<p>বাংলাদেশ ‘এ’ দলের শ্রীলঙ্কা সফরে না থাকায় বুঝতে পেরেছিলেন, বিশ্বকাপ দলেও জায়গা হবে না। তবে আশা ছাড়েননি রুমানা আহমেদ। মিরপুরে চলমান অনুশীলন ক্যাম্পে নিজেকে প্রস্তুত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন এই অলরাউন্ডার। এর মধ্যেই আজ জানতে পারেন, আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলে ঘোষণায় যে নতুনত্ব দেখিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, প্রবাসী বাঙালিদের মুখ থেকেই শোনা গেছে কোন ১৫ জন সুযোগ যাবেন বিশ্বকাপ খেলতে, সেখানে নেই তার নাম।</p> <p>ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নে বিভোর রুমানার সেই স্বপ্ন আগেই ভেঙেছে, দেশ থেকে বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে যাওয়ায়। এবার স্বপ্ন ভেঙেছে বিশ্বকাপের দলে না থাকায়। তবু এসব তিনি ‘নিয়তি’ হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। তবে তার বিশ্বকাপ দলে না থাকার যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন নারী দলের নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ, তাতে প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছেন রুমানা। সাজ্জাদের আরেক কথা এই অলরাউন্ডারের মানসিকতায় আঘাত করে।</p> <p>সাজ্জাদ বলেছেন, ‘বোর্ডের তরফ থেকে ব্যক্তিগতভাবে আমরা কথা বলেছি। ওরা (সালমা খাতুন আর রুমানা) যদি শেষ খেলাটা খেলতে চায়, ওদের স্বাগত জানাব। একটা ম্যাচ খেলিয়ে ওদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দিতে পারব। এর সঙ্গে এটাও বলেছি, বোর্ডের কোনো জায়গায় ওরা চেষ্টা করতে পারে কোচিং বা আম্পায়ারিংয়ে। ওরা এভাবে চিন্তা করছে। সম্ভবত এই বছর খেলবে, তারপর আমার মনে হয় না।’</p> <p>অথচ রুমানা জানালেন, এমন কোনো কথাই নাকি হয়নি তাদের, ‘না, এমন কোনো কথা হয়নি। এসব শুনে আমার প্রচণ্ড মন খারাপ হয়েছে। আমার নামে যে কথাগুলো বলা হয়েছে, আমি তো বোর্ডকে বা তাদের কাউকে বলিনি, কবে অবসর নেব। উনি যে কথাগুলো বলেছেন, এটা আসলেই আমাকে মানসিকভাবে আঘাত করেছে। আমি কেন খেলব না? আমার কোন পদক্ষেপে এসব কথা বলা হচ্ছে?’  </p> <p>এখন অবসর নিয়ে ভাবনা নেই রুমানার। বিশ্বকাপ দলে না থাকলেও হাল ছাড়বেন না তিনি। আবার জাতীয় দলে ফিরতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাবেন। রুমানা বলছিলেন, ‘আমি আশাবাদী (ফিরতে) আমি তো ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দিইনি। আমি যেদিন ছাড়ব, ঢাকঢোল পিটিয়েই ছাড়ব। সবাইকে বলেই ছাড়ব।’ কোচিং বা আম্পায়ারিং নয়, এখনো মাঠের ক্রিকেটে অনেক কিছু অর্জনের বাকি বলে মনে করেন তিনি, ‘নির্বাচকরা উনাদের কথা বলেছেন। আমি আমার কাজ করে যাব। আমাকে খেলতে হবে। আমি কারো কাছে চেয়ে (দাবি) খেলতে চাই না। আমি এত দিন মাথা উঁচু করে খেলেছি। সেভাবেই খেলে যেতে চাই।’</p>