধতি ও পরীক্ষার ধরন

প্রথমে নেওয়া হবে প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষা। উত্তীর্ণদের দ্বিতীয় ধাপে নেওয়া হবে প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা। এরপর ধাপে ধাপে প্রাথমিক মৌখিক, আন্তঃবাহিনী নির্বাচন পর্ষদ (আইএসএসবি বা এসএসবি), কেন্দ্রীয় চিকিৎসা পর্ষদ (সিএমবি) কর্তৃক চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ক্যাডেট চূড়ান্ত নির্বাচন পর্ষদ (সিএসএসবি) পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং, এটিসি, এডিডব্লিউসি, ফিন্যান্স ও মিটিওরলজি শাখায় স্বল্পমেয়াদি কমিশন (ডিই-২০২৬এ) এবং শিক্ষা (পদার্থ ও গণিত) শাখায় বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশন (এপিএসএসসি-২০২৬এ) কোর্সে জনবল নেওয়া হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিং, এটিসি, এডিডব্লিউসি ও মিটিওরলজি শাখার প্রার্থীদের আইকিউ, ইংরেজি, গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। শিক্ষা শাখার (পদার্থ ও গণিত) প্রার্থীদের আইকিউ, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে এবং ফিন্যান্স শাখার প্রার্থীদের আইকিউ, ইংরেজি ও বিজনেস স্টাডিজ বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।

 

নির্বাচনী পরীক্ষার স্থান ও সূচি

সব জেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে এই ঠিকানায়—বাংলাদেশ বিমানবাহিনী তথ্য ও নির্বাচনী কেন্দ্র, পুরাতন বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা। প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৭ ও ৩০ জুলাই ২০২৫ এবং ৩, ৬, ১০, ১৩, ১৭, ২৪, ২৭ ও ৩১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।

প্রয়োজনীয় সব সনদ ও কাগজপত্রসহ নির্ধারিত তারিখে সকাল ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে।

 

প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা

নির্বাচিতদের বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমিতে ছয় মাস প্রশিক্ষণ নিতে হবে। স্বল্পমেয়াদি কমিশনে সরাসরি ফ্লাইং অফিসার এবং বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশনে সরাসরি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণকালীন অফিসার ক্যাডেটরা পাবেন ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা।

এর পর ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার ক্ষেত্রে এককালীন ৫৯,১৫০ টাকা এবং বিশেষ স্বল্পমেয়াদি কমিশন কোর্সের ক্ষেত্রে এককালীন ৪২,২৫০ টাকা বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে। অফিসার ক্যাডেটরা সরকার নির্ধারিত বিভিন্ন সুবিধার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর বেতনক্রম অনুযায়ী মাসিক বেতন-ভাতা পাবেন। এ ছাড়া রয়েছে বিদেশে প্রশিক্ষণ, উচ্চশিক্ষা, জাতিসংঘ মিশন ও বাংলাদেশ দূতাবাসে কাজের সুযোগ, বাসস্থান ও রেশন, সন্তানদের অধ্যয়ন, চিকিৎসা, গাড়িঋণ ও ডিওএইচএসে প্লটসহ অন্যান্য সরকারি সুবিধা।

 

শারীরিক যোগ্যতা

‘ডিই-২০২৬এ’ প্রার্থীর বয়সসীমা ২০ থেকে ৩০ বছর এবং ‘এপিএসএসসি ২০২৬এ’ প্রার্থীর বয়সসীমা ২১ থেকে ৩৫ বছর হতে হবে। বয়সের হিসাব হবে ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী।

পুরুষ প্রার্থীদের বেলায় উচ্চতা ৬৪ ইঞ্চি। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি, প্রসারণে ৩৪ ইঞ্চি। মহিলা প্রার্থীদের উচ্চতা ৬২ ইঞ্চি। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ২৮ ইঞ্চি, প্রসারণে ৩০ ইঞ্চি। বয়স ও উচ্চতা অনুসারে ওজন। দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি এটিসি/এডিডব্লিউসি শাখার জন্য ৬/১২ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং, শিক্ষা, ফিন্যান্স ও মিটিওরলজি শাখার জন্য ৬/৩৬ পর্যন্ত। অবিবাহিত বা বিবাহিত বাংলাদেশি পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন।

 

শিক্ষাগত যোগ্যতা

শিক্ষাগত যোগ্যতার বিস্তারিত ও দরকারি তথ্য পাওয়া যাবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ওয়েবসাইটে (joinairforce.baf.mil.bd)|

