<p>সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে হানিনাট ভীষণ পরিচিতি পেয়েছে। নাম শুনেই বোঝা যায় এটি মূলত মধু আর বাদাম মিশ্রিত কোন খাবার। কিন্তু সাধারণ এ খাবার কেনইবা এ পরিচিতি পেল এ প্রশ্ন কমবেশি সবারই। সে যাই হোক, হানি নাট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনাও রয়েছে বিস্তর। বিশেষ করে শীত আসলে হানি নাটের বিক্রি ও আলোচনা বেড়ে যায়। বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনে হানি নাট খাবারের যেসব উপকারিতা সম্পর্কে বলা হয় তা কি আদৌ সত্য? <br /> মধু ও বাদাম দুটিই পুষ্টিকর বলে একসঙ্গে খেলে উপকারিতা মেলে বেশি। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের জন্য এটি হতে পারে বড় বিপদের কারণও। বিশেষ করে তিন শ্রেণীর লোকের জন্য হানি নাট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে- ডায়াবেটিস রোগী, স্থুলতার সমস্যায় ভুগছেন যারা এবং কিডনি জটিলতায় আছেন যারা। তাহলে হানি নাট কাদের জন্য প্রযোজ্য? সবাই কি খেতে পারবে এটি? চলুন জেনে নেওয়া যাক।</p> <p><strong>ডায়াবেটিস রোগী:</strong> ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনুপযোগী খাবারের মধ্যে মধু একটি। তাই হানি নাট ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া নিষেধ। মধুর মূল উপাদান গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ। তাই মধু খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে। </p> <p><strong>ওজন বেশি থাকলে:</strong> যাঁদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁরা হানি নাট খাবেন না। মধু সরল শর্করা। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি বলে এটি খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। বাদামের পরিমাণ খুব বেশি থাকে বলে শরীরে বাড়তি ক্যালোরি যোগ হয়। তাই হানি নাট তাদের জন্য খুবই- ক্ষতিকর।</p> <p><strong>কিডনি রোগী:</strong> কিডনি ক্ষেত্রে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন খেতে নিষেধ করা হয়। তাই কোনো কিডনি রোগী হানি নাট খেলে বাদামের কারণে তার ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে কিডনিজনিত জটিলতা, যেমন পা ফুলে যাওয়া, শরীর চুলকানো, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি আরও বাড়বে। </p> <p>সব খাবার সবার জন্য উপযোগী নয়। হানি নাটও সবার জন্য উপযোগী নয়। এর বিক্রেতারা প্রচারণার সময় বলে থাকেন, এটি যৌন দুর্বলতা থেকে মুক্তি দেবে। কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে, হানি নাটে এমন কোনো বিশেষ উপাদান নেই, যা যৌন দুর্বলতা দূর করবে।</p> <p>তবে আপনার যদি বিশেষ কোনো শারীরিক জটিলতা না থাকে, তাহলে প্রতিদিন হালকা খাবার হিসেবে পরিমিত হানি নাট খেতে পারেন। অতিরিক্ত যেকোনো খাবারই স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটি খাওয়ার আগে এতে ব্যবহৃত মধুর গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। </p> <p>সূত্র ডেইলি মেইল</p>