<article> <p style="text-align: justify;">যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের এক ব্যক্তি তাঁর বাড়ির গ্যারেজে পড়ে থাকা অবস্থায় পান মরিচা ধরা একটি রকেট। জিনিসটি তিনি সাধারণ রকেট ভেবে কোনো জাদুঘরে দেওয়ার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গেছে, সেটি এক ভয়ানক বস্তু। স্নায়ুযুদ্ধকালের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র। তবে কিনা নিষ্ক্রিয়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">গ্যারেজের মালিক প্রথমে ওহাইও সামরিক জাদুঘরকে বিষয়টি জানান। এরপর জাদুঘরের পক্ষ থেকে পুলিশকে ফোন করে জানানো হয়, বেলভ্যু শহরে এক ব্যক্তির গ্যারেজে অস্ত্রের মতো কিছু একটা পাওয়া গেছে। সেখানে দ্রুত বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট পাঠাতে হবে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">সে অনুসারে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় বোম স্কোয়াড।</p> <p style="text-align: justify;">এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, রকেটটি ডগলাস এয়ার-২ জিনি নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্র। আগে এর নাম ছিল এমবি-১। এটি এক ধরনের রকেট, যা পারমাণবিক অস্ত্র বহন করার জন্যই বানানো হয়েছিল।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">তবে রকেটটিতে কোনো যুদ্ধাস্ত্র যুক্ত ছিল না। ফলে স্থানীয়রা কোনো ঝুঁকিতে ছিল না।</p> <p style="text-align: justify;">গত শুক্রবার বেলভ্যু পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সেথ টাইলার বলেন, ‘এটি পাওয়া গুরুতর কোনো ঘটনা নয়। এমনকি এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি পাঠানোর যৌক্তিকতা নিয়েও বোম স্কোয়ার্ডের সদস্যরা প্রশ্ন তুলেছেন।’</p> <p style="text-align: justify;">গ্যারেজের মালিক পুলিশকে জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি একজন প্রতিবেশীর ছিল।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। সেই ব্যক্তি এটি নিলামে কিনেছিলেন। এর বেশি কিছু তিনি জানেন না। গ্যারেজে পড়ে থাকা পুরনো জিনিসটি জাদুঘরের কাজে লাগতে পারে ভেবেই ফোন করেছিলেন। এ নিয়ে পুলিশের উপস্থিতি এবং গণমাধ্যমের মাতামাতিতে কিছুটা বিরক্ত তিনি।</p> <p style="text-align: justify;">রুশ-মার্কিন স্নায়ুযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এ ধরনের রকেট ব্যবহার করেছিল। ১৯৬২ সালে এর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সূত্র : বিবিসি</p> </article>