ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান

ধারণক্ষমতার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানটির নাম অ্যান্টোনভ এএন-২২৫ ম্রিয়া। এটি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বা বর্তমান রাশিয়ায় নির্মিত বিমান হলেও এখন পর্যন্ত বিমানটির মতো বিশাল ধারণক্ষমতার কোনো বিমান নির্মিত হয়নি। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং।

১৯৮৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যান্টোনভ এএন-২২৫ ম্রিয়া বিমানটি তার যাত্রা শুরু করে।

এরপর ২৭ বছর পার হয়ে গেছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশ্বে নানা পরিবর্তন এসেছে। নিত্যনতুন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এমনকি ২০১৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ নির্মিত হয়েছে।
কিন্তু এ বিমানটির আসন কেউ দখল করতে পারেনি।

দীর্ঘদিন ধরে সবচেয়ে বড় বিমানের এ আসনটি দখল করে রাখাকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রমাণ বলেও মানছেন অনেকে। এ বিমানটির ডানার দৈর্ঘ্য ৮৮ মিটার বা ২৯০ ফুট। এ ছাড়া এর প্রস্থ ৮৪ মিটার বা ২৭৫ ফুট।

বিমানটি ওড়ানোর জন্য কমপক্ষে ছয় জন ক্রু প্রয়োজন হয়।

১৯৮৮ সালের ২১ ডিসেম্বর অ্যান্টোনভ এএন-২২৫ ম্রিয়া বিমানটি প্রথম আকাশে ওড়ানো হয়। সে সময় বিমানটি নির্মিত হয়েছিল বুরান স্পেস শাটল ও তার রকেট বুস্টার পরিবহনের জন্য। পরবর্তীতে অ্যান্টোনভ এয়ারলাইন্স এটি বিশেষ মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহার করছে।

অ্যান্টোনভ এএন-২২৫ ম্রিয়া বিমানটিতে রয়েছে ৩২টি চাকা।

এ চাকাগুলো টেক অফের সময় সর্বোচ্চ ৬৪০ টন ওজন নিতে পারে। তবে বিমানটিতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ওজন নেওয়া হয়েছে ১৯০ টন প্রায়। যা একটি বিশ্বরেকর্ডও বটে। বিমানটি স্পেস শাটল পরিবহনের কাজেও ব্যবহৃত হয়েছে।
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ইমোর এইচডি ভিডিও কলে বাসা খোঁজা এখন আরো সহজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইমোর এইচডি ভিডিও কলে বাসা খোঁজা এখন আরো সহজ
সংগৃহীত ছবি

জুলাই ও আগস্ট মাসে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি মৌসুম। প্রতিবছর এ সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে ভিড় জমায় উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে। একইসঙ্গে, ভর্তির পাশাপাশি চলে নতুন শহরে থাকার জন্য বাসা খোঁজা।

নওগাঁ থেকে ঢাকায় উচ্চশিক্ষার জন্য আসা রাকিব আহমদের গল্পটাও এমন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে রাজধানীতে আসেন রাকিব ও তার চার বন্ধু। ইচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার। কিন্তু জুতসই বাসা খুঁজে পাওয়া তাদের জন্য মোটেই সহজ ছিল না। জনবহুল ঢাকা শহরে ঘুরে ঘুরে অ্যাপার্টমেন্ট দেখাও ক্লান্তিকর হয়ে উঠছিল।
তাছাড়া, পাঁচজনের সময় মেলানোও ছিল এক বিশাল ঝামেলা।

কিন্তু বাসাতো খুঁজে পেতে হবে। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে তারা ইমোর এইচডি কল ফিচার ব্যবহার করা শুরু করে। বন্ধুরা যখন বাসা দেখতে যেত, তারা তা লাইভ দেখাত বাকিদের।

এই সহজ কিন্তু কার্যকর পদ্ধতিতে সবারই বাসা দেখা হতো, সেটা হোক ঘরের আকার ও রুমে কতটুকু আলো ঢোকে তা বোঝা, কিংবা রান্নাঘর বা বাথরুমের অবস্থা। এতে করে, একদিকে যেমন তাদের সময় সাশ্রয় হয়েছে ও পরিশ্রম কমেছে; অন্যদিকে, পছন্দের বাসা খুঁজে পেতে কম সময়েই তারা অনেক বাসা ঘুরে দেখতে পেরেছে।
  
রাকিব বলেন, ‘আমরা আগে ইমো-তে এইচডি ভিডিও কল দিয়ে বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতাম। তাই, যখন বাসা দেখানোর বিষয় আসে, তখন স্বাভাবিকভাবেই ইমো ব্যবহার করি। ভিডিও কল এতটাই ঝকঝকে ছিল, আমরা বাসার সব খুঁটিনাটি দেখতে পেরেছি।
একসঙ্গে বাসা দেখতে না যেতে পারলেও, আমরা সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। আর এক্ষেত্রে আমাদের কোনো ঝামেলাও হয়নি।’
 
