ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

মোবাইল গ্রাহকদের অপারেটর বদলের পথে নানা বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মোবাইল গ্রাহকদের অপারেটর বদলের পথে নানা বাধা
সংগৃহীত ছবি

বিটিআরসির উদাসীনতা এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের অসহযোগিতার কারণে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা গ্রহণে গ্রাহকরা খুব বেশি উত্সাহী হতে পারছে না। নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের আকর্ষণীয় এই সেবা বিশ্বের ১১৫টি দেশে চালু রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও সফলভাবে চলছে এই সেবা। একটি অপারেটরের সেবার মান ভালো না হলে অন্য অপারেটর বেছে নিচ্ছে সে দেশের গ্রাহকরা।

কিন্তু দেশে এই সেবা নানা ধরনের বাধার সম্মুখীন।

মোবাইল অপারেটরদের সমান ব্যয়ে লাইসেন্স নিয়ে প্রচুর বিনিয়োগ করেও দেশের এমএনপি অপারেটর প্রত্যাশা অনুযায়ী গ্রাহক পাচ্ছে না। এমএনপি লাইসেন্সিং গাইডলাইন অনুসারে এই সেবা একটি রেগুলেটরি টুল। এমএনপি ব্যবহার করে মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান উন্নয়নসহ তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, কিন্তু গত সাত বছরেও এই সেবা সফলতা পায়নি।

গতকাল মঙ্গলবার টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত কর্মশালায় নিজেদের এই পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন এমএনপি অপারেটর প্রতিষ্ঠান ইনফজিলিওন টেলিটেক বিডি লিমিটেরে কর্মকর্তারা। 

২০১৭ সালে টেন্ডারপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে ইনফজিলিওন টেলিটেক বিডি লিমিটেড ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের (এফডিআই) মাধ্যমে এমএনপি (ডিপিংসহ) সেবা পরিচালনার লাইসেন্স পায়। ২০১৮ সালে এই সেবা শুরু হওয়ার পর ওই বছরের অক্টোবরে ৪৪ হাজার ৩১২ জন গ্রাহক এর মাধ্যমে অপারেটর বদল করে। ২০১৯ সালের মে মাসে এমএনপি সেবা নেয় এক লাখ ১১ হাজার ১২৭ জন গ্রাহক।

প্রথম বছরে প্রতি মাসে গড়ে ৫৭ হাজার ৫৪৬ জন গ্রাহক এই সেবা গ্রহণ করে। কিন্তু বর্তমানে এই সংখ্যা ১৪ হাজারে নেমে এসেছে।  

কর্মশালায় বলা হয়, বিটিআরসির লাইসেন্সিং গাইডলাইন অনুযায়ী এমএনপি সেবাকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় করার বিষয়ে মোবাইল অপারেটদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে মোবাইল অপারেটররা এমএনপি সেবা নিতে গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে এ বিষয়ে বিটিআরসির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এ ছাড়া বিদ্যমান অপারেটরের আপত্তির কারণে অনেক গ্রাহক এমএনপি সেবা নিতে পারছে না। বিল বাকি, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে—এ ধরনের মিথ্যা কারণে গ্রাহকের আবেদন প্রত্যাখ্যান করছে তারা। এ ধরনের প্রত্যাখ্যানের হার ৪৫ শতাংশ। কিন্তু এটি ৫ শতাংশের বেশি হওয়ার কথা নয়। বিটিআরসির একটি কারিগরি কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছে যে অসত্য অভিযোগে গ্রাহকের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার ঘটনা ঘটছে। অপারেটররা যেকোনোভাবে তাদের গ্রাহক আটকে রাখতে চাইছে। এ ধরনের অসত্য অভিযোগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের শাস্তির বিধান করলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।  

ইনফজিলিওন কর্মকর্তারা জানান, প্রথমদিকে মোবাইল সিম করের উচ্চহার এমএনপি সেবাকে ব্যয়বহুল করে তোলায় নম্বর পোর্টের অনুরোধের সংখ্যা প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল। এই পরিস্থিতির উন্নয়নে এনবিআর সিম কর মওকুফ করলে পোর্টিং সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সিম কর মওকুফ বাতিল করা হয়। এতে গ্রাহকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বর্তমানে এমএনপি সেবা নিতে হলে গ্রাহক পর্যায়ে এমএনপি ফি বাবদ ৪৫০ টাকা দিতে হয়। বিটিআরসি ও এনবিআরের কাছে এই বিষয়টি দেশ ও গ্রাহক স্বার্থে পুনর্বিবেচনার জন্য বলা হলেও সমাধান হয়নি।

