<p>বার্সেলোনা সভাপতি জোসেফ মারিয়া বার্তামেউয়ের সময় ভালো যাচ্ছে না। শিরোপাবিহীন মৌসুম কাটানো, লিওনেল মেসির ক্লাব ছাড়ার ইস্যু, লুইস সুয়ারেসের দলবদল আর আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ মিলিয়ে পরিস্থিতি তার বিপক্ষে। বার্সার সমর্থক থেকে ফুটবলাররাও এখন তাকে আর চান না। বার্সা সমর্থকেরা বার্তোমেউকে হটাতে অনাস্থা ভোট নিয়ে প্রচারণাও শুরু করেছিল। এবার বার্তামেউয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ ঝাড়লেন ক্লাবটির অন্যতম শীর্ষ তারকা জেরার্ড পিকে। </p> <p>মিডিয়া এবং সোশ্যাল সাইটে দলের শীর্ষ খেলোয়াড়দের নিন্দা করার জন্য টাকার বিনিময়ে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া করেছিলেন বার্তামেউ! সেই নজিরবিহীন ঘটনা এখন 'বার্সাগেট কেলেঙ্কারি' নামে পরিচিত। এ ব্যাপারে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম লা ভ্যানগার্দিয়াতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিকে বলেছেন, 'আমাদের সমালোচনা করতে ক্লাবের টাকা খরচ করাটা বর্বরোচিত। বার্তোমেউয়ের কাছে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাইলে তিনি বলেন যে, আমি কিছু জানি না। তার কথাটা বিশ্বাস করেছিলাম। পরে দেখি এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি এখনো ক্লাবে আছেন, এটা ভীষণ কষ্টকর।'</p> <p>এরপরেই আসে মেসি প্রসঙ্গ। কাতালান ক্লাবটিতে দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে খেলছেন মেসি-পিকেরা। মেসির ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পেছনে যে বার্তামেউ দায়ী, তা ভালো করেই জানেন পিকে। তিনি এ বিষয়ে বলেন, 'আমি সভাপতি হলে অন্যরকম ভূমিকা নিতাম। লিওকে বলেছিলাম, একটু অপেক্ষা করো। তখন এ নিয়ে তার সঙ্গে তেমন কথা হয়নি। ভেবেছিলাম এটা তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। মনে আছে শুধু এটুকু বলেছিলাম; মাত্র একটা বছরের ব্যাপার, এরপর তো নতুন কেউ (সভাপতি) আসবে।'</p> <p>সম্প্রতি পিকেসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে বার্সেলোনা। পিকে আরও বলেন, 'আমি নিজেকেই প্রশ্ন করেছি, ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়, যাকে পেয়ে আমরা ধন্য, সে কীভাবে হুট করে একদিন বুরোফ্যাক্স পাঠিয়ে ক্লাব ছাড়তে চায়, কারণ সে মনে করে ক্লাব তার কথা শুনছে না? এটা স্তম্ভিত করে দেয়। জানি না কী ঘটছে। লিওর সবকিছু প্রাপ্য। বার্সেলোনার স্টেডিয়ামে যে কোনো স্পনসরের আগে তার নাম থাকা উচিত।'</p>