<p>রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়াই করতে দীর্ঘ দেনদরবারের পর পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে এফ–১৬ যুদ্ধবিমান পেয়েছিল কিয়েভ। গত সোমবার যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনার পর ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর কমান্ডার (প্রধান) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিকোলা ওলেশচুককে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। </p> <p>গতকাল শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করেন জেলেনস্কি। মিকোলা ওলেশচুককে বরখাস্ত করার আদেশ প্রেসিডেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।</p> <p>ডিক্রি জারি করার কিছুক্ষণ পরে এ বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের মানুষকে রক্ষা করতে হবে। কর্মীদের রক্ষা করুন। আমাদের সব সেনাদের যত্ন নিন।’  তিনি আরো বলেন, ‘ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে কমান্ড স্তরে শক্তিশালী হতে হবে।’</p> <p>সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ জানিয়েছেন, আনাতোলি ক্রিভোনোজকোকে ভারপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়েছে। এ মাসের শুরুর দিকে এফ–১৬ যুদ্ধবিমানের একটি চালান ইউক্রেনে এসে পৌঁছায়। বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ওই চালানেরই একটি। </p> <p> এর আগে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ড ফেসবুকে জানিয়েছে, ‘পাইলট ওলেক্সি মেস সোমবার একটি যুদ্ধ মিশনে মারা গেছেন। ওলেক্সি ইউক্রেনীয়দের মারাত্মক রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়েছেন। দুর্ভাগ্যবশত সেটা তার নিজের জীবনের মূল্য দিয়ে।’ সিএনএন ২০২৩ সালে প্রতিবেদনে করেছিল, পাইলট ওলেক্সি মেস এফ-১৬ মিশনের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়ে ছিল।</p> <p>ক্যাপ্টেন ওলেক্সি মেস একজন সেরা ইউক্রেনীয় পাইলট ছিলেন। এই মিশনে তার কল সাইন ছিল ‘মুনফিশ’। মুনফিশের মৃত্যু ইউক্রেনের জন্য একটি বড় ক্ষতি। কারণ তিনি এমন কয়েকজন পাইলটদের মধ্যে একজন ছিলেন, যারা পরবর্তীতে নতুন কেনা এফ-১৬ চালানোর জন্য প্রশিক্ষিত।</p> <p>ইউক্রেনীয় জেনারেল স্টাফ বৃহস্পতিবার ফেসবুকে বলেছিলেন, ‘রুশ লক্ষ্যবস্তুর কাছে যাওয়ার সময় যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং বিমানটির পাইলট মারা যান।’ রাশিয়া সেদিন জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে ২০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এফ-১৬ তার উচ্চ দক্ষতা প্রদর্শন করেছে এবং চারটি রাশিয়ান ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।’ </p> <p>এদিকে একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘সোমবারের দুর্ঘটনাটি রুশ আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে না, তবে পাইলটের ত্রুটি থেকে শুরু করে যান্ত্রিক ব্যর্থতার সম্ভাব্য কারণগুলো এখনো তদন্ত করা হচ্ছে।’  তবে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী বিশ্বাস করে না যে বিমানটি পাইলটের ভুলের কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে।</p> <p>সূত্র : সিএেএস,বিবিসি, আলজাজিরা<br />  </p>