ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নূরুল ইসলামের বাড়ি মহির খারুয়া গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে পৌর শহরের ষোলহাসিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। ছেলে মোবারক হোসেন ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন ও মেয়ে রিমা আক্তার ময়মনসিংহ সদরে অনার্স পড়ছেন। আট-দশ দিন আগে মোবারক হোসেন ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বাসায় ফেরেন।
গফরগাঁওয়ে ভাইকে সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত বোন
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

এদিকে গত দুই দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চারজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গল ও বুধবার উপজেলার ধামাইল গ্রামের গৃহবধূ আসমা খাতুন, চরমছলন্দ গ্রামের তারিকুল ইসলাম রনি, রাঘাইচটি গ্রামের হূদয় ও যশরা গ্রামের সোলায়মান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। পরীক্ষা করে শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস পাওয়া গেলে তাদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার দিবাকর সাহা বলেন, ‘গফরগাঁওয়ে ডেঙ্গু রোগী নেই। যে চারজন রোগী আমাদের এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাঁরা সবাই বাইরে থেকে ডেঙ্গুর ভাইরাস বহন করে নিয়ে এসেছেন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাইন উদ্দিন খান বলেন, ‘অনেকে ঢাকা বা অন্য কোথাও থেকে ডেঙ্গুর ভাইরাস বহন করে নিয়ে আসে। পরে জ্বর হলে আমাদের কাছে আসে। এমন রোগীদের মাধ্যমেও ডেঙ্গুর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।
সম্পর্কিত খবর