<p>পর্যায় সারণির কেন্দ্রে অবস্থিত গ্রুপের অন্যতম সদস্য গোল্ড। সোনা নামে আমরা একে সবচেয়ে ভালো চিনি। এটি মুদ্রাধাতু। একটি অবস্থান্তর মৌলও বটে। বর্তমানে গোল্ড গহনা ও মুদ্রামান হিসেবে সর্বাধিক ব্যবহৃত। মৌলটি তুলনামূলক বিরল। তবে এর চকচকে ধর্ম যে কাউকে আকর্ষণ করে। সিলভার থেকে সোনার পার্থক্য এখানেই। গোল্ডের রং সোনালি রুপার রং রুপালি। </p> <p>গোল্ডে কিছু ইলেকট্রন অনেক দ্রুত ছোটে, প্রায় আলোর গতির কাছাকাছি। সেকেন্ডে ৩,০০,০০০ কিলোমিটার প্রায়। এর কারণ আপেক্ষিক প্রভাব। ফলে পরিবর্তন আসে কক্ষপথের আকৃতির। ফোটন শোষণ ও একটু পরে নির্গত করার মাধ্যমে চলে নিজেদের শক্তির পরিবর্তন। </p> <p>৭৯তম এই মৌলটি বেশ ঘন। বলা যায়, মৌলটির মূল অংশই পৃথিবীর গহীনে রয়েছে। তাই তো কেবল মাটি খনন করতে করতে যখন অনেক নীচে যাই কালেভদ্রে পাওয়া যায়। যদিও সব স্থানে নয়। আবার গোল্ড-বহনকারী গ্রহাণু ও উল্কা পৃথিবী পৃষ্ঠে আছড়ে পড়লে সেখান থেকেও মূল্যবান ধাতুটি পাওয়া যায়। তাহলে এখন অবধি খনিতে পাওয়া সোনার পরিমাণ কত! ধারণা করা হয়, পাওয়া সব সোনা জড়ো করলে ৮০০০ ঘন মিটার (২৮২,৫০০ ঘনফুট)-এর একটি অফিসের সমান হবে। </p> <p>প্রাচীনকাল থেকেই সোনা গহনার অনন্য এক উপাদান। এখনও মোট গহনার ৫০ শতাংশই সোনার হয়। মানুষের সব আকর্ষণ জড়ো করতে এই ধাতুটির ঝুড়ি মেলা ভার। আহরিত সোনার ৪০ শতাংশ গোল্ডবার ও মুদ্রায় পরিণত হয়। শতকরায় বাকি যেটুকু থাকে তার নানারূপ ব্যবহার হয়। গোল্ড বাতাসে জারিত হয় না। দুর্দান্ত সুপরিবাহী। সার্কিট বোর্ড, প্লাগ ও বৈদ্যুতিক কাজেও এর ব্যবহার হয়।</p> <p><strong>দশা</strong><br /> রাসায়নিক সংকেত: Au<br /> পারমাণবিক সংখ্যা: ৭৯<br /> নামকরণ: প্রাচীন জার্মান শব্দ ‘ঘোল (ghol)’ থেকে। অর্থ হলুদ। ল্যাটিন শব্দ ‘Aurum’ থেকে প্রতীকের Au এসেছে।</p> <p><strong>বিক্রিয়া</strong><br /> গোল্ড উচ্চ সক্রিয় মৌল নয়। এর ফলেই চকচকে ধর্ম স্থায়ী হয়। বাতাসে জারিত না-হলেও অ্যাকোয়া রেজিয়ায় (ঘনীভূত হাইড্রোক্লোরাইড অ্যাসিড ও নাইট্রিক অ্যাসিডের ৩:১ পরিমাণ) দ্রবীভূত হয় সহজে। মৌলটি সিলভার, প্ল্যাটিনাম ইত্যাদি ধাতুর মতো আদর্শ ধাতুর সাথে স্থান পেয়েছে। ইলেকট্রন বিন্যাসের পরিপূর্ণতা স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করে। ফলে বিক্রিয়ায় অংশ নেয় খুব কম। উচ্চ সক্রিয় না-হলেও কিছুটা সক্রিয়তা তো আছেই। সেই গুণে সিলভার ক্লোরাইড (AuCl) ও Au2Cl6-এর মতো যৌগ গঠন করে।</p> <p><br /> <strong>সম্পর্কিত মৌল</strong><br /> কপার (Cu 29)<br /> সিলভার (Ag 47)</p> <p><br /> <strong>বিজ্ঞানী</strong><br /> <strong>আর্কিমেডিস</strong><br /> খ্রিষ্টপূর্ব ২৮৭-খ্রিষ্টপূর্ব ২১২<br /> গ্রিক দার্শনিক। পানিতে ডুবিয়ে গোল্ডের ঘনত্ব পরখ করেছিলেন।</p> <p><strong>পেক্কা পাইক্কো</strong><br /> ১৯৪২-বর্তমান<br /> ফিনিশ কোয়ান্টাম রসায়নবিদ। সোনার কতিপয় যৌগের বিষয়ে ধারণা দেন।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> ব্রায়ান ক্লেগ<br />  </p>