একটি শিশু মানুষ হিসেবে কেমন হবে, তার অনেকখানি নির্ভর করে তাকে কোন পদ্ধতিতে লালন-পালন করা হচ্ছে তার ওপর। নগরভিত্তিক সমাজে শিশুরা চার দেয়ালের ভেতর বন্দি থাকে। তারা বাইরে থেকে শেখার সুযোগ খুব কম পায়, আর এ কারণেই মা-বাবার লালন-পালন পদ্ধতি শিশুর ওপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। শিশুটি আত্মবিশ্বাসী ও সহযোগিতার মনোভাব সম্পন্ন হবে, নাকি বিদ্রোহী অথবা প্যাসিভ হবে, তা লালন-পালনের ওপর নির্ভর করে।
আপনার শিশু
সন্তান পালনের নানা পদ্ধতি
notdefined

শিশু লালন-পালন পদ্ধতি
শিশু লালন-পালনের কয়েকটি পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। এগুলো হলো অথোরেটারিয়ান, পারমিসিভ, ওভার প্রটেক্টিভ, আনইনভলভমেন্ট এবং অথোরেটেটিভ। এগুলোর বাংলা নাম দিলে সঠিক অর্থটি আসে না, তাই ইংরেজি শব্দই ব্যবহার করা হলো।
অথোরেটারিয়ান
এই পদ্ধতির মা-বাবারা কড়া শাসনের মধ্যে ছেলেমেয়ে মানুষ করতে চান।
পারমিসিভ
এই পদ্ধতি আগের পদ্ধতির (অথোরেটারিয়ান/স্বৈরাচারী) চেয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে তেমন কোনো নিয়ম-কানুন নেই। নিয়ম থাকলেও তা খুবই এলোমেলোভাবে থাকে। শিশুর সব চাহিদা বলামাত্রই পূরণ করা হয়। শিশুটি বিপদের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর সম্ভাবনা না থাকলে শিশু যা করতে চায়, তাতেই মা-বাবা অনুমতি দেন। সমাজ কিভাবে তাদের প্রত্যাশা করে তার কোনো ধারণা মাতা-পিতা দেন না। এই শিশু-কিশোররা পরবর্তী সময়ে হটকারী, অসংযত, আক্রমণাত্মক আচরণ করে ও অবিবেচক হয়। কারণ তারা শিখতেই পারে না তাদের আচরণের নেতিবাচক প্রভাব কী এবং কিভাবে নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। ফলে তারা তাদের নিজেদের চাহিদার কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে। এদের অনেকে অনেক সৃজনশীল হলেও তা ভালো কাজে লাগাতে পারে না।
ওভার প্রটেকটিভ
এ ধরনের মা-বাবা সন্তানকে পৃথিবীর সব রকম অনিষ্ট থেকে এতটাই দূরে রাখেন যে শিশুরা বাস্তবতা বুঝতে শেখে না। মা-বাবারা তাদের কোনো কষ্ট পেতে দেন না, সুনির্দিষ্ট বন্ধু ছাড়া অন্য বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিশতে দেন না, ব্যথা পাওয়ার ভয়ে খেলতে পাঠান না, দুর্ঘটনার ভয়ে সাইকেল চালাতে দেন না, প্রেমে পড়বে তাই ছেলেমেয়েকে বিয়ে বাড়িতে যেতে দেন না বা দিলেও সার্বক্ষণিক তাদের সঙ্গেই থাকেন। তাদের সব কাজই মা-বাবা করে দেন। অনেকে এভাবে মানুষ করাকে ‘তোলা’ করে মানুষ করা বলেন। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী জীবনে বাস্তবতা না বুঝে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা থাকে, সামাজিকতা শিখতে পারে না, কষ্ট বা মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে শিখে না, অল্পতেই কাতর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিশু আত্মনির্ভরশীল হয় না ও কোনো কাজে আত্মবিশ্বাস পায় না।
আনইনভলভমেন্ট
পারমিসিভ ও ওভার প্রটেক্টিভ স্টাইলের সম্পূর্ণ বিপরীত হলো আনইনভলভমেন্ট স্টাইল। এ ক্ষেত্রে মা-বাবা সন্তানের কোনো খোঁজ রাখেন না। সন্তানরা যা খুশি তা-ই করার সুযোগ পায়। সন্তান ভালো করলেও খোঁজ রাখেন না ও প্রসংশা করেন না। আবার ক্ষতিকর কোনো কাজ করলেও মা-বাবা তা জানার চেষ্টা করেন না। আর্থিক সংগতি থাকলে মা-বাবার একমাত্র দায়িত্ব হয় তাদের টাকা-পয়সা যা লাগবে দেওয়া। কোনো ধরনের গাইডলাইন তারা দেন না। কোনো যত্নও শিশু পায় না। শিশু হয়তো রাতে জ্বরে ভুগছে। কেউ জানতেও পারেনি তার জ্বর হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে জানলেও মা-বাবার সুযোগ হয়নি তাকে যত্ন নেওয়ার। শিশু তখন অনুভব করে তাকে কেউ ভালোবাসে না। সে একাকিত্বে ভোগে, দুশ্চিন্তা ও হীনম্মন্যতায় ভোগে এমনকি বড় হয়েও তাঁর সম্পর্কগুলোর মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
অথোরেটেটিভ
বিশেষজ্ঞদের মতে শিশু লালনের সব চেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো অথোরেটেটিভ। এ পদ্ধতিতে শিশুর জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন ও একটি সুনির্দিষ্ট সীমারেখা থাকে। শিশু এই সীমারেখার মধ্যে স্বাধীনতা ভোগ করে। আলোচনার মাধ্যমে নিয়ম-কানুনগুলো কখনো কখনো সামান্য শিথিলও করা হয়। শিশুরা বুঝতে পারে এ নিয়মগুলো ন্যায্য ও ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয় না। তাঁরা এটাও জানে, কোনো সমস্যা হলে মা-বাবার সঙ্গে নির্ভয়ে আলোচনা করা যাবে এবং সব সমস্যারই ভালো সমাধান বের করা যাবে। মা-বাবা প্রথমেই বকা দেবেন না বা শুধু শুধু তাদের দোষারোপ করবেন না। এ পদ্ধতিতে মা-বাবা নিয়ম তৈরি করে দেন। কিন্তু তার বাস্তবায়নের দায়িত্বের অনেকাংশ সন্তানদের হাতে তুলে দেন। সন্তান কোনো ভুল করে ফেললে মা-বাবা তাকে উচ্চ স্বরে তিরস্কার না করে শিশুর সঙ্গে বসেন, বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করেন ও ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলেন। নিজের প্রত্যাশার কথা শান্ত অথচ দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দেন এবং ভবিষ্যতে কিভাবে এ ভুল থেকে মুক্ত থাকা যায়, তা আলোচনা করেন। ফলে শিশুরা আত্মবিশ্বাসী, আত্মমর্যাদাপূর্ণ ও ভালো আচরণ নিয়ে বেড়ে ওঠে এবং তারা শিখে যায় কিভাবে আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
প্রত্যেক মা-বাবা নিজস্ব জ্ঞান, পরিস্থিতি ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী শিশুকে লালন-পালন করেন। কোনো মা-বাবাই পারফেক্ট নন। তাই পারফেক্ট না হতে পারার যন্ত্রণাও পাওয়ার দরকার নেই। যেটা করতে হবে : নিজেকে মূল্যায়ন করে দেখুন আপনি কোন পদ্ধতিতে সন্তান লালন করছেন এবং কিভাবে করলে আপনার ও আপনার সন্তানের জন্য ভালো হবে।
সম্পর্কিত খবর

