ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

লোকবল সংকটে ফেনীর তিন রেল স্টেশন বন্ধ

আসাদুজ্জামান দারা, ফেনী
আসাদুজ্জামান দারা, ফেনী
শেয়ার
লোকবল সংকটে ফেনীর তিন রেল স্টেশন বন্ধ
ফেনীর কালিদহ রেলওয়ে স্টেশন। -ছবি : কালের কণ্ঠ

জেলার তিনটি রেল স্টেশন লোকবল সংকটে বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েক বছর। এর মধ্যে দীর্ঘ সাত বছর ধরে বন্ধ ফেনী সদরের কালিদহ ও ছাগলনাইয়ার মুহুরীগঞ্জ স্টেশন। আর লাকসাম থেকে চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ডাবল রেললাইন প্রকল্পের কাজ চলাকালীন সময় বন্ধ করে দেওয়া হয় সদরের শর্শদী রেল স্টেশন। কিন্তু সেটি জনবল সংকটের অজুহাতে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার ছয় মাস পরও চালু করা হয়নি।

এ প্রসঙ্গে ফেনী রেল স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. মাহবুবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ফেনীর ওই তিনটি স্টেশন লোকবল না থাকায় চালু করা যাচ্ছে না। তবে লোকবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে আবার চালু করা হবে স্টেশনগুলো।’

তিনি জানান, প্রতিটি স্টেশনে তিনজন সহকারী মাস্টার, অপারেটর, গার্ড ও অন্য লোকবলসহ মোট ১৬/১৭ জন প্রয়োজন।

আর শর্শদী স্টেশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডাবল লাইন করার সময় ওই স্টেশনের লোকবল অন্যত্র বদলি করায় বর্তমানে সেখানে কোনো জনবল নেই। তাই এটি বন্ধ রাখা হয়েছে।’

ওই তিন রেল স্টেশন বন্ধ থাকায় স্টেশনের আশপাশের এলাকার মানুষ স্বল্প খরচে ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কালিদহের আলম নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘আগে রেল স্টেশন বন্ধ হলেও এর কোনো প্রভাব পড়েনি।

বর্তমানে মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের কারণে আমাদের ফেনী যাতায়াতের জন্য রেল স্টেশনটি দ্রুত চালু করা প্রয়োজন।’

আবুল কাশেম নামে আরেকজন বাসিন্দা বলেন, ‘কালিদহ স্টেশনে কোটি টাকা খরচ করে নতুন প্ল্যাটফর্ম, আলোকসজ্জা ও কর্মচারীর আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু স্টেশন চালুর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সড়কপথে আমাদের ফেনী সদরে যাতায়াত করতে অর্থ ও সময় দুটোই নষ্ট হচ্ছে।’

ফেনীর শর্শদী, কালিদহ ও মুহুরীগঞ্জ রেল স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, ম্যাক্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ডাবল লাইন প্রকল্পের আওতায় প্রায় কয়েক কোটি টাকা খরচে দৃষ্টিনন্দন প্ল্যাটফর্ম ও অফিস নির্মাণ করা হয়েছে।

কিন্তু লোকবলের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না এসব রেলস্টেশন।

এদিকে ফেনী রেল জংশনের বাইরে একমাত্র চালু থাকা ফাজিলপুর স্টেশনেও দুটি লোকাল ট্রেনের থামানো কমিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মুহুরীগঞ্জ স্টেশনে শাহিন ও কামরুল নামে দুই ব্যক্তি জানান, গত সাত বছর ধরে বন্ধ রয়েছে এই স্টেশন। তবে মাঝে মাঝে এখানে আগে লোকাল ট্রেন বা মালবাহী ট্রেন থামত  বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রেন পারাপারের জন্য। ডাবল লাইন হয়ে যাওয়ায় এখন আর তাও থামে না। ফলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রেলের এই অবকাঠামো অযত্নে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাতে এখানে বিরাজ করে সুনসান নীরবতা।

তাঁদের দাবি, এসব স্টেশন চালু হলে আবার জমজমাট হবে ওই এলাকা। লোকজন কম খরচে ফেনীসহ দেশের নানা জায়গায় আসা-যাওয়া করতে পারবেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