<p>সহিংসতামুক্ত সম্প্রীতির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বাপা নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ছাত্র-জনতার এই বিজয়ের মাধ্যমে দেশকে প্রকৃত অর্থেই একটি বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত দেশ হিসেবে দেখতে চাই।</p> <p>বাপার সহসভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বাপার কোষাধ্যক্ষ জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জমান মজুমদার ও হুমায়ুন কবির সুমন, নির্বাহী সদস্য জাভেদ জাহান, অ্যাডভোকেট পারভীন আক্তার ও আহসান রনি, জাতীয় পরিষদের সদস্য নাজিম উদ্দীন ও হাজী শেখ আনসার আলী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আবুল হাসনাত সোলাইমান, সমাজকর্মী মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।</p> <p>সমাবেশে স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশ যতবার পথভ্রষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে ততবারই এ দেশের ছাত্র-জনতা তা প্রতিহত করে সঠিক পথে পরিচালিত করার পথ দেখিয়েছে। আমরা এই বিজয়কে কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হতে দিতে পারি না। কিছু দুষ্কৃতকারী এই সুযোগে সরকারি স্থাপনা, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক, শিল্পকলা ও ব্যক্তিগত সম্পদের ওপর হামলা ডাকাতির সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় উপাসনালয় ও সংখ্যালঘুদের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। যারা এই ঘৃণিত কাজটি সংঘটিত করছে, তারা স্বাধীনতার শত্রু। এদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’</p> <p>জাকির হোসেন বলেন, ‘বাপা পরিবেশের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন চায়। শিক্ষার্থী-জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অগণতান্ত্রিক সরকারের পতনের ফলে বাংলাদেশে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এই আন্দোলনে নিহত সবার প্রতি আমরা বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি এবং সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। একই সঙ্গে স্বাধীনতার পূর্বপুরুষদের ভাস্কর্য ভাঙার মধ্য দিয়ে তাদের অবদানকে ম্লান করার চেষ্টা করেছে একটি গোষ্ঠী, তাদেও বিচার দাবি করছি।’</p> <p>আলমগীর কবির বলেন, ‘বিজয়-পরবর্তী সময়ে কার্যকরী সরকার ব্যবস্থার অনুপস্থিতির সুযোগে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নির্লিপ্ততা অথবা অপারগতার সুযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও লুটপাট হয়েছে। মানুষের ব্যক্তিগত সম্পদের ওপর হামলা ডাকাতির সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনার গাছ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই ধরনের অরাজকতা মোটেই বরদাস্ত যোগ্য নয় বিধায় আমরা আশা করি এই সরকার ছাত্র-জনতা ও সব সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে দ্রুত এটি প্রতিহত করবে।’</p>