<p>গত ৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) কালের কণ্ঠ'র অনলাইন সংস্করণে 'হাসপাতালে ধর্ষণচেষ্টা, ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছেন অভিযুক্ত আজহার উদ্দিন রাব্বি। </p> <p>প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, ধর্ষণচেষ্টা ও গণপিটুনি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর। মূলত আমি আজহার উদ্দিন রাব্বি ঘটনার দিন (৩ সেপ্টেম্বর)  আমার গ্রামের একজন অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায়  সহযোগিতা করার জন্য রোগীর অ্যাটেন্ডেন্টসহ নোয়াখালী সদরে অবস্থিত জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালে যাই। সেখানে যাওয়ার পর পূর্বশত্রুতার জের ধরে ডা. জাকির ও পরিচালক শামিম আমাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডিউটিরত একজন নারী টেকনিশিয়ানকে ব্যবহার করে ঘটনার সূত্রপাত ঘটানো হয়। ঘটনা চলাকালীন এক প্রত্যক্ষদর্শী আয়া প্রতিবাদ করলে তাকে তাৎক্ষণিক ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ চাকরিচ্যুত করা হয়। </p> <p>প্রতিবাদলিপিতে তিনি আরো বলেন, রিপোর্টে উল্লিখিত ডাক্তার দম্পতির বাসায় চুরি হওয়ার ঘটনাটিও সাজানো, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। যা আমার এবং আমার পরিবারের মানহানি করার ষড়যন্ত্র ছিল। প্রতিবেদনে উল্লিখিত সুধারাম মডেল  থানার ওসি হিসেবে আনোয়ারুল ইসলামের বক্তব্য তুলে ধরা হলেও তিনি থানায় কর্মরত নেই। তিনি বর্তমানে বেগমগঞ্জ থানার ওসি হিসেবে কর্মরত আছেন। ঘটনার দিন সুধারাম থানার ওসি হিসেবে মীর জাহেদুল হক রনি কর্মরত ছিলেন। এতে প্রমাণিত হয় যে ওই প্রতিবেদনে ওসি সুধারাম থানার বক্তব্য নেওয়া হয়নি এবং আমার সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ ছাড়াই আমার বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, কল্পনাপ্রসূত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কাজেই প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। </p>