<p>ওয়াশিংটনে ন্য়াটো সম্মেলনের শেষ দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, উত্তরাধিকারের কথা ভেবে এই নির্বাচনে আমি নড়ছি না। যে কাজ শুরু করেছিলাম, তা শেষ করার জন্য এই নির্বাচনে আমায় লড়তে হবে। কাজের গতি কমে গেছে বলে আমি মনে করি না। </p> <p>উল্লেখ্য, সিএনএন চ্য়ানেলে কিছুদিন আগেই মুখোমুখি বিতর্কে অবতীর্ণ হয়েছিলেন বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান দলের হয়ে এবার তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। সেই বিতর্কসভায় শারীরিকভাবে যথেষ্ট তরতাজা ছিলেন না বাইডেন। উত্তর দিতে দিতে কথার খেই হারিয়ে ফেলেছেন। বিতর্কসভার মধ্যে কার্যত ঘুমিয়ে পড়েছেন। পরে তিনি বলেছেন, দীর্ঘ সফরের কারণেই ওই দিন তিনি খুব সুস্থ ছিলেন না।</p> <p>কিন্তু বাইডেনের আচরণ দেখে ডেমোক্র্য়াটদের একাংশও তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে বাইডেনের সরে দাঁড়ানো উচিত। আগামী চার বছর তিনি সুস্থভাবে সরকার চালাতে পারবেন না। ট্রাম্পের প্রচারের অন্য়তম বিষয় হলো বাইডেনের বয়স এবং শারীরিক অবস্থা।</p> <p>এই পরিস্থিতিতে বাইডেনকে বার বার এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও তার অন্য়থা হয়নি। ন্য়াটো সম্মেলনের শেষ দিন সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে বাইডেনকে। সেখানে তিনি বলেছেন, সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। যে কাজ তিনি শুরু করেছেন, সে কাজ শেষ করতে হবে তাকে। নইলে যে আমেরিকার স্বপ্ন তিনি দেখিয়েছেন, তা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন তিনি।</p> <p><strong>ক্রেমলিনকে আক্রমণ</strong></p> <p>সাংবাদিক সম্মেলনে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি অদূর ভবিষ্যতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে কথা বলতে চান কি না। বাইডেন জানিয়েছেন, পুটিন আলোচনার পরিসর খোলা রাখেননি। তা-ই আপাতত পুটিনের সঙ্গে বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই তার। </p> <p>বাইডেন বলেছেন, ‘ক্রেমলিন মিথ্যা বলে।’এখনো পর্যন্ত যুদ্ধে তারা তিন লাখ ৫০ হাজার সেনা হারিয়েছে। তারপরেও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, পুটিন যদি চান, আলোচনার পরিসর তৈরি করেন, তাহলে তার সঙ্গে বৈঠক করতে বাইডেনের আপত্তি নেই।</p>