কখন কোথায় কী

সায়েন্সল্যাবে লা রিভের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্টোর
রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে চালু হয়েছে লা রিভের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্টোর। এটি প্রতিষ্ঠানটির ২৬তম এবং ৩য় বৃহত্তম ব্রাঞ্চ। ৩ জুলাই স্টোরটির উদ্বোধন করেন লা রিভের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মন্নুজান নার্গিস, রিভ গ্রুপের চেয়ারম্যান এম রেজাউল হাসান ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। মন্নুজান নার্গিস বলেন, ‘গ্রাহকদের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্টোরটি চালু করেছি।
যাত্রা শুরু মিরপুর ইলেকট্রনিকসের
এক ছাদের নিচে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সেরা সব পণ্য সেবা দিতে যাত্রা শুরু হলো গৃহস্থালি পণ্যের প্রতিষ্ঠান মিরপুর ইলেকট্রনিকসের। ৪ জুলাই মিরপুর ১ এর রূপায়ন লতিফা সামসুদ্দীন স্কয়ারে (সনি সিনেমা হলের বিপরীতে) চালু হয় প্রতিষ্ঠানটি।
আড়ংয়ের সম্প্রসারিত শো রুম
মিরপুর ১২ এক্সটেনশনের সম্প্রসারিত নতুন শো রুম উদ্বোধন করেছে আড়ং।
মিরপুর ১২ আউটলেটটি এখন ঢাকার বড় আড়ং আউটলেটগুলোর অন্যতম।
আরবিটে ব্র্যান্ডিংয়ের অফার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় পণ্য প্রচার ও প্রসার দিন দিন বাড়ছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন অফার দিচ্ছে বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আরবিট ক্রিয়েটিভ হাব। এই অফারে ই কমার্স, এফ কমার্স ব্যবসায়ীদের জন্য অল্প খরচে পাওয়া যাবে ব্র্যান্ডিং, বিজ্ঞাপণ, গ্রাফিকস ডিজাইন, কর্পোরেট এভি, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ও ভিডিওগ্রাফির সুযোগ। এ ছাড়াও রয়েছে ভিডিও অ্যাডস, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টেরও সুবিধা। যোগাযোগ : ০৯৬১০৯৭৮০২৭।

