<p>একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেছেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ে সরকারের কর্মসূচি পর্যাপ্ত না। দীর্ঘদিন থেকে আমরা সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের দাবি জানালেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সরকার যদি তা করতে না পারে তবে আমরাই জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করব।</p> <p>আজ মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অষ্টম জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে গৃহীত নতুন কর্মসূচি ঘোষণার পাশাপাশি নতুন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p>শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে দুটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষনার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ঢেলে সাজানো। কমিটিতে সক্রিয় নয় এমন ৬০ শতাংশ সদস্যকে নতুন কমিটিতে রাখা হয়নি।’</p> <p>নবনির্বাচিত সভাপতি শহীদজায়া শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি অতীতে যেভাবে সোচ্চার ছিল তেমনি ভবিষতেও থাকবে। ৭২-এর সংবিধান পুনপ্রবর্তন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নির্মূল কমিটি কোনো প্রকার আপোস করবে না।’</p> <p>কর্মসূচি ঘোষণাকালে সংগঠনের নবনির্বাচিত অন্যান্য নেতারা জানান, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হলে অনেক সময় আলামতের অভাবে তারা ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হন। এই ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করতে কমিটির পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেন ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যার্থতার কারণে কোনো ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়। একইসঙ্গে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ভিকটিমদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের জন্য নির্মূল কমিটির আইন সহায়ক কমিটি কাজ করছে। আগামীতে জেলায় জেলায় আইন সহায়ক কমিটি তৃণমূল পর্যায়ে নির্যাতিত মানুষকে আইনি সহযোগিতা প্রদান করবে।</p>