<p>কিছু কিছু প্রেম কাহিনী আছে যেগুলো সম্পর্কে বিশ্ববাসী জানতে উৎসুক কিন্তু সেসব সম্পর্কে খুব কমই তথ্য পাওয়া যায়। এমনই একটি গল্প হলো হিটলার এবং তার স্ত্রী ইভা ব্রাউনের ভালোবাসার গল্প। তাদের ভালোবাসার গল্প খুবই রহস্যময় একটি; কেননা বিশ্ব খুব বেশি একটা জানে না এই বিষয়ে। কিন্তু অনেকেই বিশ্বাস করেন, তাদের প্রেমের গল্প রোমিও এবং জুলিয়েটের চেয়ে কোনো অংশেই কম ছিল না। আসুন জেনে নেওয়া যাক হিটলার ও তার স্ত্রী ইভা ব্রাউনের ভালোবাসার গোপন কিছু দিক।</p> <p><strong>ইভা ছিলেন হিটলারের অনুগত শিষ্য</strong><br /> হিটলারের চেয়ে ২৩ বছরের ছোট ছিলেন ইভা ব্রাউন। এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ১৬ বছর ধরে হিটলারের অনুগত শিষ্য ছিলেন ইভা। এমনকি হিটলার একবার তার প্রতি ইভার আনুগত্যের সঙ্গে তার কুকুর ব্লোন্ডির আনুগত্যের তুলনা করেছিলেন। যার ওপর তিনি বিষ খাওয়ার আগে সেই বিষের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছিলেন।</p> <p><strong>তাদের প্রথম সাক্ষাত</strong><br /> হিটলারের বয়স যখন ৪০ আর ইভার বয়স যখন ১৭ তখনই তাদের প্রথম দেখা হয়। সেসসময় ইভা ফটোগ্রাফি অ্যাসিসটেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। প্রথম দেখার অল্প সময়ের পরই ইভা হিটলারের প্রেমে পড়েন। যদিও তার পরিবার এর বিরোধীতা করেছিল।</p> <p>আরও পড়ুন: <a href=\"http://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2014/10/14/139231\" target=\"_blank\">হিটলার যেভাবে সেক্স করতেন : মার্টিন অ্যামিস</a></p> <p><strong>হিটলার তার প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ করতে দিতেন না ইভাকে</strong><br /> এতটাই স্বৈরাচারী ছিলেন হিটলার যে তিনি বিশ্বকে তার ব্যক্তিগত ভালোবাসার জীবনও জানাতে চাইতেন না। তিনি শুধু নিজেকে এমন একজন লোক হিসেবে দেখাতে চেয়েছিলেন যিনি শুধু তার নিজের দেশকেই ভালোবাসেন। পাশাপাশি তিনি নিজেকে তার নারী ফলোয়ারদের কাছে আবেদনময়ী করে রাখতেও চেয়েছিলেন। ইভা তার পাশে ছিলেন ১৬ বছর। তবে শেষ মুহূর্তের আগে তিনি তাকে বিয়ে করেননি।</p> <p><strong>ডেটিং করার আগে ইভার পরিবার নিয়ে তদন্ত করেন হিটলার</strong><br /> হিটলার ইভার রক্ত নিয়ে সন্দেহ পোষণ করতেন যে তার দেহে হয়তো ইহুদির রক্ত আছে। ফলে তিনি তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের বিষয়ে তদন্ত করান। এবং যখন প্রমাণিত হয় যে ইভা খাঁটি এরিয়ান বা আর্য রক্তের অধিকারী তখনই তার সঙ্গে ডেটিং করেন হিটলার।</p> <p>আরও পড়ুন: <a href=\"http://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2014/10/17/140402\" target=\"_blank\">হিটলার-ইভার যৌনজীবন : না স্পর্শ করেই সেক্স নয়, বিষয়টি আরো জটিল</a></p> <p><strong>ইভার দিককার ভালোবাসার গল্প</strong><br /> অপরদিকে ইভার ডায়েরি বলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। যেখানে হিটলার কীভাবে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং তাকে ধুমপান বা মদপানের অনুমতি দিতেন না ও নাচতে দিতেন না এবং জনসম্মুখে কারো সঙ্গে সাক্ষাত করতে দিতেন না সেসব লেখা আছে। ডায়েরিতে ইভা আরো প্রকাশ করেন, হিটলার শুধু নিজের জন্য সুবিধাজনক সময়েই তাকে ভালোবাসতেন।</p> <p><strong>বিয়ের আগে ইভা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন</strong><br /> ১৯৩২ সালে যখন তার সময় খারাপ যাচ্ছিল তখন ইভা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এরপর ১৯৩৫ সালেও একই চেষ্টা করেন। কেননা ইভা তার জীবন যেভাবে চলছিল তাতে মানসিকভাবে অবসাদে আক্রান্ত হয়েছিলেন।</p> <p>আরও পড়ুন: <a href=\"http://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2014/04/05/69565\" target=\"_blank\">ইহুদি ঘাতক হিটলারের খোদ প্রেমিকাই ছিলেন ইহুদি বংশোদ্ভুত!</a></p> <p><strong>তারা শুধু একসঙ্গে মরার জন্যই বিয়ে করেন!</strong><br /> হিটলারের সঙ্গে ১৬ বছরের একত্রবাসের সময় ইভার শুধু একটাই ইচ্ছা ছিল, হিটলারকে বিয়ে করা। সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যক্রমে তার স্বপ্ন সত্যি হয়। আর বিয়ের পরপরই তারা দুজনে আত্মহত্যা করেন, ২৯ এপ্রিল ১৯৪৫ সালে।</p> <p><strong>হিটলারের বিস্ময়কর উইল</strong><br /> যদিও হিটলার দীর্ঘ ১৬ বছর ইভাকে অপেক্ষা করানোর পর বিয়ে করেন তিনি তার উইলটি লিখেছিলেন বিয়ের আগেই। তাতে লেখা ছিল: ‘আমি এবং আমার স্ত্রী শত্রুর হাতে বন্দী হওয়ার এবং আত্মসমর্পণের অপমান থেকে বাঁচতে মৃত্যুকে বেছে নিয়েছি। আমাদের ইচ্ছা আমাদেরকে যেন মৃত্যুর পরপরই আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়। যেখানে আমি আমার জনগনের জন্য ১২ বছরের সেবার সময়কালে প্রতিদিনের কাজের সেরা অংশটি সম্পন্ন করেছি সেখানেই যেন আমাদেরকে আগুনে পোড়ানো হয়।’</p> <p>আরও পড়ুন: <a href=\"http://www.kalerkantho.com/online/world/2016/12/04/436949\" target=\"_blank\">হিটলারের স্ত্রী’র নগ্ন ছবি ফাঁস</a></p> <p> </p>