দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে ভরা চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের হযরত মাওলানা শাহ আলতাফুর রহমান সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে মাটির রাস্তাটিতে কাদা-পানি এড়িয়ে চলাচলের উপায় থাকে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ স্বাধীনতার পর এই সড়ক কখনও সংস্কার করা হয়নি।
এই দাবির সঙ্গে একমত জনপ্রতিনিধিও।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন নবী বলেন, ‘রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে নয়াহাট পর্যন্ত এক কিলোমিটার কাঁচা। কয়েক বছর আগে পরিষদের অর্থায়নে নতুন মাটি দিয়ে একবার গর্ত ভরাট করা হয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি যুদ্ধের পর থেকে আর কখনও সংস্কার হয়নি। বৃষ্টির কারণে এখন কাদা হয়ে গেছে। বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।’
সড়কটির দুরবস্থার কারণে প্রায় এক কিলোমিটারের এ সড়কে পশ্চিম চরলক্ষ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. শহীদুল ইসলাম শহীদ, গত এপ্রিল মাসে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। সড়কজুড়ে কাদা-পানি আর বিভিন্ন অংশ গর্ত।
ওই অংশ এখন একেবারেই যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদা-পানি হয়। বৃষ্টির পানি ও মাটি মিশে কাদায় একাকার হয়ে যায় পুরো রাস্তা। এতে বিপাকে পড়েন ওই এলাকার শত শত মানুষ। কাদার জন্য গ্রামের এ রাস্তায় কোনো অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, ভ্যান-রিকশা ঢোকে না। মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলে তো দূরে থাক, খালি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দায়। এত বছরেও কাঁচা রাস্তাটিতে ইটের ছোঁয়া লাগেনি।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের হযরত মাওলানা শাহ আলতাফুর রহমান সড়কের এক কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় হাঁটু সমান কাদা মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ স্থানীয়দের। সারা বছরের প্রায় ৫/৬ মাস ভোগান্তির শিকার হতে হয় গ্রামবাসীদের।
এলাকায় প্রচুর কৃষি ফসল উৎপাদন হয়। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে কৃষকরা সময়মতো পণ্য বাজারজাত করতে পারেন না। ফলে সফলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হতে না হতেই রাস্তার পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কি করে চলাচল করব আমরা কিছুই বুঝে পারি না। জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিয়েও কোনো ফল হয়নি। তাদের কাছে অনুরোধ আমাদের এই রাস্তার দিকে একটু নজর দেওয়ার জন্য।
যোগাযোগ করা হলে বরাবরের মতোই আশ্বাস মিলছে কর্ণফুলী উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম কথায়। এ প্রসঙ্গে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সড়কটি টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।’