হাই রেজ্যুলেশনের ভিডিও আর নয়েজ ছাড়া স্পষ্ট ভিডিও কলের মাধ্যমে রাকিব ও তার বন্ধুরা প্রতিটি বাসার সুবিধা-অসুবিধা চোখের সামনে দেখতে পেয়েছেন, যেন নিজেরাই সেখানে গিয়ে দেখছেন। সাধারণ ভিডিও কল যেখানে ঝাপসা বা অস্পষ্ট হতে পারে, সেখানে ইমোর এইচডি কলে দেয়ালের টেক্সচার থেকে জানালা—সবই স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। এমন ঝকঝকে ভিডিওর কারণে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশঙ্কা যেমন অনেকখানি কমে গেছে, তেমনি তারা সহজেই খুঁজে পেয়েছেন তাদের কাঙ্ক্ষিত বাসা। শুধু রাকিব আর বন্ধুরাই নয়, প্রতিবছর দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঢাকায় পাড়ি জমান উচ্চশিক্ষার জন্য। নতুন শহরে নিজেদের জন্য একটি নিরাপদ ও আরামদায়ক বাসা খুঁজে নেওয়া প্রত্যেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আর এক্ষেত্রে, কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠছে আধুনিক প্রযুক্তি। তাদের কাছে ইমো শুধুমাত্র মেসেজিং অ্যাপই নয়, বরং তার চেয়েও বেশি কিছু। ইমোর মাধ্যমে তাদের লাইফস্টাইল যেমন স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হয়েছে, একইসঙ্গে পরিবার ও পছন্দের মানুষদের সঙ্গে বন্ধন হয়েছে আরও অটুট। অ্যাপের এইচডি ভিডিও কলের মাধ্যমে সরাসরি উপস্থিত না থাকতে পারলেও, ইমো ব্যবহারকারীরা থাকছেন তাদের স্বজনদের কাছাকাছি, মুহূর্তগুলোকে করে তুলছেন স্মরণীয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রানি প্রথম এলিজাবেথ কেন বিয়ে করেননি?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রানি প্রথম এলিজাবেথ কেন বিয়ে করেননি?
সংগৃহীত ছবি

ইংল্যান্ডের ইতিহাসে রানি প্রথম এলিজাবেথ এক অনন্য চরিত্র। রাজা অষ্টম হেনরির কন্যা এলিজাবেথ একমাত্র ব্রিটিশ রানি, যিনি কখনো বিয়ে করেননি। তবে আজ থেকে ৪৫০ বছর আগে কেনিলওয়ার্থ দুর্গে তার এক স্মরণীয় সফর ও প্রেম-সম্ভাবনার গল্প কৌতূহল জাগায় মানুষের মনে। সম্প্রতি বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই গল্প।

 

১৫৭৫ সালের ২০ জুলাই, ৪১ বছর বয়সে রানি এলিজাবেথ এসেছিলেন কেনিলওয়ার্থ দুর্গে। সেই দুর্গটি তিনি বহু আগেই উপহার দিয়েছিলেন তার প্রিয়জন রবার্ট ডাডলিকে। ডাডলির সঙ্গে রানির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে তখনকার সমাজে চলত নানা গুঞ্জন। অনেকে মনে করতেন, এই সফরের আয়োজন আসলে ছিল এক অনন্য প্রেম নিবেদন।

রানির আগমন উপলক্ষ্যে দুর্গে ডাডলি আয়োজন করেছিলেন চমকপ্রদ সব বিনোদনের। সসংগীত, নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিক কসরত, আতশবাজি, নাট্য পরিবেশনা—সব কিছুর মধ্যেই লুকিয়ে ছিল বিবাহের আবেদন। 

এই আয়োজনে প্রতি দিনে খরচ হয়েছিল প্রায় এক হাজার পাউন্ড, যা আজকের মূল্যে লাখো ডলার। অনেকে বলেন, ডাডলির এই আয়োজন ছিল রানিকে বিয়ে করার শেষ চেষ্টা—‘হিজ লাস্ট থ্রো অফ দ্য ডাইস’।