 

আবেদনের অযোগ্য যাঁরা

সেনা/নৌ/বিমানবাহিনী বা যেকোনো সরকারি চাকরি থেকে অপসারিত, বরখাস্ত বা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন এমন প্রার্থীরা আবেদনের অযোগ্য। বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে আইএসএসবি পরীক্ষায় দুবার প্রত্যাখ্যাত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। ফৌজদারি অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত, সিএমবি আপিল মেডিক্যাল বোর্ড কর্তৃক অযোগ্য, দ্বৈত নাগরিক অথবা অন্য কোনো দেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি আছে—এমন প্রার্থীরাও আবেদনের অযোগ্য।

মন্তব্য
ভাইভা অভিজ্ঞতা

প্রভাবশালীরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে কী করবেন?

শেয়ার
প্রভাবশালীরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে কী করবেন?
মো. মেহেদী হাসান

আসসালামু আলাইকুম, স্যার।

চেয়ারম্যান : ওয়া আলাইকুমুস সালাম। বসুন। আপনি এখন কী করছেন?

—ধন্যবাদ স্যার।

আমি বর্তমানে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডে (মিল্ক ভিটা) সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত।

আপনি কী কী দায়িত্ব পালন করেন?

—শীতলীকরণ কেন্দ্রের যাবতীয় কাজ আমার তত্ত্বাবধানেই হয়। যেমন—প্রাণিচিকিৎসা, দুধের মান নিয়ন্ত্রণ, সব হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ, সম্প্রসারণ কাজ পরিচালনা ইত্যাদি।

মিল্ক ভিটায় পদক্রম কী?

—সহকারী ব্যবস্থাপক>উপব্যবস্থাপক> ব্যবস্থাপক>উপমহাব্যবস্থাপক>অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক>মহাব্যবস্থাপক।

বাহ! আমার প্রগ্রামে দুধ লাগবে। আপনি ৩০-৪০ লিটার দুধ দিতে পারবেন?

—দুঃখিত স্যার, পারব না!

কেন পারবেন না?

—শীতলীকরণ কেন্দ্র থেকে দুধ বিক্রি বা সাপ্লাইয়ের সুযোগ নেই। তবে সেলস সেন্টার থেকে দেওয়া সম্ভব।

—প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ভালোই মেনে চলেন তাহলে! গুড।

আচ্ছা, আপনি তো ভেটেরিনারি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন; প্রাণিসম্পদের ক্ষতিকর প্রভাব কী?

—গরু-ছাগলের মতো প্রাণীগুলো উদগিরণের মাধ্যমে প্রকৃতিতে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে। এটি একটি গ্রিনহাউস গ্যাস, যা জলবায়ুতে বিরূপ ভূমিকা রাখে। একটি গরু দিনে প্রায় ৪০০-৫০০ লিটার মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে।

পরিবেশদূষণ বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সরকার কী করছে?

—জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ও অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন ইত্যাদি।

এসডিজি কী? কয়টি গোলস (লক্ষ্য)?

—স্যার, এসডিজির পূর্ণরূপ হলো—সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য)।

এতে ১৭টি গোলস রয়েছে।

এসডিজির সঙ্গে আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রদত্ত একটি তত্ত্বের মিল আছে। সেটি কী?

—থ্রি-জিরো তত্ত্ব।

থ্রি-জিরোর সঙ্গে এসডিজির সম্পর্ক কী?

—নোবেল বিজয়ী বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের থ্রি-জিরো তত্ত্ব অনুযায়ী তিনটি বিষয়কে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো—শূন্য দারিদ্র‍্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ। এই তিনটি শূন্য বাস্তবায়ন হলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। এর ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৭টি গোল পূরণ হবে।

স্থানীয় সরকারের স্তরগুলো বলুন?

—স্যার, শহরে—পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এবং গ্রামে—জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ।

কিছুদিন আগে পেপারে দেখলাম কেউ কেউ ব্যয় কমাতে সরকারের আকার ছোট করতে পরামর্শ দিচ্ছে। আপনার মত কী? 

—জি স্যার। আমার মতে, সরকারের আকার ছোট করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার সাহায্যে শাসনকার্য চালানো যেতে পারে।

প্রাণিসম্পদে বর্তমান সরকারের চলমান কিছু প্রকল্প সম্পর্কে বলুন?

—লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প, পিপিআর রোগ নির্মূলকরণ প্রকল্প, প্রাণিপুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদি।

 

এক্সটারনাল-১ : আপনি ইউএনও হলে জনগণকে সরাসরি কী কী সেবা দেবেন?

—আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি, নির্বাচন পরিচালনা, বিভিন্ন ভাতা প্রদান, ত্রাণ বিতরণ, অনুদান প্রদান ইত্যাদি।

অনুদান প্রদানের সময় স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রভাবিত করলে বা দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে কী করবেন?

—আমি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুদান প্রদান করতে থাকব। যদি কেউ প্রভাবিত করে, সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেব। পুনরায় এমন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

ধরুন, আপনি উপসচিব হওয়ার পর আর প্রমোশন পাননি। এ অবস্থায় আপনার সেবা দেওয়ার গতি কি কমে যাবে?

—না স্যার। বিধি অনুযায়ী আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করব।

মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের পদক্রম বলুন।

—সহকারী সচিব>সিনিয়র সহকারী সচিব>উপসচিব>যুগ্ম সচিব>অতিরিক্ত সচিব>সচিব।

 

এক্সটারনাল-২ : আপনার বাড়ি আবু সাঈদের এলাকায়, আপনি গর্বিত?

—অবশ্যই স্যার।

 ঠিক আছে, কাগজপত্র নিয়ে যান।

 

 

 

মন্তব্য

দেড়শ সিনিয়র অফিসার নেবে পূবালী ব্যাংক

    সিনিয়র অফিসার পদে ১৫০ জন নিয়োগ দেবে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক পূবালী ব্যাংক। বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগে আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স-সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য এসব কর্মকর্তা নেওয়া হবে। অনলাইনে আবেদন করতে হবে ২০ জুলাই ২০২৫ এর মধ্যে। আবেদন প্রক্রিয়া, পরীক্ষা পদ্ধতি ও নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
দেড়শ সিনিয়র অফিসার নেবে পূবালী ব্যাংক
ছবি : এআই দিয়ে তৈরি

পরীক্ষা পদ্ধতি

প্রার্থী বাছাই করা হবে তিন ধাপের পরীক্ষার মাধ্যমে—এমসিকিউ (প্রিলিমিনারি), লিখিত ও ভাইভা। প্রথমেই এমসিকিউ পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে প্রার্থীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে পরীক্ষার কেন্দ্র, তারিখ ও সময় জানানো হবে। অনেক সময় একই দিনে এমসিকিউ ও লিখিত (রচনামূলক) পরীক্ষা নেওয়া হয়।

দুই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সব শেষে ভাইভা (মৌখিক) পরীক্ষায় ডাকা হবে। প্যানেল তৈরির মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগ দেবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

 

বিগত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ

২০২৩ সালের সিনিয়র অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়েছে এক ঘণ্টায়। এখানে বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্যে ২৫টি প্রশ্ন, ইংরেজি সাহিত্য ও ব্যাকরণে ২৫টি প্রশ্ন, গণিতে ২৫টি প্রশ্ন এবং সাধারণ জ্ঞান, ব্যাংকিং ও আইসিটি মিলে ২৫টি প্রশ্ন করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১০০ নম্বরের লিখিত (রচনামূলক) পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। বিগত প্রশ্নপত্র অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারেন। তবে এবারের পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন ভিন্নও হতে পারে।

 

প্রস্তুতির জন্য করণীয়

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরীক্ষা পদ্ধতি ও ধরন প্রায় একই রকম।

তাই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিগত প্রশ্নপত্র বেশি বেশি অনুশীলন করতে হবে। এর ফলে বিষয়বস্তুর ওপর ভালো প্রস্তুতির পাশাপাশি নিজের দুর্বলতাগুলোও শনাক্ত করা যাবে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ, গদ্য ও সাহিত্য, ইংরেজি গ্রামার, বীজগণিত, পাটিগণিত, জ্যামিতি, পরিমিতির অংশগুলো আয়ত্তে রাখতে হবে। জেনারেল ব্যাংকিং, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবেলিটি, বৈদেশিক বাণিজ্য (ফরেন ট্রেড) বিভাগের আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স-সংশ্লিষ্ট ব্যাংকিং বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিতে হবে। কম্পিউটার বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণাসহ এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেলে কাজের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
ইংরেজিতে কথা বলা ও লেখার দক্ষতাও বাড়াতে হবে। এমসিকিউ ও রচনামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে ব্যাংকিং পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সহায়ক বই পাওয়া যায়। বইগুলো নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বেশ কাজে দেবে।

