ঢাকা, শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫
৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মহররম ১৪৪৭

দেশসেরা পত্রিকাবিশারদ

  • ২০ সেপ্টেম্বর। রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে বসেছিল সংবাদপত্রবিষয়ক ‘নিউজপেপার অলিম্পিয়াডে’র প্রথম আসরের জাতীয় রাউন্ড। তাতে দেশসেরা পত্রিকাবিশারদ হয়েছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাদিয়া শান্তা। সেই গল্প জানাচ্ছেন গোলাম মোর্শেদ সীমান্ত। ছবি তুলেছেন মোহাম্মদ আসাদ
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
দেশসেরা পত্রিকাবিশারদ
‘সেরা পত্রিকাবিশারদ’ সাদিয়া শান্তা

‘নিউজপেপার অলিম্পিয়াডে’র যাত্রা শুরু আঞ্চলিক পর্যায়ে। ১১টি অঞ্চলে অংশ নিয়েছিলেন ৩৯ জেলার প্রায় ১০ হাজার প্রতিযোগী। এঁরা স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্য থেকে আঞ্চলিক পর্যায়ের সেরাদের নিয়ে আয়োজিত হয় চূড়ান্ত অলিম্পিয়াড।

আর সেখানেই সেরাদের সেরা ঢাকার মেয়ে সাদিয়া শান্তা।

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে শান্তা এখন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের ছাত্রী। পিএসসি ও জেএসসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি এবং এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ জানান দেয়, পড়াশোনায় তিনি কতটা তুখোড়। পত্রিকার প্রতি তাঁর আগ্রহ জাগে শিক্ষাবিষয়ক ফিচার পাতা পড়ে।

নিজেকে ঝালিয়ে নিতে সেই পাতায় চোখ বোলানো তাঁর অভ্যাস। সেই সুবাদে অন্য পাতাগুলোও নেড়েচেড়ে দেখেন। পত্রিকা পড়ার অভ্যাস যে তাঁর পড়াশোনায় ক্ষতি নয়, উপকার করেছে, তারই সাক্ষ্য ‘নিউজপেপার অলিম্পিয়াডে’ এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন।

অলিম্পিয়াডের ডাক

একদিন ফেসবুকে এক বন্ধুর শেয়ার দেওয়া একটি পোস্ট চোখে পড়ে।

সেই সূত্র ধরে আগ্রহ নিয়ে অলিম্পিয়াডে অংশ নেন শান্তা। ঢাকা থেকে আঞ্চলিক পর্যায়ে সেরা পাঁচজনের একজন হয়ে যান। সেই অভিজ্ঞতা জানালেন তিনি, ‘১ মে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকার আঞ্চলিক পর্ব। গিয়ে দেখি, কম করে হলেও এক হাজার প্রতিযোগী! তবু সাহস হারাইনি। ফল ঘোষণার সময় একে একে যখন চারজনের নাম ডাকা হলো, ধরেই নিলাম, বাদ পড়ে গিয়েছি।
কে জানত, শেষ নামটি আমারই হবে!’

এরপর আঞ্চলিক পর্যায়ে বিজয়ীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রতিযোগিতা। সেখানে পাঁচ দলে ভাগ করা হয় নির্বাচিত প্রতিযোগীদের। বিজয়ী প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা তিনজনকে করা হয় বাছাই। শান্তা জানালেন, ‘সেই ১৫ জনের মধ্যে সেরা হতে পেরে আমি খুশি। আসলে মায়ের অনুপ্রেরণা আর বাবার দেওয়া সাহসই পথ দেখিয়েছে।’

আয়োজকদের চোখ

নিউজ অলিম্পিয়াডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এহসানুল মাহবুব লাব্বী জানালেন, ‘১০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে সেরা পত্রিকাবিশারদকে খুঁজে বের করা সহজ ছিল না। যেহেতু পত্রিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়, তাই আমাদের কাজ করতে হয়েছে সাবধানে। আমাদের একাডেমিক টিমকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তাঁরা প্রশ্ন বানাতে রাত জেগে পত্রিকা পড়েছেন এবং তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সবচেয়ে মানসম্মত প্রশ্ন যেন করা যায়, সে জন্য প্রতি সিলেকশন রাউন্ডের প্রশ্ন বানাতে ১৫ দিনেরও বেশি সময় লাগত আমাদের। আর জাতীয় রাউন্ডের প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে দুই মাস ধরে।’

তিনি আরো জানালেন, ‘যতটুকু সম্ভব নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছি আমরা।’ এই প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক পর্যায়ে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিক এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকতা এবং ক্যারিয়ার বিষয়ে বক্তা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন, সাংবাদিক তুষার আব্দুল্লাহ, কাজল রশীদ শাহীনসহ অনেকে।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