<p>সাইকিয়াট্রিস্ট গ্লেন গ্যাবার্ড এ ধরনের নার্সিসিস্ট দের ধারণা দেন। তিনি একে ‘ওভার্ট নার্সিজম’-এর একটি ধরন হিসেবে চিহ্নিত করেন। তবে এই প্রকরণের সঙ্গে হিস্ট্রিয়নিক পার্সোলিটি ডিসঅর্ডারের অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য মিলে যাওয়ায় এই প্রকরণ সাইকিয়াট্রিস্টরা এখন আর ব্যবহার করেন না।</p> <p>এরা ভীষণ প্রতিযোগী মনোভাবের হয়ে থাকে। এদের মধ্যে যেকোনো বিষয়ের ইতিবাচক দিককে ‘সন্দেহ’ এবং‘নেতিবাচক’ মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন করতে দেখা যায়।</p> <p>আমার খুব প্রিয় একটা ইউটিউব চ্যানেল আছে। নাম 'Laughtersane'। সেখানে এক জনপ্রিয় চরিত্রের নাম হলো মিতা আন্টি। তাকে ডাকা হয় ‘গসিপ কুইন’ নামে। </p> <p>ধরা যাক, পাড়ার কোনো মেয়ের ঘরে রাত তিনটা পর্যন্ত লাইট জ্বলছে। রাতে ঘুম ভাঙার পর পানি খেতে গিয়ে জানালা দিয়ে এ দৃশ্য দেখে নিলেন মিতা আন্টি। পাড়ার লোকের কাছে মিতা আন্টি বলে বেড়ালেন, ‘আরে আমি নিজের চোখে দেখেছি ওই মেয়ের ঘর থেকে রাত ৩ টায় একটা ছেলেকে পাইপ বেয়ে নামতে। অন্তরঙ্গ অবস্থায়ও দেখে ফেলেছি। কী লজ্জা কী লজ্জা! তরুণ সমাজ উচ্ছন্নে গেল!’<br /> আবার ধরা যাক, তার ফ্ল্যাটের পাশের বাসার ভাবির ছেলে ডাক্তার হয়ে বের হয়েছে। মিতা আন্টির স্বামী বললেন, ‘যাই! ছেলেটাকে দিয়ে প্রেশার মাপিয়ে আসি।’ </p> <p>মিতা আন্টি নাক মুখ কুঁচকে বলে উঠলেন, ‘ধুর! ও আমার ঘোড়ার ডিমের ডাক্তার। সারাক্ষণ তো দেখতাম ছাদে বসে গুজগুজ করে ফোনে কথা বলতে। পড়ত কখন? এর থেকে পাড়ার ওষুধের দোকানের মাইনের কাছে যাও!’</p> <p>এ ধরনের মানুষদের চেনা চেনা মনে হচ্ছে না? এ ধরনের ‘বাঁকা কথা’ আমাদের সমাজে অনেক মানুষই বলে থাকে। সব কথায় চোখ কুঁচকে একটা নেতিবাচক এবং বৈরিতাপূর্ণ মন্তব্য করা এদের ধর্ম। এটি অ্যান্টাগনিস্টিক নার্সিসিজমের প্রকট ট্রেইট।</p> <p>লেখক: চিকিৎসক ও কথাসাহিত্যিক<br />  </p>