<p>অবশেষে শীত জাঁকিয়ে বসেছে দেশে। ‘এবার হয়তো শীত পড়ছে না’ বলে যারা হাপিত্যেশ করছিলেন, তাঁদের আশংকা কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে। তবে শীতার্ত মানুষের কষ্টের শেষ নেই। গত এক সপ্তাহ ধরেই শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কুয়াশার বাহাদুরি। মাঝরাত হওয়অর আগেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে দেশ, বেলা এগারোটার আগে কুয়াশার আড়াল থেকে মুখ বের করতে পারছে না সূর্য। সাদা মেঘে যেন ঢাকা পড়ছে প্রকৃতি। </p> <p>একবারও কি ভেবেছেন এই কুয়াশা আসলে কী? কীভাবেই বা এর জন্ম? কোথা থেকেই বা কুয়াশা পড়ে?</p> <p>সাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে আমরা ধারণা করি, কুয়াশা বুঝি আকাশ থেকে পড়ে। বিশেষ করে বিন্দু বিন্দু শিশির ঘাসের ওপর জমা হতে দেখে মনে এমনটাই মনে হয় আমাদের। আসল ব্যাপারটা মোটেও তেমন নয়। শিশির কিংবা কুয়াশা, কোনোটাই আকাশ থেকে পড়ে না। এদের জন্ম ভূপৃষ্ঠেই।</p> <p>কুয়াশা আসলে মেঘেরই আরেক রূপ। তবে মেঘের সঙ্গে এর পার্থক্য আছে কিছুটা। ভূপৃষ্ঠের পানি শুকিয়ে বায়ুমণ্ডলের একটা স্তুরে গিয়ে জমা হয়। তারপর সেগুলো একসময় পাণিতে পরিণত হয়ে মাটিতে নেমে আসে। কুয়াশায় ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো। বাতাসে সবসময় কিছু না কিছু জলীয় বাষ্প থাকে। বাস্প যখন শীতল কোনো বস্তুর সংস্পর্শ পায়, তখন সেটা জমে পাণির কণায় পরিণত হয়। বাতাসের তুলনায় ভূপৃষ্ঠের তাপ ধারণক্ষমতা বেশি। তাই ভূপৃষ্ঠ যেমন অনেক বেশি উষ্ণ হতে পারে, তেমনি বায়ুমণ্ডলের তুলনায় অনেক শীতলও হতে পারে। শীতকালে এমনটাই হয়। রাতে ভূপৃষ্ঠ অনেক ঠান্ডা হয়ে যায়। ঠাণ্ডা ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি যে বায়ুমণ্ডল থাকে, সেখানকার জলীয়বাষ্প ঠান্ডা হয়ে জলকণায় পরিণত।</p> <p>এসব জলকণা শিশিরের রূপ নেয়, ঘাসে, গাছের পাতায় জমা হয়। আর জলকণা মিশ্রিত ঘন বাষ্পই কুয়াশার রূপ ঢেকে দেয় প্রকৃতিকে। </p> <p>সূত্র: হাউ ইটস ওয়ার্ক<br />  </p>