কিন্তু এই বিয়ের নাটকের ক্লাইম্যাক্সে আসে ভাটা।

শেষে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল একটি মাস্ক (নাট্য পরিবেশনা), যেখানে চাস্টিটির দেবী ডায়ানা খুঁজছিলেন তার সতী নিম্ফ জাবেট্টাকে—যা স্পষ্টতই এলিজাবেথের রূপক নাম। নাটকের মাধ্যমে রানিকে বিয়ে করতে অনুরোধ করবেন ভেবে রেখেছিলেন ডাডলি। কিন্তু নাটকটি আর মঞ্চস্থ হয়নি। কারণ কি কেবল খারাপ আবহাওয়া, নাকি রানি সেই বার্তা পছন্দ করেননি তা আজও অজানা।

 

মাত্র ২৫ বছর বয়সে ১৫৫৮ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসেন এলিজাবেথ। ততদিনে দেশজুড়ে চলছে ধর্মীয়, রাজনৈতিক আর আর্থিক সঙ্কট। সবাই বলছিলেন—একজন নারী শাসক একা শাসন করতে পারবেন না। সংসদ, উপদেষ্টা, এমনকি প্রজারাও চেয়েছিল তিনি বিয়ে করুক। কিন্তু এলিজাবেথ জানতেন, বিয়ে মানে স্বামীকে কর্তৃত্ব ছেড়ে দেওয়া। আর তেমন কিছু তিনি কখনোই করতে রাজি ছিলেন না। 

তিনি নিজে ছিলেন উচ্চশিক্ষিত—পাঁচটি ভাষায় পারদর্শী, ইতিহাস ও বক্তৃতাশাস্ত্রে প্রশিক্ষিত। এছাড়াও তার শৈশবেই দেখেছেন কীভাবে তার সৎ মা ক্যাথারিন পার একজন নারী হয়েও রাজার অনুপস্থিতে ক্ষমতা সামলেছিলেন।

আর পারিবারিক ইতিহাস? তার মা, রানী অ্যান বোলিন মিথ্যা অভিযোগে হেনরি অষ্টমের আদেশে শিরচ্ছেদ হন। মেনডিকের শিল্পকর্মে দেখা যায় এক ভয়াবহ দৃশ্য—শিয়ালের রূপে অ্যান প্রার্থনার ভঙ্গিতে বসে, সামনে এক নৃশংস কুকুর সদৃশ শিরোচ্ছেদকারী।

এলিজাবেথ ব্যক্তিগতভাবে আকর্ষণীয় পুরুষদের পছন্দ করলেও, সন্তান ধারণ ও প্রসবকালীন ঝুঁকি তাকে ভয় পাইয়ে তুলেছিল। তখনকার দিনে সন্তান জন্ম মানেই ছিল মৃত্যুর হাতছানি—এটা তিনি খুব ভালো করেই জানতেন।

অন্যদিকে, রাজনীতির কৌশলেও বিবাহ ছিল একটি কার্ড। এলিজাবেথ তার বিয়ের গুঞ্জন ব্যবহার করেছেন আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে—ফ্রান্স, স্পেনসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন সম্ভাব্য বিয়ের আলোচনার মাধ্যমে। 

তাই তিনি নিজেকে ‘ভার্জিন কুইন’ হিসেবে গড়ে তোলেন। জনতার সামনে বারবার ঘোষণা করেন—‘আমি বিয়ে করেছি ইংল্যান্ডকে।’

কেনিলওয়ার্থ দুর্গের সেই প্রেম নিবেদন আয়োজনের প্রায় ৪৫০ বছর পর রানির সব কাহিনিকে ঘিরে শিল্পী লিন্ডসে মেনডিক তৈরি করেছেন এক ব্যতিক্রমী ভাস্কর্য-স্থাপনাশিল্প, যার নাম ‘উইকেড গেম’। ইতিহাস আর রূপকের মিশেলে নতুন দৃষ্টিকোণ হাজির করেছে রানির চিরকুমারী জীবনের উপর। কেনিলওয়ার্থ ক্যাসলের গ্রেট হলে ৩১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী।

মন্তব্য

মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে অবদান রেখেছিল ভারতের ‘ফ্লাইং কফিন’ খ্যাত মিগ-২১

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে অবদান রেখেছিল ভারতের ‘ফ্লাইং কফিন’ খ্যাত মিগ-২১
সংগৃহীত ছবি

ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষার ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায় শেষ হতে চলেছে। ১৯৬৩ সালে ভারতীয় বিমানবাহিনীতে যুক্ত হওয়া প্রথম সুপারসনিক যুদ্ধবিমান মিগ-২১ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই অবসরে পাঠাচ্ছে দেশটি। ভারতের মিগ-২১ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সামরিক সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এই যুদ্ধবিমান।

১৯৬৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই জেট বিমান ভারতের হাতে আসে। এরপর হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড এর মাধ্যমে দেশীয়ভাবে এটির উৎপাদন ও আধুনিকায়ন চলতে থাকে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বিমানটি হয়ে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ। জটিল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও আধুনিক নিরাপত্তা প্রযুক্তির অভাবে একপর্যায়ে একে ‘ফ্লাইং কফিন’ নামে ডাকা শুরু হয়।

