চট্টগ্রামে আজাদ নামের এক নৈশপ্রহরী হত্যার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা গ্রেপ্তার এড়াতে সাতক্ষীরা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেপ্তার দু’জন হল, আবুল হাসনাত রাজু (৩৪) ও মো. ওসমান (৩৫)।
নগর পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটের বন্দর ও পশ্চিম শাখার যৌথ টিম গত রবিবার বিকেলে খুলনার পাইকগাছা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর ও পশ্চিম) আলী হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, আজাদুর রহমানকে হত্যার পর ওসমান ও রাজু খুলনা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে সাতক্ষীরা হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার আগেই রবিবার তাদের খুলনার পাইকগাছা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় আজাদুর রহমানের স্ত্রী নাজমা আক্তার বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের করেছিল।
মামলায় ওসমান, রাজীব, রাজু ও ফয়সাল নামে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
গত ২৮ মে সকালে নগরীর পাহাড়তলী থানার হালিশহর নয়াবাজার এলাকায় আজাদুর রহমান (৩০)কে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত আজাদকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ঘটনার জন্য এক ভিডিও ভাষ্যে ওসমান ও রাজুকে দায়ী করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকগণ তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন গত ২৯ মে র্যাব এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করলেও মূল অভিযুক্ত ওসমান ও রাজু পলাতক ছিল। ঘটনার পর পুলিশ জানিয়েছিল, আজাদ ও তার বড় ভাই মফিজ নয়াবাজার এলাকায় নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন।
রাজু ও ওসমানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে উপ-কমিশনার জানান, আজাদ ও তার ভাইয়ের সঙ্গে টমি নামে এক যুবকের ঝগড়া হয়েছিল। ভোররাতে টমি, ফাহিম, ওসমান ও রাজু মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আজাদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ায়। এরপর মোটরসাইকেল থেকে নেমে টমি আজাদকে প্রথম ছুরিকাঘাত করে পরে ফাহিমসহ অন্যরা তাকে আঘাত করে।
ঘটনার পর তারা টমির বাসায় ব্যবহৃত দুটি ছোরা রেখে আসে এবং পরনের কাপড় পাল্টে সেগুলো ভিজিয়ে রাখে।
পুলিশ টমির বাসা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা দুটি উদ্ধার করে। পলাতক টমিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।