<article> <p style="text-align: justify;">চোখ ওঠা এমন কোনো জটিল রোগ নয়। তবে অন্য ঋতুর তুলনায় গরমকালে রোগটা একটু বেশিই দেখা যায়। গরমে চোখ ওঠা রোগ, যাকে কনজাংটিভাইটিসও বলা হয়। এ সময় এই রোগ বৃদ্ধি পায়, কারণ এই সময়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।</p> </article> <p style="text-align: justify;"><b>কনজাংটিভাইটিসের কারণ</b></p> <article> <p style="text-align: justify;">* ভাইরাসজনিত<b> : </b>এটি চোখ ওঠা রোগের সবচেয়ে সাধারণ কারণ। * ব্যাকটেরিয়াজনিত<b> : </b>ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণগুলো সাধারণত ভাইরাসজনিত সংক্রমণের চেয়ে কম দেখা যায়, তবে এগুলো আরো গুরুতর হতে পারে।<br /> * অ্যালার্জিজনিত<b> : </b>পরাগ, ধুলা ও পোষা প্রাণীর পশমের মতো অ্যালার্জেন চোখ ওঠা রোগের কারণ হতে পারে। * রাসায়নিক<b> </b>পদার্থ<b> :  গ্যাস</b>, ধোঁয়া ও সাঁতারের পানির ক্লোরিনের মতো রাসায়নিক পদার্থ চোখের জ্বালাপোড়া এবং চোখ ওঠা রোগের কারণ হতে পারে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><b>গরমে চোখ ওঠা রোগ বাড়ে কেন?</b></p> <p style="text-align: justify;">* গরমের<b> তাপমাত্রা : উষ্ণ</b> আবহাওয়ায় মানুষ বাইরে বেশি সময় কাটায়, বাইরের পরিবেশে তারা সংক্রমণের সংস্পর্শে আসতে পারে।<br /> * সাঁতারকাটা<b> :  </b>অস্বাস্থ্যকর পানিতে সাঁতারকাটা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে। * ধুলাবালি<b> :  </b>শুষ্ক ও বাতাসযুক্ত আবহাওয়ায় ধুলাবালি বাতাসে বহন করে, যা চোখের জ্বালাপোড়া এবং চোখ ওঠা রোগের কারণ হতে পারে। * ক্লোরিন<b> :  </b><b>সাঁতারের</b> পানিতে থাকা ক্লোরিন চোখের জ্বালাপোড়া এবং চোখ ওঠা রোগের কারণ হতে পারে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;"><b>চোখ ওঠা রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে</b><b>—</b></p> <p style="text-align: justify;">* চোখে লালাভাব * চুলকানি * জ্বালাপোড়া * চোখ দিয়ে পানি পড়া * চোখ থেকে ময়লা আসা * আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি * ঝাপসা দৃষ্টি</p> <p style="text-align: justify;"><b>চিকিৎসা</b></p> <p style="text-align: justify;">সংক্রমণের কারণের ওপর চিকিৎসা নির্ভর করে। যেমন—</p> <p style="text-align: justify;">* ভাইরাল<b> </b>সংক্রমণের জন্য : সাধারণত বিশ্রাম, ঠাণ্ডা সেঁক ও চোখের ড্রপ ব্যবহার করে লক্ষণগুলো উপশম করা হয়।<br /> * ব্যাকটেরিয়াজনিত<b> </b>সংক্রমণে : অ্যান্টিবায়োটিক চোখের ড্রপ বা মলম প্রয়োজন হতে পারে। * অ্যালার্জির<b> </b>কারণে চোখ ওঠা রোগের জন্য : অ্যালার্জির ওষুধ সাহায্য করতে পারে।</p> <p style="text-align: justify;">মনে রাখবেন, চোখ থেকে হলুদ বা সবুজাভ শ্লেষ্মা বের হলে, এগুলো দিয়ে চোখ আটকে গেলে, চোখ ফুলে গেলে এবং অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">পরামর্শ দিয়েছেন</p> <p style="text-align: justify;"><b>ডা. মো. আরমান হোসেন রনি </b></p> <p style="text-align: justify;">কনসালট্যান্ট (চক্ষু)</p> <p style="text-align: justify;">দীন মোহাম্মদ আই হসপিটাল<br /> সোবহানবাগ, ঢাকা</p> </article>