ভারতীয় বিমান বাহিনীতে এক সময় ধাপে ধাপে যুক্ত হয় ৮৭২টি মিগ-২১। কিন্তু ১৯৭১ সাল থেকে এ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে ৪০০টিরও বেশি, প্রাণ হারিয়েছেন ২০০-র বেশি পাইলট ও ৫০ জন বেসামরিক নাগরিক।

বর্তমানে রাজস্থানের নাল ঘাঁটিতে শুধু দুটি মিগ-২১ বাইসন স্কোয়াড্রন সচল রয়েছে, যার মধ্যে মোট বিমান সংখ্যা ৩৬টি। সেগুলোই অবশেষে অবসরে পাঠানো হচ্ছে সেপ্টেম্বরে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এর ভূমিকা ছিল স্মরণীয়। বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকার গভর্নর হাউস লক্ষ্য করে ভারতীয় বিমানবাহিনীর চারটি মিগ-২১ বিমান একযোগে ১২৮টি রকেট নিক্ষেপ করে। ওই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এয়ার ভাইস মার্শাল ভূপেন্দ্র কুমার বিষ্ণোই। তার ভাষায়, এই আক্রমণের পরই পূর্ব পাকিস্তানে বেসামরিক সরকারের ‘শিরদাঁড়া ভেঙে’ পড়ে।

এরপর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনা হয়।

অনেক সমর বিশ্লেষকের মতে, মিগ-২১ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কৌশলগত ভারসাম্য বদলে দেয়।

বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী মিগ-২১ এর চীনা সংস্করণ এফ-৭ বিজিআই ব্যবহার করছে। এর একটি বিমান সম্প্রতি ঢাকার মাইলস্টোন স্কুলে বিধ্বস্ত হয়, যা আবার আলোচনায় আনে সুপ্রাচীন এই যুদ্ধযানকে। 

মুক্তিযুদ্ধে মিগ-২১ এর অবদানের স্মারক হিসেবে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকায় উপহার দেন মিগ-২১ এর একটি প্রতিমূর্তি। 

মন্তব্য

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ২২ জুন কালের কণ্ঠ অনলাইনে প্রকাশিত ‘এবার উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার নারী কেলেঙ্কারি ফাঁস করলেন নির্ঝর’ শিরোনামভুক্ত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) কাজী মাহবুবুর রশিদ।  

মাহবুবুর রশিদের নারী কেলেঙ্কারি বিষয় নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝরের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্ট নিয়ে কালের কণ্ঠ অনলাইন সংবাদটি প্রকাশ করে। ওই সংবাদ প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) কাজী মাহবুবুর রশিদ স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়া ও স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য ও ভিত্তিহীন। মাহবুবুর রশিদের দাবি, জাওয়াদ নির্ঝর তাঁর পোস্টে তাঁর (মাহবুবুর রশিদ) সঙ্গে যে নারীর ছবি প্রকাশ করেছেন এবং যাকে তিনি তাঁর পিওনের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি ইসলামী শরিয়া মতে বিয়ে করা মাহবুবুর রশিদের দ্বিতীয় স্ত্রী।

নিজের স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমিকা হিসেবে উপস্থাপন করা এবং তাঁর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা বিভ্রান্তিকর, আপত্তিজনক ও মানহানিকর।

প্রতিবাদলিপিতে মাহবুবুর রশিদ বলেন, ‘২০২৪ সালের ৬ অক্টোবর আমি মোছা. আফরিন সুলতানা লিয়াকে বিয়ে করি এবং চলতি বছরের ১৩ মে তাঁকে তালাক দিই। তালাকের নোটিশ পেয়ে লিয়া ও তাঁর মা আমার নামে অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর তথ্য প্রদান করেন জাওয়াদ নির্ঝরহ কয়েকজন সাংবাদিককে, যা জাওয়াদ নির্ঝরসহ সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপে প্রকাশিত হয় এবং কালের কণ্ঠেও জাওয়াদ নির্ঝরকে উদ্ধৃত করে একই ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এতে আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্নের পাশাপাশি আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

’ 

প্রতিবেদকের বক্তব্য : গত ২২ জুন নিজের ফেসবুক পেজে কাজী মাহবুবুর রশিদের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে একটি পোস্ট দেন প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর। কালের কণ্ঠ অনলাইন মূলত ওই পোস্ট নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করে যেখানে অভিযোগগুলো যথাযথ নিয়ম মেনে পোস্টদাতার বরাতে উপস্থাপন করা হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