কাপড় শুকানোর সহজ সমাধান
- বর্ষার দিনে আকাশের ঠিক ঠিকানা নেই। এই রোদ তো এই বৃষ্টি। আবার কখনো টানা কয়েকদিন ধরেই আকাশ থাকে মেঘলা। এমন দিনে ধোয়া কাপড় শুকানো নিয়ে পড়তে হয় বিপদে। রোদহীন দিনে কাপড় শুকানোর নানা উপায় জানাচ্ছেন প্রিয়াঞ্জলি রুহি

বৃষ্টি মানেই ভেজা মাটির গন্ধ, স্নিগ্ধ সবুজ, আর চায়ের সঙ্গে ঝরঝরে বিকেল। সেই আনন্দ মুহূর্তেই মলিন হয়ে যায় যদি ঘরের এক কোণায় দেখা দেয় আধা শুকনো, গন্ধযুক্ত কাপড়ের স্তূপ। নিয়মিত কাপড় ধোয়া জরুরি। বর্ষাকালে সেগুলো ঠিকভাবে শুকানো বেশ কঠিন।
বৃষ্টি বুঝে ধোয়ার সময় নির্ধারণ
বর্ষাকালে কাপড় ধোয়ার সবচেয়ে বড় কৌশল হলো সময়জ্ঞান। সকালের দিকে আকাশ খানিকটা পরিষ্কার থাকলে তখনই কাপড় ধুয়ে রশিতে টাঙিয়ে দিন। অনেক সময় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ মেঘলা হতে থাকে, তাই দেরি না করাই ভালো। আর যদি মনে হয় সারাদিন বৃষ্টি হবে, তাহলে ওইদিন ভারী কাপড় না ধোয়াই ভালো।
হালকা কাপড় ধুয়ে শুরু করুন
বর্ষায় ভারী জিনিস যেমন চাদর, তোয়ালে বা জিন্স, পর্দা ধোয়ার থেকে হালকা জামা-কাপড় আগে ধুতে হবে। এগুলো কম সময়েই শুকায়। ভারী কাপড় শুকাতে সময় লাগে বেশি এবং সহজেই ফাঙ্গাল গন্ধ তৈরি হয়। এক দিনে বেশি কাপড় না ধোয়াই ভালো। ঘরের ভেতর শুকানোর কৌশল
যারা ফ্ল্যাটে থাকেন বা ঘরের ভেতরে কাপড় শুকাতে বাধ্য হন, তারা কিছু বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।
ফ্যান-ড্রায়িং ও আয়রনের ব্যবহার
ফ্যান চালিয়ে কাপড় শুকানো কার্যকর একটি উপায়। বিশেষ করে রাতের বেলা। এ ছাড়া অল্প ভেজা কাপড় শুকাতে আয়রনও করা যেতে পারে।
গন্ধ দূর করতে হলে
বর্ষায় ভেজা কাপড়ের ভ্যাপসা গন্ধ থেকে বাঁচতে কাপড় ধোয়ার সময় লিকুইড ডিটারজেন্টের সঙ্গে কিছুটা ভিনেগার বা বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন, বা ফ্লোরাল ফেব্রিক কন্ডিশনারও যোগ করা যায়। এতে কাপড়ে গন্ধ হবে না। এছাড়া ভেজা কাপড় জমিয়ে রাখলে তা থেকেই ছত্রাক জন্মায়, দাগ পড়ে, এমনকি ত্বকে অ্যালার্জিও হতে পারে। তাই রোদ থাকুক আর না থাকুক, ধোয়া কাপড় যত দ্রুত সম্ভব শুকিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