 

আবেদনের যোগ্যতা

সরকার স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে প্রার্থীদের। বিদেশে পড়াশোনা করা প্রার্থীদের সমমানের সনদ থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের সবগুলো পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ থাকতে হবে। এ ছাড়া গার্মেন্টস এক্সপোর্ট (ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ) বিষয়ে অফিসার বা সমপদে কোনো ব্যাংক বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম এক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কম্পিউটারে দরকারি কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। প্রার্থীর বয়স হতে হবে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর।

শর্ত—ব্যাংকের যেকোনো শাখায় কাজের মানসিকতা থাকতে হবে। নিয়োগের পর এক বছরের প্রবেশন শেষে ব্যাংকটিতে পাঁচ বছর চাকরি করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

 

পদায়ন

যোগদানের পর প্রথম এক বছর ‘প্রবেশন সময়’ হিসেবে কাজ করতে হবে। প্রবেশনের সময় প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়া হবে। প্রবেশন সময় মূল্যায়ন করে এক বছর পর সিনিয়র অফিসার পদে পদায়ন করা হবে। এরপর ব্যাংকটির সিনিয়র অফিসার পদের নির্ধারিত বেতনকাঠামো অনুসারে মাসিক বেতন, উৎসব বোনাস, বৈশাখী বোনাসসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।

 

আবেদন লিংক

www.pubalibangla.com/career

 

মন্তব্য

এসএসসি পাসে কনস্টেবল নিয়োগ

    সারা দেশ থেকে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ পুলিশ। জিপিএ ২.৫ পাওয়া এসএসসি বা সমমানের পুরুষ ও নারী প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন। অনলাইনে আবেদন করতে হবে ২৪ জুলাই ২০২৫ এর মধ্যে। বাছাই প্রক্রিয়া, পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রস্তুতিসহ বিস্তারিত জানাচ্ছেন রাকিবুল ইসলাম
শেয়ার
এসএসসি পাসে কনস্টেবল নিয়োগ
ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

খেয়াল রাখুন

প্রার্থী বাছাই হবে শারীরিক মাপ, সক্ষমতা যাচাই, লিখিত পরীক্ষা, স্বাস্থ্যসহ কয়েক ধাপের পরীক্ষা ও যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। অনলাইনে আবেদনের সময় ট্রেকিং নম্বর ও আবেদনের রঙিন প্রিন্ট সংরক্ষণ (প্রিন্ট) করে রাখুন। বাছাই পরীক্ষার দিন নির্ধারিত কেন্দ্রে সময়মতো উপস্থিত থাকতে হবে। দরকারি পোশাকও সঙ্গে রাখতে হবে।

লিখিত পরীক্ষার জন্য ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই পড়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কেও জানাশোনা থাকতে হবে। এর জন্য নিয়মিত পত্রিকার পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞানের বইও পড়তে হবে।

 

বাছাই পদ্ধতি ও পরীক্ষা

প্রার্থী বাছাই হবে বেশ কয়েকটি ধাপে।

প্রথমেই নেওয়া হবে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং টেস্ট। পর্যায়ক্রমে নেওয়া হবে শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও ফিজিক্যাল এনডোরেন্স বা পিইটি পরীক্ষা। এরপর প্রার্থীদের ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১৫ নম্বরের ভাইভা ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
পরীক্ষার ফল অনুসারে মেধাক্রম ও সরকারের প্রযোজ্য নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে এসব প্রার্থীর মধ্য থেকে চূড়ান্ত তালিকা করা হবে। চূড়ান্তভাবে বাছাই করা প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষানবিশ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।

 

লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি

বিগত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্রে দেখা গেছে, লিখিত পরীক্ষা হয়েছে রচনামূলক পদ্ধতিতে ৪৫ নম্বরে।