কর্মশালায় আরো জানানো হয়, বিটিআরসির এক নির্দেশনার কারণে এমএনপি নম্বর ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন সংবেদনশীল আর্থিক সামাজিক এবং প্রয়োজনীয় অন্য প্ল্যাটফর্ম থেকে মাস্কিং এসএমএস গ্রহণ করতে পারে না। এটিও এমএনপি সেবা জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে বড় বাধা। বিটিআরসি এ সমস্যার সমাধানেও পদক্ষেপ নেয়নি। এটুপি (অ্যাপ্লিকেশন টু পারসন) এসএমএস বাল্ক এসএমএস সঞ্চালনের জন্য বিটিআরসিতে তালিকাভুক্ত প্রায় ১৫০টি এগ্রিগেটর আছে। এই এটুপি এসএমএস এগ্রিগেটররা মোবাইল অপারেটরদের রিসেলার হিসেবে বিভিন্ন করপোরেট অফিস, এন্টারপ্রাইস প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে সেবা দিয়ে আসছে। এর পরও বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের ডাইরেক্ট ক্লায়েন্ট হিসেবে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে এটুপি এসএমএস সেবা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

এর ফলে স্থানীয় দেশি উদ্যোক্তা এগ্রিগেটররা এসএমএস ট্যারিফ অনুযায়ী মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না এবং ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এমএনপি সেবায়ও। 

টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন। ইনফজিলিওনের পক্ষে বক্তব্য দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাবরুর হোসাইন, সিইও ব্রি. জে. (অব.) মোস্তফা কামাল। প্রতিষ্ঠানটির টেকনিক্যাল লিড ওবায়দুল ইসলাম এমএনপি সেবার বাধা ও সম্ভাবনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থান করেন। এ সময় ইনফজিলিওনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাজ্জাদ হোসাইন মজুমদার, হেড অব সার্ভিস আসিফুর রহমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার রিফাত হাসান উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রিলস দেখতে আর স্ক্রল করতে হবে না, যে আপডেট নিয়ে আসছে ইনস্টাগ্রাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রিলস দেখতে আর স্ক্রল করতে হবে না, যে আপডেট নিয়ে আসছে ইনস্টাগ্রাম
সংগৃহীত ছবি

আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিলস বা শর্ট ভিডিও অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শত কাজের মাঝে একটু সময় পেলেই অনেকে ঢুঁ মারেন ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে। কিন্তু রিলস দেখতে গেলে বারবার স্ক্রল করতে হয়। তবে এখন থেকে আর তেমনটা স্ক্রল করতে হবে না ইনস্টাগ্রামে।

আরো সহজ হতে চলেছে রিলস দেখা।

কী এই ফিচার

খুব শিগগির রিলসে ‘অটো স্ক্রল’ ফিচার আনছে ইনস্টাগ্রাম। এর ফলে রিলস দেখতে গেলে আর স্ক্রল করতে হবে না। মোবাইল স্ক্রিনে চলতে থাকবে একের পর এক রিলস।

ইতিমধ্যেই আইফোনে এসে গেছে ইনস্টাগ্রামের নতুন এই ফিচার। তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কবে আসবে, তা এখনো জানা যায়নি।

আরো পড়ুন
ঘড়ি বাঁ হাতে পরা হয় কেন, ডান হাতে পরলে কী হয়?

ঘড়ি বাঁ হাতে পরা হয় কেন, ডান হাতে পরলে কী হয়?

 

কিভাবে এই ফিচারটি চালু করবেন

‘অটো স্ক্রল’ ফিচারটি চালু করতে গেলে প্রথমে যেকোনো একটি রিলস ওপেন করতে হবে। তারপর ডানদিকে নিচে তিনটি বিন্দু দেওয়া একটি অপশন ক্লিক করতে হবে।

তারপর ‘অটো স্ক্রল’ ফিচারটি চালু করতে হবে। একবার এই ফিচারটি চালু করা হয়ে গেলে রিলস দেখার সময় আর বারবার স্ক্রল করতে হবে না।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্য

