<article> <p style="text-align: justify;">হাঙরের নাম শুনলেই হিংস্র মাংসাশী এক জলজ প্রাণীর ছবি আমাদের মনে ভেসে ওঠে। গভীর সমুদ্রে বা সৈকতের কাছে বিশাল হাঙরের আক্রমণের কাহিনি নিয়ে গা শিউরে ওঠা অনেক সিনেমাও তৈরি হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রাণীটির আক্রমণে মানুষ হতাহত হওয়ার খবরও মাঝেমাঝেই চোখে পড়ে। কিন্তু বাহামা দ্বীপপুঞ্জের আশপাশের সাগরের ‘টাইগার শার্ক’ জাতের হাঙরগুলোর ভক্ত হয়ে উঠেছেন সমুদ্রবিজ্ঞানীরা।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">কেননা তাঁদের গবেষণাকাজের গুরুত্বপূর্ণ সাহায্যকারী হয়ে উঠেছে ওরা। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ওই গবেষকরা স্থানীয় কিছু টাইগার শার্কের গায়ে ক্যামেরা লাগিয়ে দেন। সাগরতলের দৃশ্য একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য। ওই টাইগার শার্কগুলোর সাহায্যে বিজ্ঞানীরা বাহামার সমুদ্র এলাকার ৯২ হাজার বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত সিগ্রাস বা সাগরতলের ঘাসের বাস্তুতন্ত্র আবিষ্কার ও এর ম্যাপ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">এটিই এখন পর্যন্ত সাগরতলে আবিষ্কৃত বৃহত্তম সিগ্রাস বাস্তুতন্ত্র। ২০২২ সালে নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়েছিল। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম  সিএনএনকে গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক ড. অস্টিন গ্যালাগা জানান, তাঁর বিশ্বাস, টাইগার শার্ক ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র ব্যবস্থা সম্পর্ককে বিশদ ধারণা পেতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করতে পারে। তিনি জানান, টাইগার শার্কের শরীরে লাগানো ক্যামেরার সহায়তায় যেসব দৃশ্য পাওয়া গেছে, তা মানুষের পক্ষে পাওয়া কখনোই সম্ভব হতো না।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">সূত্র : সিএনএন</p> </article>