<p>আজ রবিবার যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে সুইডেনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাসের বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো দূতাবাস প্রাঙ্গণে বিশেষ দোয়া মাহফিল, ‘বঙ্গমাতা সংকটে-সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’ শিরোনামে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং একই বিষয়ের উপর আলোচনা সভা। কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষাপটে স্টকহোমের স্থানীয় সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও যথাযথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় বাংলাদেশী কম্যুনিটির অনেক সদস্য অংশগ্রহণ করেন।</p> <p>অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার গৌরবময় কর্মজীবনের উপর নির্মিত ‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’ শিরোনামে প্রামাণ্যচিত্র। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এ মহিয়সী নারীর ত্যাগ ও আদর্শের উদাহরণ তুলে ধরে তাঁর জীবন ও কর্মের উপর বক্তব্য রাখেন। আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘বঙ্গমাতা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক প্রেরণার কেন্দ্র- ও সাফল্যের অনন্য উৎস। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে তিনি অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। জাতির পিতার রাজনৈতিক জীবন সংগ্রামের সব কণ্টকাকীর্ণ পথ হাসিমুখে অতিক্রম করেছেন এবং একই সাথে কঠিন সময়ে তিনি পরিবারও সামলেছেন সম্পূর্ণ একা হাতে। তিনি সীমাহীন ধৈর্য, অসীম সাহস ও বিচক্ষণতার সাথে সঙ্কটময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সাহসিকতা, প্রজ্ঞা ও ত্যাগের যে উদাহরণ তৈরি করে গেছেন, তা সকলের জন্য অনুপ্রেরণার এক উৎস হয়ে থাকবে’।</p> <p>রাষ্ট্রদূত মোঃ নাজমুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও বঙ্গবন্ধু-পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অসীম ত্যাগের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ‘শুধুমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী হিসেবেই নয়; রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবেও আজীবন তাঁর ছায়াসঙ্গী ছিলেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ইতিহাসের কালজয়ী মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে অনুপ্রেরণাদায়িনী হয়ে ছিলেন’। বাঙালি জাতির রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে বঙ্গমাতার অবদান অপরিসীম, বলে মন্তব্য করেন তিনি।</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘এই মহীয়সী নারীর জীবনচর্চার প্রতিচ্ছবি বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে; বিশেষ করে বাংলার নারী সমাজকে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যেতে এবং বাঙালী-প্রাণে দেশপ্রেমের মহান আদর্শকে উদ্বুদ্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালণ করবে’।</p> <p>অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনা এবং উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মোঃ মোরশেদুর রহমান তালুকদার।</p>