<p style="text-align:justify">‘অলিম্পিক লরেল’ পুরস্কার গ্রহণ করলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শুক্রবার ‘টোকিও অলিম্পিক-২০২০’ আসরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়। তিনি ঢাকা থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।</p> <p style="text-align:justify">খেলাধুলার মাধ্যমে সংস্কৃতি, শিক্ষা, শান্তি ও উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দিতে পাঁচ বছর আগে ‘অলিম্পিক লরেল’ পুরস্কারটি চালু করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনূস স্পোর্টস হাব (ওয়াইএসএইচ)’ বিশ্বজুড়ে খেলাধুলার মাধ্যমে সামাজিক ইস্যুগুলো সমাধানে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।</p> <p style="text-align:justify">সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ইউনূস সেন্টার’-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে ড. ইউনূস বলেন, “‘অলিম্পিক লরেল’ পুরস্কার গ্রহণ করতে পেরে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। তবে সেখানে (অনুষ্ঠানস্থলে) উপস্থিত থাকতে না পারায় খারাপ লাগছে।”</p> <p style="text-align:justify">গত ১৫ জুলাই এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) জানায়, ড. ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য হ্রাসে বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। উন্নয়নের জন্য খেলাধুলায় ব্যাপক কাজের জন্য তাঁকে সম্মানিত করা হবে।</p> <p style="text-align:justify">অলিম্পিক ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কার প্রদান করা হলো। এর আগে ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন অলিম্পিক ম্যারাথানের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন কেনিয়ার কিপ কেইনো। নিজ দেশে খেলাধুলার উন্নয়নসহ মানবিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে তাঁর।</p> <p style="text-align:justify">গত শতকের আশির দশকে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন ড. ইউনূস। ২০০৬ সালে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান বাংলাদেশি এই অর্থনীতিবিদ।</p>