অ্যানোনিমাস পেজ থেকে গুজব ছড়াচ্ছে বেটিং চক্র

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অ্যানোনিমাস পেজ থেকে গুজব ছড়াচ্ছে বেটিং চক্র

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ‘অ্যানোনিমাস মেইন পেজ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাস। এই স্ট্যাটাসটি ছিল ২০ জুলাইয়ের। যেখানে দাবি করা হয়, ‘একটি বিদ্যালয়ের বিল্ডিং ধসে পড়বে, অনেক শিশুর প্রাণহানি ঘটবে। এমনটা ঘটবে বিদ্যালয়ের বিল্ডিংয়ের দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণের কারণে।

এরপরই সোমবার উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজের প্রাইমারি ভবনে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরেই অনেকে দাবি করতে শুরু করেন, হয়তো এই ঘটনার সঙ্গে স্ট্যাটাসের কোনো যোগসাজশ রয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই একই পেজ থেকে উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পরই অপর এক স্ট্যাটাসে দাবি করা হয়, তারা আগেই সতর্ক করেছিল। একদিন আগেই এমন কিছু ঘটবে, সেটার আগাম বার্তা দিয়েছিল। একের পর এক গুজব ছড়ানো হচ্ছিল পেজটি থেকে।

এছাড়া সোমবার সন্ধ্যায় ওই একই পেজ থেকে আরো একটি স্ট্যাটাসে দাবি করা হয়- বাংলাদেশে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একটি বোমা বিস্ফোরিত হবে। এটি হতে পারে কোনো হোটেল কিংবা হাসপাতালে।

মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুলস্থূল শুরু হয়। অনেকেই তাদের সেই পোস্ট শেয়ার করে এক ধরনের আতঙ্ক-উদ্বিগ্নের কথাও প্রকাশ করেন।

তবে বিষয়টি বেশি দূর গড়ানোর আগেই এই ফেসবুক পেজের মুখোশ উন্মোচন করেছেন আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকবিষয়ক সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। 

নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘অনলাইন জুয়াড়িদেরকে খোদা বানিয়ে ফেলা বন্ধ করুন! আজকের এই দিনে এমন জিনিসে অ্যাটেনশন দিতে হবে তা ভাবাও কষ্টকর। ‘অ্যানোনিমাস মেইন পেজ’ নিয়ে যে হাইপ তোলা হয়েছে, তারপর একটু সময় দিলাম পেইজটার পেছনে। যা পেলাম তা হচ্ছে--- প্রথমত, এটি অ্যানোনিমাস হ্যাকার গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু নয়। অ্যানোনিমাস এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যে ফেসবুক পেইজ দেওয়া আছে সেটি এই পেইজ নয়।

‘দ্বিতীয়ত, ‘অ্যানোনিমাস মেইন পেজ’ নামক পেইজটি ঘেঁটে জানা গেছে, এটি একটি অনলাইন জুয়ার পেইজ। মূলত অনলাইন জুয়া প্রমোট করা (টিকিট বিক্রির), নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তারা অনলাইন গেমিং বা জুয়া সংক্রান্ত পোস্ট দিয়ে থাকে। তৃতীয়ত, তাদের যে পোস্ট ভাইরাল হয়েছে ‘স্কুল ভবন ধসে’ পড়া সংক্রান্ত সেটিতে লেখা হয়েছিল: ‘A school building will collapse leaving lots of kids l!veless. We see a terrible disaster fast coming, This will be as a result of poor maintenance on the building. We shall do everything in our power to avert this terrible catastrophe we’ve seen coming.’

‘এখানে কোনোভাবেই বাংলাদেশের নাম উল্লেখ নেই। আর বাংলাদেশে আজ যে ঘটনা ঘটেছে তাতে স্কুল ভবন ধসে পড়েনি। ভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। যারা মারা গেছেন কেউ ভবনের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কারণে মারা যাননি। মারা গেছেন বিমান বিস্ফোরিত হয়ে লাগা আগুনে। ফলে এটা কোনোভাবেই বলার সুযোগ নেই যে, ওই পেইজে বাংলাদেশের এই ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল।’

