চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণার তিন দিনের মধ্যে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। গত বুধবার বোয়ালখালী উপজেলা ও পৌরসভা শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ। অভিযোগ ওঠেছে, এসব কমিটিগুলোতে পদ পাওয়াদের মধ্যে অছাত্র, বিবাহিতরাও স্থান পান। সেই সঙ্গে সক্রিয় ও ত্যাগী কর্মীদের অনেকে বাদ পড়েছেন।
বোয়ালখালী
নতুন কমিটি ঘোষণার তিন দিনেই ছাত্রলীগে বিভক্তি
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা

সমঝোতা না করে কমিটি দেওয়ায় গত বুধবার বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে বোয়ালখালী উপজেলা সদর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে বোরহান উদ্দীনের ছবি সম্বলিত ব্যানারে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা।
অন্যদিকে গত শুক্রবার বিকেলে বোয়ালখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি একরামুল হক মুন্না ও পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জাবেদ হোসেনের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ায় আলাদাভাবে আনন্দ মিছিল বের করা হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক ভালো ছিল, যারা তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে পেরেছে কেবল তারাই পদে এসেছে। আমাদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা না করেই এই কমিটি দেওয়া হয়েছে। আমরা এই কমিটি মানি না।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি একরামুল হক মুন্না বলেন, ‘তারা ব্যক্তি স্বার্থের জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দীন বলেন, ‘বোয়ালখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটি অন্যান্য পদ-পদবিধারী নেতারা যে অভিযোগ এনেছে সেটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরাবর লিখিত অভিযোগ করতে পারে। তারা তদন্ত করে এর সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেবে।
সম্পর্কিত খবর