<article> <p style="text-align: justify;">দেশের ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে অর্থনীতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এই খাতের মানোন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ এক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা এবং খেলাপি ঋণ উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বিস্তারিত পথনকশা বা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সেটি অনুমোদনও করেছে। তাই এখন বাস্তবায়নের পালা। দেশের ব্যাংকিং খাতের বিরাজমান অব্যবস্থা দূর করে এখানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে একটি মানসম্পন্ন অবস্থানে উন্নীত করার দাবি দীর্ঘদিনের হলেও বাংলাদেশ ব্যাংককে কখনো সেভাবে তৎপর হতে দেখা যায়নি।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">বিচ্ছিন্ন কিছু পদক্ষেপ নিলেও সার্বিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের মানোন্নয়নের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংককে সেভাবে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। অনেক দেরিতে হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক যে দেশের ব্যাংকিং খাতে বিরাজমান সমস্যার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করতে পেরেছে এবং এই সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করে অপরিহার্য এই খাতের মান উন্নত করার জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সে জন্য তাদের সাধুবাদ।</p> <p style="text-align: justify;">দেশের ব্যাংকিং খাতের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক যেহেতু এত দিন সে রকম কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, তাই এখন তড়িঘড়ি করে ব্যাংকিং খাতের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কেননা দেশের ব্যাংকিং খাত আর দশটা সাধারণ খাতের মতো নয়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">ব্যাংকিং খাত দেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এমনকি এই খাতকে দেশের অর্থনীতির রক্ত সঞ্চালনের ধমনির সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে। ব্যাংকিং খাত শক্ত অবস্থানে থাকলে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য বেশি লাভবান হয়, তেমনি এই খাত দুর্বল হলে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণেই ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা, খেলাপি ঋণ সমস্যার সমাধান এবং সর্বোপরি এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে এই খাতের মানোন্নয়নের কাজটি করতে হবে এমনভাবে, যাতে মূল সমস্যার সমাধান যেমন হয়, তেমনি অর্থনীতির চাকা যেন সচল থাকে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">খুবই সতর্কতার সঙ্গে এবং যথেষ্ট বিচার-বিশ্লেষণ করে এই খাতের সমস্যা সমাধানের কাজে হাত দিতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;">বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাবিত রোডম্যাপে দেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বেশি আলোচিত সমস্যা দুুটি সমাধানের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ব্যাংক পরিচালনায় সুশাসন নিশ্চিত করা এবং আরেকটি হচ্ছে খেলাপি ঋণ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করা। এই কাজ দুটিই সবচেয়ে বেশি কঠিন। বাংলাদেশ ব্যাংককে এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে কিছু অগ্রাধিকারের বিষয় নির্ধারণ করতে হবে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">প্রথমে এই রোডম্যাপ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য এবং সুফল সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে (স্টেকহোল্ডারদের) সচেতন করতে হবে। আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে ব্যাংকার, মালিকপক্ষ এবং ব্যবসায়ীদের এক ধরনের ভয় কাজ করে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক, প্রধান নির্বাহী এবং সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট ভাবে যে তাদের কর্তৃত্ব খর্ব হবে। পক্ষান্তরে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ভাবে যে তাদের হয়তো ঋণ গ্রহণের সুযোগ সীমিত হয়ে যাবে। আসলে কোনো রকম কর্তৃত্ব বা সুযোগ খর্ব বা সীমিত হবে না, বরং যা আছে, তা-ই থাকবে; শুধু একটি সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এমনকি তখন আর গ্রাহকদের ঋণ গ্রহণের জন্য ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না, বরং ঋণ গ্রহণের যোগ্যতা থাকলে অনেক সহজে এবং অপেক্ষাকৃত অল্প সুদহারেই ঋণ পেয়ে যাবে। তবে বেনামি এবং ভুয়া ঋণ গ্রহণের পথ অনেকটাই বন্ধ হয়ে যাবে। আর এমনটিই সবাই প্রত্যাশা করে। তাই রোডম্যাপ বাস্তবায়ন শুরু করার আগে সব অংশীজনকে বিষয়টি বুঝিয়ে তাদের সহযোগিতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;"><img alt="ব্যাংকিং খাত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মপরিকল্পনা" height="425" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/February/07-02-2024/1.jpg" width="500" />দ্বিতীয় অগ্রাধিকার হবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং ম্যানেজমেন্টের মধ্যকার দায়িত্ব ও কার্যাবলির সীমারেখা নির্ধারণ করা এবং কোনো পক্ষেরই যাতে এই সীমারেখা অতিক্রম করার সুযোগ না থাকে, তা-ও নিশ্চিত করা। পরিচালনা পর্ষদের ব্যাংকের ঋণ মঞ্জুরসহ দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না। পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব হবে বিজনেস প্ল্যান প্রণয়ন, ঝুঁকির বিষয়গুলো চিহ্নিত করা, ঝুঁকি লাঘবের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা, ব্যাংক পরিচালনার নীতি বা পলিসি প্রণয়ন করে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব দেবে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর নেতৃত্বে ম্যানেজমেন্টের ওপর। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর নেতৃত্বে যে ম্যানেজমেন্ট টিম থাকবে, তাদের দায়িত্ব হবে পরিচালনা পর্ষদ প্রদত্ত বিজনেস প্ল্যান এবং ঝুঁকি নিরাময়ের পদক্ষেপসহ সব পলিসি মেনে ব্যাংক পরিচালনা করা। এই কাজে ব্যর্থ হলে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীসহ সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পরিচালনা পর্ষদ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে যৌথভাবে দায়ী থাকবে। ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে সঠিক পলিসি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হলে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে দায়ী থাকবে। এই সীমারেখা নির্ধারণ এবং অনুসরণের কাজটি করতে হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে, যাতে কোনো রকম সীমা অতিক্রমের সুযোগ না থাকে। এভাবেই ব্যাংক পরিচালনায় সুশাসন নিশ্চিত করা যেতে পারে। অন্য কোনোভাবে সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত করার কাজে হাত দিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।</p> <p style="text-align: justify;">তৃতীয় অগ্রাধিকার দিতে হবে ব্যাংকিং খাতে ইন্ডাস্ট্রি প্র্যাকটিস নিশ্চিত করার কাজে। ইন্ডাস্ট্রি প্র্যাকটিস এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে প্রতিটি ব্যাংকিং একই মানের শর্ত, প্যারামিটার, ঝুঁকি নির্ণয়, ঝুঁকি লাঘবের শর্ত এবং অন্যান্য নিয়ম-নীতি সমান তালে মেনে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা। সেবা দেওয়ার ধরনে বা গ্রাহকদের খুশি করার ব্যাপারে ভিন্নতা অবশ্যই থাকবে, কিন্তু পালনীয় শর্ত এবং নিয়ম-পদ্ধতি একই হবে। আমাদের দেশে ইন্ডাস্ট্রি প্র্যাকটিসের বড় অভাব। চতুর্থ অগ্রাধিকার দিতে হবে ব্যাংকের সব কার্যক্রম প্রযুক্তিনির্ভর করে তোলার ওপর। ব্যাংকিং হতে হবে কাগজবিহীন, যেখানে কোনো রকম ম্যানুয়াল কাজ থাকবে না। ব্যাংকে হিসাব খোলা থেকে শুরু করে ঋণের আবেদন, ঋণ আবেদন বিশ্লেষণ, ঋণ মঞ্জুর, ডকুমেন্টেশন, ঋণ বিতরণ, এমনকি রিকনসিলিয়েশনসহ সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। এই কাজটি সঠিকভাবে করতে পারলে ইচ্ছাকৃত খারাপ ঋণ প্রদান বা ফেক ঋণ প্রদানের সুযোগ এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। কেননা প্রযুক্তিনির্ভর সিস্টেমে সব শর্ত, নিয়ম-নীতি এবং রিস্ক প্যারামিটারগুলো ডিজিটাল সিস্টেমে আগে থেকেই নির্ধারণ করা থাকবে। ফলে কোনো প্রভাবশালী মহলের প্রভাবে সেগুলো ব্রেক করা সম্ভব হবে না।