‘গুজবে আজমসহ কিছু আওয়ামী লীগার তাদের ফেসবুক পেইজগুলোতে এই উপসংহার টানার চেষ্টা করেছেন, যা আসলে মূল পোস্টের সঙ্গে মিলে না। চতুর্থত, এই পেইজটি যে একটি স্ক্যামার জুয়াড়ি গ্রুপ দ্বারা পরিচালিত তা স্পষ্ট হচ্ছে তাদের ওই পোস্টটি বাংলাদেশে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে। ভাইরাল হওয়ার প্রথম দিকেও পেইজটির ট্রান্সপারেন্সি সেকশন চেক করে দেখা গেছে এটি ৩টি দেশ থেকে চালানো হয়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপ, আরেকটি নাইজেরিয়া এবং তৃতীয়ত দেশের নাম এডমিন প্রকাশ করেনি।’ 

‘পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর তাদের পেইজের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠায় এডমিনদের অবস্থানকারী দেশের তথ্য তারা হাইড করে দিয়েছে। আফ্রিকায় নাইজেরিয়া অনলাইন জুয়াড়িদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত। জুয়ার প্রমোশনমূলক ওদের একটা পুরনো ভিডিওতে একজন আফ্রিকানকে দেখা গেছে। অর্থাৎ, এটির সঙ্গে নাইজেরিয়ান জুয়াড়িদের কানেকশন থাকার খুবই সম্ভাবনা রয়েছে।’

‘তাদের পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পরে যখন বুঝতে পেরেছে তারা বাংলাদেশিদের অ্যাটেনশন পাচ্ছে (বিকেল থেকে তাদের ফলোয়ার ২ লাখের কাছাকাছি থেকে ৩ লাখের ওপরে উঠেছে) তখন একের পর এক বাংলাদেশ বিষয়ক পোস্ট দেওয়া শুরু করেছে। এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভয়ঙ্কর কিছু বাংলাদেশের মার্কেটগুলোতে ঘটবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। একইসঙ্গে তাদের আরো নানান জুয়ার পেইজ প্রমোট করা শুরু করেছে বাংলাদেশি নতুন ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে। আহ্বান জানাচ্ছে দ্রুত ফলোয়ার হওয়ার জন্য। এই পেইজটি ফলো করে জানি না কতজন অনলাইন জুয়ায় ঝুঁকে ফতুর হয়। এমনিতেই বাংলাদেশে অনলাইন জুয়া নানানভাবে বাড়ছে।’

মন্তব্য

চলতি সপ্তাহেই আসতে পারে আইওএস ২৬

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চলতি সপ্তাহেই আসতে পারে আইওএস ২৬
ছবি : অ্যাপল

চলতি বছরের জুন মাসে অ্যাপলের ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপারস কনফারেন্স (ডব্লিউডব্লিউডিসি) থেকে আইওএস ২৬ ডেভেলপার বিটা প্রকাশ করা হলেও সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি প্রকাশ হয়নি। তবে ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর, গুজব রয়েছে আইওএস ২৬ পাবলিক বিটা এ সপ্তাহেই প্রকাশ হতে যাচ্ছে।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক মার্ক গুরম্যানের সর্বশেষ পাওয়ার অন নিউজলেটারে এমন তথ্যই জানা গেছে। সেখানে গুরম্যান জানিয়েছেন, আইওএস ২৬ আগামী সপ্তাহে পাবলিক বিটা পর্যায়ে যাবে বলে সব ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

এটি আপডেট করা অপারেটিং সিস্টেমটিকে বর্তমানে যে পরিমাণ দর্শক আছে তার চেয়ে অনেক বেশি দর্শকের কাছে নিয়ে যাবে। যদিও এটি প্রকাশের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত নয়, এটি সেপ্টেম্বরে আইফোন ১৭-এর সঙ্গে প্রকাশ হতে পারে।

গত সপ্তাহে এক্সে একটি পোস্টে গুরম্যান বলেছিলেন, আইওএস ২৬ পাবলিক বিটা ২৩ জুলাই বা তার কাছাকাছি সময়ে প্রকাশ হতে পারে। পরবর্তী পাওয়ার অনের তথ্য থেকে মনে হচ্ছে, গুরম্যান সেই সময়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।

গুরম্যানের প্রতিবেদনে ২০২৬ সালে প্রকাশ হতে যাওয়া আইওএস ২৭ সম্পর্কেও সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে। গুরম্যান বিশ্বাস করেন, অ্যাপল ইতিমধ্যেই এই সফ্টওয়্যারটির উন্নয়নকাজ শুরু করেছে, যা অ্যাপলের ভাঁজযোগ্য আইফোনের সঙ্গে আসতে পারে। গুজব রয়েছে যে এটি ২০২৬ সালের শেষ দিকে অথবা ২০২৭ সালের প্রথম দিকে বাজারে আসবে। বাজারে বর্তমান সেরা ভাঁজযোগ্য ফোনগুলোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাপলের এটি প্রথম প্রচেষ্টা।

