<p>ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‌করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভাষানটেক এলাকায় মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে প্রতিটি রাস্তায় ড্রেন নির্মাণ করে পরিকল্পিত উন্নয়ন করা হবে।</p> <p>আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় ড্রেনেজ লাইন নির্মাণসহ প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।</p> <p>আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাষানটেক এলাকাটি বেশ কয়েকটি টেক নিয়ে গঠিত। এখানে রয়েছে আলব্দীরটেক, বাইগারটেক, মানিকদী। এসব এলাকা ঢাকা শহরের অন্য এলাকার তুলনায় অনেক নিচু। বৃষ্টির সময় উঁচু এলাকার পানি নেমে এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাই মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হবে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘ভাষানটেক এলাকাকে সাজাতে সার্বক্ষণিক আমার সাথে চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই এলাকার সংসদ সদস্যসহ কাউন্সিলররা। তবে এলাকাবাসীকে অনুরোধ করছি, আপনারা রাস্তা নির্মাণের জন্য অন্তত ২০ ফুট প্রশস্ত জায়গা ছেড়ে দেবেন। ২০ ফুটের নিচে রাস্তা নির্মাণ করলে অগ্নিকাণ্ড হলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে পারে না, অ্যাম্বুল্যান্স যেতে পারে না। এমনকি লাশের গাড়ি পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে না। অতএব কোনো রাস্তা ২০ ফুট প্রশস্ত না হলে সেটি সিটি করপোরেশন নির্মাণ করবে না। সেই রাস্তা করে কোনো লাভ নেই।’</p> <p>নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘দেখেন ২০ বছর আগে এই এলাকায় জনসংখ্যা কত ছিল আর ২০ বছর পরে বর্তমানে জনসংখ্যা বেড়ে কত হয়েছে? বিপুল এই জনসংখ্যার জন্য কার্যকর টেকসই রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। প্রতিটি রাস্তায় ড্রেন নির্মাণ করা হবে। ২০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য কেউ জায়গা না ছাড়লে সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলররা তাদের সাথে আলোচনা করুন। তাদের বোঝাবেন এই প্রশস্ত রাস্তা মেয়রের জন্য না, সংসদ সদস্য বা কাউন্সিলরের জন্য না। প্রশস্ত রাস্তা হবে জনগণের জন্য।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘উত্তরা থেকে জসীমউদদীন রোড হয়ে এয়ারপোর্টের পেছন দিয়ে ইসিবি চত্বর পর্যন্ত একটি প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এটি নির্মাণ হলে খুব অল্প সময়ে এই এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। মাস্টারপ্ল্যানে সব কিছু আছে। ভাষানটেক এলাকা গুলশানের চেয়েও সুন্দরভাবে সাজানো হবে। এখানে কয়েকটি খাল রয়েছে। এগুলো উন্নয়ন করা হবে, খালের পাড়ে সাইকেল লেন হবে, সবুজায়ন হবে।’</p> <p>বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র নামফলক উন্মোচন করে সড়কের নির্মাণকাজের শুভ উদ্বোধন করনে এবং অন্যান্য চলমান কাজ পরিদর্শন করেন।</p> <p>অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জহির আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সাহিদা আক্তার শীলা, ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।</p>