<article> <p>দুই দেশের চুক্তির আওতায় গত ৩১ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়েছে মালয়েশিয়া। ওই সময় বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ছাড়পত্র পাওয়া ১৬ হাজারের বেশি কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। এই কর্মীরা কী কারণে মালয়েশিয়া যেতে পারেননি, তা নিয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ওই তদন্ত কমিটি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর গত সোমবার তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।</p> </article> <article> <p><img alt="শতাধিক রিক্রুটিং এজেন্সি দায়ী" height="493" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/06.June/27-06-2024/Untitled-1%20(1).jpg" style="float:left" width="345" />তদন্ত প্রতিবেদনে ১৬ হাজারের বেশি কর্মী মালয়েশিয়া যেতে না পারার প্রধান কারণ হিসেবে ১০০টির বেশি রিক্রুটিং এজেন্সিকে দায়ী করা হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে গতকাল বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।</p> <p>প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় যেতে ওই উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ১০০টির বেশি বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির পাশাপাশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়াকেও দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি। তবে তদন্ত প্রতিবেদনে কোন কোন রিক্রুটিং এজেন্সির নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি।</p> </article> <article> <p>প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে আরো জানা যায়, তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে মালয়েশিয়াসহ সব শ্রমবাজারকে সিন্ডিকেটমুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া কর্মী নিয়োগের অনলাইনব্যবস্থা ‘এফডাব্লিউসিএমএস’-এর মাধ্যমে অনিয়ম করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, সরকার কর্মীপ্রতি খরচ ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করলেও মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক কর্মীরা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে চার লাখ টাকা থেকে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন।</p> <p>গত ২ জুন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।</p> </article> <p> </p> <article>কমিটি গঠনের ২২ দিন পর তদন্তদল তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে কিংবা পরে কমিটির কোনো সদস্য এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার কালের কণ্ঠকে জানান, বর্তমানে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। <p>তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় যেতে কর্মীদের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে তদন্ত কমিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বর্তমানে প্রতিমন্ত্রী তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করছেন। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষ করে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হবে। সেখানে প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।’</p> </article> <article> <p>২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত চালু ছিল মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। এই ২২ মাসে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের জন্য পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৩ জন কর্মীর চাহিদাপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩১ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র পান চার লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জন। আর ৩৩ হাজার ৩১ জন কর্মী বিএমইটির ছাড়পত্রই পাননি। অন্যদিকে ছাড়পত্র পাওয়া ১৬ হাজার ৯৭০ জন কর্মী শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। এই যেতে না পারা ১৬ হাজার কর্মীর বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে।</p> </article>