<p>বয়সের ছাপ চেহারায় পড়ুক, এটা কে চায়! তাই বলে বয়সকে তো আর থামিয়ে দেওয়া সম্ভব না। বয়সকে থামিয়ে দেওয়া না গেলেও ত্বকে যাতে এর ছাপ না পড়ে সে ব্যবস্থা কিন্তু করাই যায়। অবাক লাগছে নিশ্চয়ই? জেনে নিন কী করলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়বে না, ত্বক থাকবে সুন্দর- </p> <p><strong>একটুখানি যত্নআত্তি</strong><br /> প্রতিদিন যাদের বাড়ি থেকে বের হতে হয় তাদের জন্য তো বটেই, যারা বাড়িতে থাকেন তাদেরও নিয়ম মেনে সঠিক ত্বকচর্চা করা উচিত। অন্যথায় ত্বক অল্পতেই নষ্ট হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে দূষণ, মেকআপ, ময়লা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে ডাবল ক্লিনজিং প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন। এরপর ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে টোনার ব্যবহার করতে হবে। অ্যান্টি-এজিংয়ের জন্য রেটিনল সিরাম বেশ জনপ্রিয়। তবে রেটিনল ব্যবহার করতে চাইলে আগে থেকেই সাধারণ ত্বকচর্চা অনুসরণ করে যেতে হবে এবং অল্প করে ব্যবহার করা দিয়ে শুরু করতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সিরাম বেছে নিন। সিরামের পর ত্বক অনুযায়ী ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করুন। আর বয়সের ছাপ পড়তে দিতে না চাইলে দিনের বেলা সানস্ক্রিন ব্যবহারের কথা একদমই ভোলা যাবে না।</p> <p><strong>খাদ্যভ্যাসে পরিবর্তন</strong><br /> বেশি পরিমাণে চিনি ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার শরীর ও ত্বক দুয়ের জন্যই খারাপ! ৩০ বছরের পর খাদ্যতালিকাতে লাগাম টানা উচিত। চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার কমিয়ে তাজা ফল, বাদাম, সবজি, মাছ, মুরগির মতো খাবার তালিকায় যুক্ত করুন। হেলদি ফ্যাট, ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড, জিংক, ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার অ্যান্টি-এজিংয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।</p> <p><strong>চাপমুক্ত জীবনযাপন</strong><br /> চাপমুক্ত জীবনযাপনের অভ্যাস করা উচিত, যদি বয়সের ভারে অল্পতেই নুয়ে পড়তে না চান। ছোট-বড় বিভিন্ন বিষয়ে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। ইতিবাচক চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটান দৈনন্দিন জীবনযাপনে। সেই সঙ্গে সময়মতো এবং পর্যাপ্ত ঘুমের চেষ্টা করুন। দিনে সাত-আট ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে ফুরফুরে থাকা যাবে পুরো দিন। চাপমুক্ত থাকতে ইয়োগা বা মেডিটেশন করতে পারেন, শখের কাজগুলোও করতে পারেন। </p> <p><strong>পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন</strong><br /> ত্বক ভালো রাখতে পানি পান করার বিকল্প কিছুই নেই। এ কথা কমবেশি সবারই জানা। তাই দৈনিক অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন। ত্বককে আর্দ্র ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে পানির বিকল্প নেই। তবে প্যাকেটজাত জুস, এনার্জি ড্রিংকস, কোমল পানীয় এগুলো ক্ষতিকর। ডাবের পানি, ঘরে বানানো শরবত, ডিটক্স ড্রিংকস এগুলো বেছে নিতে পারেন পরিবর্তে।</p>