সময় দেড় ঘণ্টা। এই পরীক্ষার প্রশ্ন হয় মাধ্যমিক পর্যায়ের বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের ওপর। সাধারণত বাংলায় ১৫, ইংরেজিতে ১৫ এবং গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ১৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। বাংলায় রিপরীত শব্দ, বাক্য রচনা ও বাগধারা, সমোচ্চারিত শব্দ, সন্ধিবিচ্ছেদ, রচনা, প্রবাদ-প্রবচনের ওপর প্রশ্ন থাকতে পারে। এর বাইরে পত্রলিখন/দরখাস্ত অথবা ভাবসম্প্রসারণও আসতে পারে। তাই গুরুত্বপূর্ণ রচনা ও ব্যাকরণের উল্লিখিত অধ্যায়গুলো খুব গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। ইংরেজিতে ট্রান্সলেশন, আর্টিকল, প্যারাগ্রাফ, ফিল ইন দ্য ব্ল্যাংকস, প্রিপজিশন অধ্যায়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া লেটার রাইটিংয়েও প্রশ্ন থাকতে পারে। ইংরেজির এই অংশ বা অধ্যায়গুলোতে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। গণিতের পাটিগণিতের শতকরা, ঐকিক, সুদকষা এবং বীজগণিতের উৎপাদকের বিশ্লেষণ, সেট অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। তাই পাটিগণিত ও বীজগণিতের সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোতে প্রস্তুতি নিতে হবে। সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নে সমসাময়িক বিষয়ের ওপর ‘এককথায়’ প্রশ্ন থাকতে পারে। এই অংশে ভালো করতে হলে সমসাময়িক সংবাদ, তথ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে। টিআরসি পদের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার তুলনায় সহজ করা হয়। প্রশ্নপত্র সম্পর্কে ভালো ধারণা পেতে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো অনলাইন থেকে দেখে নিন। তবে ভালো প্রস্তুতির জন্য প্রস্তুতিমূলক সহায়ক বই সংগ্রহ করতে পারেন। এসব বইয়ে বিগত প্রশ্নপত্র (উত্তরসহ), সাজেশন ও বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিকস গোছানো থাকে।

 

বাছাই পরীক্ষায় সঙ্গে রাখবেন

বাছাই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। শারীরিক পরীক্ষার (ফিজিক্যাল টেস্ট) সময় প্রবেশপত্রের ডাউনলোডকৃত দুই কপি, শিক্ষাগত যোগ্যতা পরীক্ষার মূল বা সাময়িক সনদ, সর্ব শেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক চারিত্রিক সনদের মূল কপি, স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি, অভিভাবকের সম্মতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। একই সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি, সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তার সত্যায়িত তিন কপি পাসেপোর্ট আকারের ছবি, মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সনদ, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সুবর্ণ নাগরিক কার্ডের মূল কপি, তৃতীয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন কর্তৃক সনদ এবং চাকরিজীবী প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় সনদ দেখাতে হবে।

 

প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা

নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) হিসেবে ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ চলাকালে বিনামূল্যে পোশাক, থাকা-খাওয়াসহ মাসিক প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হবে। সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করলে শিক্ষানবিশ কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষানবিশ কনস্টেবল পদধারীদের বেতন জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ১৭তম গ্রেডে ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা। ন্যূনতম দুই বছর শিক্ষানবিশ কনস্টেবল হিসেবে চাকরির পর কনস্টেবল পদে চাকরি স্থায়ী করা হবে। কনস্টেবল পদের কর্মীরা বেতনের পাশাপাশি বিনামূল্যে পোশাক, ঝুঁকিভাতা, বাসস্থান, খাওয়া ও চিকিৎসা ভাতা পাবেন। এ ছাড়া থাকছে স্বল্পমূল্যে পারিবারিক রেশন সুবিধা, পদোন্নতি ও জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে কাজের সুযোগ। চাকরি থেকে অবসরের পর যথারীতি পেনশন সুবিধাও পাবেন।

 

সুযোগ যাঁদের

এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ অন্তত ২.৫০ থাকলেই আবেদন করা যাবে। প্রার্থীদের জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক (পুরুষ অথবা মহিলা) এবং অবিবাহিত হতে হবে। পুরুষ প্রার্থীদের বেলায় মেধা কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্বা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। বুকের মাপ—মেধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি, সম্প্রসারণে ৩২ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্বা কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি, সম্প্রসারণে ৩১ ইঞ্চি। মহিলা প্রার্থীদের বেলায় মেধা কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। ওজন বয়স ও উচ্চতা অনুসারে এবং চোখের দৃষ্টি ৬/৬। ২৪ জুলাই ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছর।

    

আবেদন লিংক ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

http://police.teletalk.com.bd 

https://www.police.gov.bd

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