</p> <p style="text-align: justify;">খেলাপি ঋণ হ্রাসের প্রচেষ্টা থাকতে হবে, কিন্তু এই সমস্যা সমাধানের অগ্রাধিকারটি একটু পরেই রাখতে হবে। ব্যাংক পরিচালনায় সত্যিকার সুশাসন নিশ্চিত করে ব্যাংকের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল করে নতুনভাবে ঋণখেলাপি হওয়ার ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে সবার আগে। তারপর খেলাপি ঋণ সমাধানে হাত দিতে হবে। না হলে দ্বিমুখী ট্রাফিক চালু রাখলে খেলাপি ঋণ সমস্যার সমাধান তো হবেই না, উল্টো খেলাপি ঋণ সমস্যার আরো অবনতি ঘটবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাবিত রোডম্যাপে খেলাপি ঋণ সমস্যার সমাধানে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কম্পানি প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ আছে। বাংলাদেশের খেলাপি ঋণ অবস্থা যে পর্যায়ে গেছে তার সন্তোষজনক সমাধান করতে হলে ভেহিকল প্রতিষ্ঠান বা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কম্পানি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এগোতে হবে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে, যথেষ্ট বিচার-বিশ্লেষণ করে এবং সব দিক আটঘাট বেঁধে এই পদ্ধতির প্রয়োগ করতে হবে। এই বিষয়ে যাদের ভালো অভিজ্ঞতা আছে, তাদের কাজে লাগাতে হবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে অনেক দেশ খেলাপি ঋণ সমস্যার ভালো সমাধান করতে পেরেছে; যেমন—স্পেন, ইতালি ও আয়ারল্যান্ড। আবার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে না পারায় অনেক দেশ খারাপ অবস্থার সম্মুখীনও হয়েছে; যেমন—গ্রিস। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতও এই পদ্ধতি অবলম্বন করে তাদের খেলাপি ঋণ সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেও সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে না পারায় খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছে না। বরং সম্প্রতি একটি বৃহৎ ব্যাংক এই পদ্ধতির অপব্যবহার করে এক গ্রাহকের খেলাপি ঋণের সমাধান করলে কলকাতা হাইকোর্ট সেটি বাতিল করে দেন। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। এ কারণেই খেলাপি ঋণ সমস্যার সমাধান করতে হবে সব দিক বিবেচনা করে এবং সময় নিয়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাবিত রোডম্যাপে ভালো এবং খারাপ ব্যাংকের মধ্যে একীভূত করার প্রস্তাবও আছে। তবে এই পদক্ষেপ আপাতত সরিয়ে রাখতে হবে। কেননা ব্যাংকিং খাতের সমস্যা সমাধানে একাধিক ব্যাংকের মার্জার এখন পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি, এমনকি মার্জার-অ্যাকুইজিশনের স্বর্গরাজ্য বলে খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রেও না।                </p> <p style="text-align: justify;">আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতের যে সমস্যা, তা এক-দুই বছরে হয়নি। কয়েক দশক ধরে পুঞ্জীভূত হয়ে সমস্যা আজকের পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। তাই রাতারাতি এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তেমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। সময় নিয়ে, সঠিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে এই খাতের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে হবে। যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে ক্রমাগত কাজ করতে পারলে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত বছর সময় লাগবে এই খাতে সম্পূর্ণ শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে দেশের ব্যাংকিং খাতকে আন্তর্জাতিক মানের কাছাকাছি নিয়ে যেতে। কিছু বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করতে পারলে দু-তিন বছরের মধ্যেই এই খাতকে একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর খেলাপি ঋণ সমস্যার সন্তোষজনক সমাধান করতে হলে ২০ থেকে ২৫ বছর মেয়াদি এক দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। শর্টকাট কোনো পদক্ষেপ কাজে আসবে না। আপৎকালীন কিছু পদক্ষেপ নিলে সাময়িক কিছু সুবিধা পাওয়া গেলেও অবস্থা যেখানে ছিল, সেখানেই থেকে যাবে। বরং অধিক খারাপ হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।</p> <p style="text-align: justify;">দেশের ব্যাংকিং খাতে তড়িঘড়ি করে দ্রুত ফল লাভের আশায় কাজ করতে গেলে মূল পরিকল্পনাই ভেস্তে যেতে পারে এবং এক ধরনের লেজেগোবরে অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের‍ ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা এবং খেলাপি ঋণ কমানোর লক্ষ্য নিয়ে যে কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, তা আরো বিচার-বিশ্লেষণ করে এবং অগ্রাধিকারের বিষয় সঠিকভাবে নির্ধারণ করেই বাস্তবায়নের কাজে হাত দেওয়া হবে বলেই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>লেখক </strong>: সার্টিফায়েড অ্যান্টি মানি লন্ডারিং স্পেশালিস্ট ও ব্যাংকার, টরন্টো, কানাডা</p> <p style="text-align: justify;">nironjankumar_roy@yahoo.com</p> </article>