<p style="text-align:justify">শক্তি প্রয়োগ করে শ্রমিক আন্দোলন দমনের অপচেষ্টা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা। তারা বলেছেন, শ্রমিক হত্যার বিচার, বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণ, প্রতিটি কারখানায় নিপীড়নবিরোধী কমিটি গঠন, ঝুট সন্ত্রাসী ও দালাল লালন এবং সালিসের নামে শ্রমিক ঠকানো বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। </p> <p style="text-align:justify">গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন গার্মেন্টস ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সহসভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরিফ, নির্বাহী সদস্য আল আমিন হাওলাদার শ্রাবণ, রুহুল আমিন সোহাগ, মোহাম্মদ সোহেল, আনোয়ার খান প্রমুখ।</p> <p style="text-align:justify">সমাবেশে শ্রমিক নেতা খালেকুজ্জামান লিপন বলেন, ‘বৈষম্যের সবচেয়ে বড় উদাহরণ বাংলাদেশের গার্মেন্টসশিল্প। এই শিল্পে চলে ঠকানোর প্রতিযোগিতা। একদিকে গার্মেন্টস কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করে বিশাল বিশাল কারখানা ও শিল্প গ্রুপের মালিক হয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের ক্রেতারা উৎপাদন খরচের ১০ গুণ মুনাফা করছে। আর ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হওয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা অতিরিক্ত শ্রমের বিপরীতে পুষ্টিকর খাবার না পেয়ে অনেক কম বয়সে কর্মক্ষমতা হারিয়ে সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন।’</p> <p style="text-align:justify">শ্রমিক নেতারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের মধ্যে এককভাবে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা সর্বাধিক। শত শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শহীদ শ্রমজীবীদের বৈষম্য নিরসনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নিতে হবে। নিত্যপণ্যের বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে মজুরি পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। অন্তর্বর্তী সময়ে রেশন প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থান এবং মজুরি আন্দোলনে নিহত গার্মেন্টস শ্রমিকদের হত্যার বিচার এবং পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।’</p>