আইওএস ২৬ ছাড়াও অ্যাপল প্রায় নিশ্চিতভাবেই একই সময়ে ম্যাকওএস ২৬, আইপ্যাড ২৬, ওয়াচওএস ২৬, টিভিওএস ২৬-এর জন্য পাবলিক বিটা ও হোমপ্যাডের অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আপডেট প্রকাশ করবে।

আইওএস ২৬ আপগ্রেডটি লিকুইড গ্লাসের নতুন নকশার পাশাপাশি স্প্যাম কল থেকে বর্ধিত সুরক্ষা, নতুন গেমস অ্যাপ, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের আপডেট ও আরো অনেক কিছুর আমূল পরিবর্তন ও নতুন অনুভূতি নিয়ে আসবে।

সূত্র : টেক রাডার

মন্তব্য

প্রথমবারের মতো এআই দিয়ে তৈরি দৃশ্য ব্যবহার করল নেটফ্লিক্স

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রথমবারের মতো এআই দিয়ে তৈরি দৃশ্য ব্যবহার করল নেটফ্লিক্স
ফাইল ছবি : এএফপি

নেটফ্লিক্স তাদের টেলিভিশন শোতে প্রথমবারের মতো উৎপাদনক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) তৈরি ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ব্যবহার করেছে।

স্ট্রিমিং জায়ান্টটির সহ-প্রধান নির্বাহী টেড সারান্দোস বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনার বিজ্ঞান কল্পকাহিনি শো ‘দি এটারনাউট’ একটি ভবন ধসের দৃশ্য তৈরি করতে প্রম্পটের ওপর ভিত্তি করে এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও ও ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এ প্রযুক্তি প্রযোজনা দলকে দ্রুত ও কম খরচে দৃশ্য সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছে।’

অন্যদের কাজ ব্যবহার করে তাদের সম্মতি ছাড়াই কনটেন্ট তৈরি করায় ও মানুষের কাজ প্রতিস্থাপন করার আশঙ্কায় বিনোদন শিল্পে উৎপাদনক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বেশ বিতর্কিত।

 

সারান্দোস এমন একটি সময়ে এ মন্তব্য করলেন যখন, জুন মাসের শেষ পর্যন্ত তিন মাসে নেটফ্লিক্সের আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের মুনাফা ২.১ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৩.১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

‘দি এটারনাউটে’ ব্যবহৃত জেনারেটিভ এআই প্রযোজনা দলকে বুয়েনস এইরেসে ভবনধসের একটি দৃশ্য স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছে সারান্দোস।

সারান্দোস বলেন, ‘এটি আসলে পর্দায় প্রদর্শিত নেটফ্লিক্সের একটি অরিজিনাল সিরিজ বা ছবিতে প্রথম এআই তৈরি দৃশ্য।

তাই নির্মাতারা এর ফলাফলে রোমাঞ্চিত।’

২০২৩ সালে হলিউড ধর্মঘটের সময় উত্থাপিত প্রধান উদ্বেগগুলোর মধ্যে এআই ছিল অন্যতম। তিন মাসের ওই ওয়াকআউটের সময় স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড-আমেরিকান ফেডারেশন অব টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টস ইউনিয়ন এআই ব্যবহারের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছিল।

চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই এআইকে শিল্পের জন্য অবমাননাকর বলে অভিহিত করেছেন।

সিঙ্গাপুর অ্যানিমেশন স্টুডিও ক্রেভএফএক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডেভিয়ার ইউন বলেছেন, ‘নেটফ্লিক্সের এআই গ্রহণ কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয়, কারণ অন্য বড় স্টুডিওগুলোও প্রযুক্তিটিকে স্বাগত জানাচ্ছে। এটা সময়ের ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে। এআই অবশ্যই ছোট স্টুডিওগুলোকে বড় বাজেটের ভিজ্যুয়াল তৈরির সুযোগ করে দেওয়ার দরজা খুলে দিচ্ছে। তবে অবশেষে এআই নয়, শিল্পীই সিদ্ধান্ত নেন চূড়ান্ত ছবিতে কী থাকবে।’

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