বর্ষায় ত্বক ও চুলের যত্ন
- বর্ষাদিনে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে ত্বক ও চুল প্রভাবিত হয়। অনেকের ত্বকে এলার্জি, র্যাশ, ব্রণ বা সংক্রমণ দেখা দেয়; আবার চুল হয় রুক্ষ, চিটচিটে বা অতিরিক্ত ঝরে পড়ে। কয়েকটি সহজ অভ্যাসই হতে পারে এসবের সমাধান। পরামর্শ দিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞ শোভন সাহা। লিখেছেন অলকানন্দা রায়

ত্বকের যত্ন
বর্ষার আর্দ্র আবহাওয়ায় ত্বক চিটচিট করলেও ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। এসময় ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে হালকা, জেল-ভিত্তিক বা পানিযুক্ত ময়েশ্চার ব্যবহার করা ভালো। যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তারা অ্যালকোহলমুক্ত টোনার ব্যবহার করতে পারেন। বাইরে থেকে ফিরেই মুখ ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
চুলের যত্ন
হুটহাট বৃষ্টিতে চুল প্রায়ই ভিজে যায়, বিশেষ করে রিকশায় বা হেঁটে চলাফেরা করলে। ভেজা চুল আঁচড়ানো কিংবা শক্ত করে বাঁধা একেবারেই উচিত নয়। এতে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঝরে যায়। চুল ভিজে গেলে যত দ্রুত সম্ভব তোয়ালে দিয়ে মুছে ফ্যানের নিচে বা হালকা ব্লো-ড্রায়ারে শুকিয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধোয়া উচিত, যাতে ধুলা, ঘাম ও খুশকি দূর হয়।
ঘরোয়া যত্নে সমাধান
এই ঋতুতে ঘরোয়া উপাদান দিয়েও চুল ও ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। ত্বকে বেসন, মধু ও টক দইয়ের প্যাক লাগালে তা ব্রণ কমায় ও উজ্জ্বলতা আনে। চুলে মেথি ভেজানো পানি বা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে খুশকি কমে এবং চুল ঝলমলে হয়।
প্রকৃতির পালা বদলের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। বর্ষা যেমন প্রকৃতিকে সতেজ করে তোলে, তেমনি আপনি চাইলে নিজের ত্বক ও চুলকেও এই ঋতুতে দিতে পারেন ঔজ্জ্বলতা। তাই যত্নের অভ্যাসটা শুরু করুন আজই।
টিপস
১। খুব গরম পানি নয়, মুখে হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।
২। মেকআপের আগে অবশ্যই প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত, না হলে ত্বকে ব্রণ হতে পারে।
৩। বাইরে থেকে ফিরে মুখ ধুয়ে অ্যালোভেরা জেল লাগালে ত্বক ঠাণ্ডা থাকে। ।৪। চুলের ত্বক পরিষ্কার রাখতে সপ্তাহে একদিন লেবুর রস বা মেথি ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫। শরীর ঘেমে গেলে দ্রুত পোশাক বদলান, যাতে ফাঙ্গাল ইনফেকশন এড়ানো যায়।
৬। বর্ষায় হেয়ার জেল বা স্প্রে ব্যবহারে বিরত থাকাই ভালো। রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে হালকা নাইট ক্রিম বা সিরাম ব্যবহার করুন।
৭। রোদ না থাকলেও বর্ষার দিনে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।

নিরামিষে মজাদার
- মাছ মাংসের ফাঁকে মাঝেমধ্যে নিরামিষ হলে কিন্তু মন্দ হয় না। নিরামিষের পাঁচ পদের রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী লিপি ইসমাইল

