<p>ইয়েমেন থেকে হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণের কারণে লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে বৈশ্বিক শিপিং কম্পানিগুলো তাদের জাহাজগুলোর পথ পরিবর্তন করছে, যার ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাছে। রুশ সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম আরটি রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>প্রতিবেদনে অনুসারে, সুইডিশ ফার্নিচার জায়ান্ট আইকেইএ এই সপ্তাহে ঘোষণা করেছে, তারা তাদের পণ্যগুলোর প্রাপ্যতা বজায় রাখার বিকল্পগুলো খুঁজছে, যেগুলো মূলত লোহিত সাগর এবং সুয়েজ খালের মাধ্যমে এশীয় কারখানা থেকে পশ্চিমা বিশ্বের বাজারে সরবরাহ করা হয়।</p> <p>ইন্টার আইকেইএ গ্রুপের মুখপাত্র অস্কার লজুংগ্রেন ব্লুমবার্গকে বলেছেন, ‘সুয়েজ খালের পরিস্থিতি বিলম্বের কারণ হতে পারে এবং আইকেইএর কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের প্রাপ্যতায় সীমাবদ্ধতার কারণ হতে পারে।’</p> <p>এ ছাড়া মার্কিন খুচরা পোশাক বিক্রেতা অ্যাবারক্রম্বি অ্যান্ড ফিচ ইতিমধ্যে যখনই সম্ভব বিঘ্ন কমাতে সমুদ্রের মালবাহী জাহাজের পরিবর্তে বিমানে পণ্য পরিবহনে স্থানান্তর হওয়ার পরিকল্পনা করছে। সরবরাহকারীদের কাছে একটি ই-মেইলে কম্পানিটি এ কথা জানিয়েছে।</p> <p>এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ডেনিশ শিপিং গ্রুপ মারস্ক বলেছিল, আক্রমণের উচ্চতর ঝুঁকির কারণে তারা আটলান্টিক উপকূলের কেপ অব গুড হোপের মাধ্যমে আফ্রিকার চারপাশে জাহাজগুলোর পথ পরিবর্তন করেছে। এতে এশিয়া-ইউরোপ ভ্রমণের কার্যকর ক্ষমতা ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। জার্মান পরিবহন সংস্থা হ্যাপাগ-লয়েডও এটি অনুসরণ করেছে।</p> <p>আফ্রিকার আশপাশে জাহাজ পাঠানোর ফলে একটি রাউন্ড-ট্রিপ যাত্রার সময় প্রায় আড়াই সপ্তাহ বেড়ে যায়। এতে অনিবার্যভাবে পণ্য পরিবহনের ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং খরচও বেড়ে যায়।</p> <p>সুয়েজ খাল একটি অত্যাবশ্যকীয় পরিবহন পথ, যেখানে বিশ্বের প্রায় ৩০ শতাংশ বৈশ্বিক কনটেইনার বাণিজ্যসহ বিশ্বের শিপিং কার্যকলাপের প্রায় ১৫ শতাংশ পরিচালিত হয়। কিন্তু ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মাঝে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক আক্রমণগুলোর কারণে সেখানে একটি নতুন বাণিজ্য ও শিপিং জরুরি অবস্থার তৈরি হয়েছে, যা ২০২১ সালের ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেই সময় বৃহত্তম কনটেইনার জাহাজগুলোর মধ্যে একটি ছয় দিনের জন্য খালটি অবরুদ্ধ করেছিল। এতে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে দৈনিক ৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে।</p>