<p>থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে গভীর কূপ থেকে এক শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১৯ মাস বয়সী ওই শিশুকে ১৮ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়। মিয়ানমার সীমান্তের কাছে টাক প্রদেশে স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে খেলার সময় শিশুটি ৪২ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়।</p> <p>মেয়েটির বাবা-মা কাছেই একটি মাঠে কাজ করছিলেন। শিশুটির মা–বাবা মিয়ানমার থেকে অভিবাসী হয়ে থাইল্যান্ডে থাকেন। তারা খারিরাত উপজেলার টাপিওকা ফার্মে কাজ করেন। কাজের সময় শিশুটিকে একটি গাছের নিচে বসিয়ে রেখে গিয়েছিলেন। বিকেলে কাজের বিরতির সময় শিশুটিকে সেখানে আর দেখতে পাননি তারা। এরপর খোঁজাখুঁজি শুরু করেন এবং পাশের কুয়া থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পান। ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গেই কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযান শুরু করে।</p> <p>উদ্ধার শেষে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে আশার কথা হলো, শিশুটি খুব বেশি আঘাত পায়নি। হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।</p> <p>উদ্ধারকারীরা প্রথমে পরিস্থিতি পরীক্ষা করার জন্য একটি ক্যামেরা গর্তে নামায়। এরপর শিশুটির জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় একটি টিউবের মাধ্যমে। উদ্ধারকর্মীরা প্রায় ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন এবং কূপটির পাশে খনন শুরু করেন। ১০ মিটার গভীর গর্ত করা হয়। এরপরেই শিশুটিকে তারা বের করতে সক্ষম হন।</p> <p>স্থানীয় পুলিশ প্রধান রাতসরন কেতসোইসিং সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, শিশুটি অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। এ ছাড়া তার সব লক্ষণ ভালো ছিল। শিশুটিকে উদ্ধার করে উদ্ধারকর্মীরা বলেন, ‘আমরা খুব খুশি যে আমরা তাকে নিরাপদে উদ্ধার করতে পেরেছি।’ এ ছাড়া আরো একজন উদ্ধারকর্মী চানাচার্ট ওয়ানচারেরনরুং সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা গতকাল বিকেল থেকে চেষ্টা করছি। আমরা ঘুম ছাড়াই কাজ করেছি। সবাই সাহায্য করেছে।’</p> <p>সূত্র : বিবিসি </p>