ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

বন্যায় আরসিসি ঢালাইয়ের প্রস্তুতির বারোটা

  • রাউজান উরকিরচর সড়ক
জাহেদুল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম)
জাহেদুল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম)
শেয়ার
বন্যায় আরসিসি ঢালাইয়ের প্রস্তুতির বারোটা
হালদার পানিতে তলিয়ে গেছে রাউজান উরকিরচর সড়ক। ছবি : কালের কণ্ঠ

রাউজানের উরকিরচরবাসীর দুঃখ এবারও ঘুচল না। দীর্ঘ দেন-দরবারের পর বহু প্রতীক্ষিত উরকিরচর সড়কের আরসিসি ঢালাইয়ের জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হলেও ভারি বৃষ্টিপাতে হালদা নদীর পানিতে তলিয়ে গিয়ে সড়কটির অস্তিত্ব আবারও নষ্ট হয়ে গেছে। এ ব্যস্ততম সড়কটি ৪-৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ৫-৬ গ্রামের মানুষকে চরম কষ্ট পোহাতে হয়।

জানা যায়, সাম্প্রতিককালে ভারি বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলের কারণে হালদা নদীতে পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এ কারণে হালদার তীরবর্তী ইউনিয়ন উরকিরচরের উরকিরচর সড়ক হালদার জোয়ারে ৪-৫ ফুট পানিতে টানা ৩ দিন ধরে ডুবে ছিল। এ সময় গাড়ি চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানান, সড়কটির নাজুক অবস্থার কারণে টেন্ডার হয় মজবুত করে সংস্কারের জন্য। তিন কিলোমিটার রাস্তা আরসিসি ঢালাইয়ের জন্য এলজিইডি থেকে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।

ঠিকাদার শফিউল আলম বলেন, ৭ মাস পূর্বে সড়কটি কাজ শুরু হওয়ার পর প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা আরসিসি ঢালাই দেওয়া হয়েছে।

বাকি দেড় কিলোমিটার আরসিসি ঢালাই দেওয়ার জন্য রাস্তার দুই পাশে পাকা দেওয়াল, ম্যাকাডাম, গাঁথুনিসহ সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কয়েকদিনের মধ্যে ঢালাই দেওয়ার কথা ছিল। এরমধ্যে বন্যার ফলে পানির স্রোতে ভেঙে গেছে তৈরি রাস্তার প্রায় বেশির ভাগ অংশ।

পানিতে সড়কের দুই পাশের পাকা দেয়াল ভেঙে গেছে। ম্যাকাডাম, গাঁথুনিসহ বালি ফিলিং সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। স্টক ইয়ার্ডে রাখা মালামাল ভেসে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাড়িঘোনা ব্রিজ থেকে উরকিরচর বাজারের আধা কিলোমিটার পূর্ব পর্যন্ত দরপত্র হওয়া রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর্যায়ে এসেও বন্যায় সব মালামাল ভেসে যাওয়ায় এবং ভেঙে যাওয়ায় কাজটি আবার থমকে গেছে।

বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়কের সওদাগরপাড়া, সুধার বাড়ি, উরকিরচর স্কুলের পশ্চিম পার্শ্বসহ বিভিন্ন অংশ। এ ছাড়াও ইতোপূর্বে আরসিসি ঢালাই হওয়ার অংশের ওপর দিয়ে হালদার জোয়ারের পানি প্রবাহিত হওয়ায় তাতেও কিছু কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সওদাগরপাড়ার বাসিন্দা আবুল কাশেম হিরু বলেন উরকিরচর সড়ক নিয়ে আমরা অনেক কষ্ট আছি। শুধু বন্যা নয়, হালদা নদীর জোয়ারের পানি বাড়লেও সড়কটি হাঁটু বা কোমর পানিতে তলিয়ে যায়। এর স্থায়ী সমাধান করতে হলে সড়কটি উঁচু করার পাশাপাশি হালদার উরকিরচর অংশে বাঁধ নির্মাণ জরুরি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