কাঁকরোল ভাজি
উপকরণ
কাঁকরোল ৫টি, আলু ২টি, পেঁয়াজ কুচি করা আধা কাপ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরা গুড়া আধা চা চামচ, শুকনা মরিচ ২/৩টি, লবণ স্বাদমতো সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
কাঁকরোল, আলু ধুয়ে ছবিতে দেখানো উপায়ে কেটে নিন।
একটি পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, শুকনা মরিচ দিন। এরপর হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে নাড়ুন।
কাঁকরোল ও আলু আধা সেদ্ধ হয়ে এলে ধনে গুঁড়া দিয়ে অল্প আঁচে ঢাকনা দিয়ে দশ মিনিট রেখে দিন।
কাঁকরোল পুরোপুরি হয়ে এলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
সটেড ভেজিটেবল উইথ কর্ন
উপকরণ
ফুলকপি ডুমো করে কাটা ১ কাপ, সেদ্ধ ভুট্টা আধা কাপ, গাজর লম্বা করে কাটা ১ কাপ, পেঁয়াজের পাতা ১ কাপ, পেঁয়াজ বড় করে কাটা ২ টা, কাঁচামরিচ ফালি ২ টা, মাখন ১ টেবিল চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন
পাত্রে পানি দিয়ে চুলায় দিন।
আরেকটি পাত্রে মাখন গরম করে এতে কেটে রাখা পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ফালি ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে আধা সেদ্ধ সবজি এবং সেদ্ধ করা ভুট্টা দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে রাখুন।
সবজি পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে এলে উপরে গোলমরিচ গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
ক্যাপসি পনির
উপকরণ
পনির দুই শ গ্রাম, ক্যাপসিকাম ২টি, পেঁয়াজ কিউব করে কাটা (ঐচ্ছিক) ২টি, ধনে গুঁড়া এক চা চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, কসুরি মেথি ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চিমটি, ক্রিম সামান্য, টমেটো পিউরি করা ৩টি, আস্ত জিরা সিকি চা চামচ, কাঁচামরিচ ৩/৪টি, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, ময়দা ১ চা চামচ, তেল ২ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।
স্মোকি ফ্লেভারের জন্য
লবঙ্গ ৩/৪টি, ঘি ১ চা চামচ
যেভাবে তৈরি করবেন
পনির ও ক্যাপসিকাম ধুয়ে কিউব করে কেটে কুসুম গরম জলে একটু চিনি ও লবণ দিয়ে পনিরগুলো এতে ডুবিয়ে রাখুন।
পাত্রে তেল গরম করে জিরার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, টমেটো পিউরি দিয়ে একটু নেড়ে ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, কাসুরি মেথি, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ও কাঁচামরিচ দিয়ে ভেজে নিন।
এবার এতে ময়দা দিয়ে ভালো করে নেড়ে ক্যাপসিকাম দিন। ২ মিনিট পর আধা কাপ পানি দিন।
এবার ক্রিম দিয়ে আঁচ কমিয়ে ১ থেকে ২ মিনিট রান্না করে আঁচ বন্ধ করে দিন। একটি স্টিলের বাঁটি গরম করে এতে লবঙ্গ ও ঘি দিন। ধোয়া বের হলে পনিরের কড়াইতে দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে এরপর পরিবেশন করুন।
বাবাগানৌস
উপকরণ
বেগুন ২টি, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, টমেটো ১ টি, রসুন ৪-৫ কোয়া, পেঁয়াজ কুচি করা ২টি, কাঁচা মরিচ কুচি করা ২/৩টি, ধনেপাতা কুচি করা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, লেবুর রস সামান্য
যেভাবে তৈরি করবেন
বেগুন ধুয়ে চাকু দিয়ে একটু দাগ কেটে অলিভ অয়েল মেখে ভেতরে রসুন কোয়া দিয়ে পুড়িয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। টমেটোও আগুনে পুড়িয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন
এবার লেবুর রস বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিন
এরপর উপরে লেবুর রস ছড়িয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার লেবানিজ পদ জনপ্রিয় পদ বাবাগানৌস।
শাহি ভেজিটেবল
উপকরণ
২ কাপ ফুলকপি ডুমো করে কাটা, ২ কাপ সিম ছোট করে কাটা, ১ কাপ গাজর, ১ কাপ বরবটি, ২ টা পেয়াজ কুচি, ২ টুকরো আদা, ২ টুকরো রসুন, ৪ টি কাঁচামরিচ ফালি, ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি, ১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুড়ো, ১ টেবিল চামচ তেল, ১ চা চামচ ঘি, ১/২ কাপ দুধ, ১/২ চা চামচ আদা রসুন বাটা, ১ চা চামচ চিনি, স্বাদমতো লবণ
যেভাবে তৈরি করবেন
সবজি গুলো ছবিতে দেখানো উপায়ে সবজিগুলো ধুয়ে কেটে নিন।
এবার একটি পাত্রে তেল ও ঘি গরম করে পেয়াজ, রসুন, আদা কুচি দিয়ে হালকা ভেজে আদা রসুন বাটা, লবণ দিয়ে মিলিয়ে সামান্য পানি দিয়ে মসলাটা কষিয়ে নিন।
এবার কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে নেড়ে সব কেটে রাখা সবজি গুলো দিয়ে নেড়ে ঢাকনা দিন।
সবজি থেকে পানি বেরিয়ে এলে গোলমরিচ গুড়া, চিনি দিন।
সবজিগুলো নরম হয়ে এলে দুধ দিয়ে ভালো করে মিলিয়ে নিন।
সবজিগুলো পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে এলে উপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে সামান্য ঝোল রেখে নামিয়ে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার শাহী স্টাইলে ভেজিটেবল।