মটোরোলা বাজারে আনল তাদের নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোন ‘এক্স৩০ প্রো’। এটি পৃথিবীর প্রথম ফোন, যাতে থাকছে ২০০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ফোনটি চায়নার বাজারে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়ালকোম স্ন্যাপড্রাগন ৮ প্লাস জেন ১ চিপ।
মটোরোলা বাজারে আনল তাদের নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোন ‘এক্স৩০ প্রো’। এটি পৃথিবীর প্রথম ফোন, যাতে থাকছে ২০০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ফোনটি চায়নার বাজারে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়ালকোম স্ন্যাপড্রাগন ৮ প্লাস জেন ১ চিপ।
সেলফি তুলতে ফোনটির সামনে দেওয়া হয়েছে ৬০ মেগাপিক্সেলের শুটার। মূল সেন্সরে হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে স্যামসাং নির্মিত আইএসওসিইএলএল এইচপি ১ সেন্সর। ১/১.২২ ইঞ্চির সেন্সরের পেছনের লেন্সে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৯৫ অ্যাপারচার। মূল ক্যামেরাটি ৩০ এফিপিএসে ৮ কে ভিডিও ধারণ করতে সক্ষম।
এগুলো ছাড়াও ফোনের বাকি বৈশিষ্ট্যগুলোও বেশ আকর্ষণীয়। ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেটসহ ১০ বিট ১০৮০পি আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যার আকার ৬.৬৭ ইঞ্চি। ডিসপ্লেতেই দেওয়া আছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার।
ফোনটিতে সর্বোচ্চ ১২ জিবি র্যামের সাথে ৫১২ জিবি ধারণক্ষমতার রম দেওয়া হয়েছে। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যানড্রয়েড ১২।
মটো এক্স৩০ প্রো ফোনটির ৮/১২৮ জিবি ভার্সনটি চায়নার বাজারে বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৪৯৯ ইউয়ানে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৯ হাজার। এ ছাড়া ১২/২৫৬ এবং ১২/৫১২ জিবি ভার্সনের দাম চায়নার বাজারে যথাক্রমে তিন হাজার ৯৯৯ ইউয়ান এবং চার হাজার ২৯৯ ইউয়ান।
ফোনটি এখন শুধু চায়নার বাজারেই পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্ববাজারে ফোনটি কবে পাওয়া যাবে কিংবা দাম কেমন হবে সে ব্যাপারে মটোরোলা এখনো কিছু জানায়নি।
সূত্র : ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস
সম্পর্কিত খবর
সুপারইন্টেলিজেন্স অর্জনের দৌড়ে বড় ধরনের ঝাঁপ দিল মেটা। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছে, তারা হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার ক্লাস্টার নির্মাণে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে মেটা গড়ছে একাধিক মাল্টি-গিগাওয়াট সুপারকম্পিউটিং সেন্টার, যার মধ্যে রয়েছে ‘প্রমিথিউস’ ও ‘হাইপেরিয়ন’ নামক দুটি ক্লাস্টার। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু করবে।
সোমবার (১৪ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানান মেটার প্রধান নির্বাহী (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ।
নিজের ফেসবুক পোস্টে জাকারবার্গ বলেন, ‘আমরা যে সুপারইন্টেলিজেন্স প্রকল্পে কাজ করছি, তার জন্য আমি এমন একটি দল গড়ে তুলতে চাই; যা শিল্পে সবচেয়ে অভিজাত ও প্রতিভাসম্পন্ন। এই লক্ষ্যে আমরা আমাদের ব্যবসায়িক মূলধন থেকেই হাজারও কোটি ডলার বিনিয়োগ করব।
তিনি জানান, বিশ্লেষক সংস্থা সেমিঅ্যানালাইসিস সম্প্রতি জানিয়েছে, মেটা প্রথম কোম্পানি হিসেবে ১ গিগাওয়াটের বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন সুপারকম্পিউটিং ক্লাস্টার চালু করতে যাচ্ছে। জাকারবার্গ আরও বলেন, আমরা একাধিক মাল্টি-গিগাওয়াট ক্লাস্টার তৈরি করছি। প্রথমটির নাম রাখা হয়েছে ‘প্রমিথিউস’, যা ২০২৬ সালে চালু হবে। পাশাপাশি ‘হাইপারিয়ন’ নামে আরও একটি ক্লাস্টার তৈরি হচ্ছে, যা কয়েক বছরের মধ্যে ৫ গিগাওয়াট পর্যন্ত স্কেল-আপ করতে পারবে।
তিনি উল্লেখ করেন, মেটা ভবিষ্যতে আরও অনেক ‘টাইটান ক্লাস্টার’ গড়ে তুলবে, যাদের প্রত্যেকটির পরিসর ম্যানহাটন শহরের একটি বড় অংশের সমান। মেটা সুপারইনটেলিজেন্স ল্যাবস হবে কম্পিউটিং শক্তির দিক থেকে শিল্পের শীর্ষে ও গবেষকপ্রতি কম্পিউটিং ক্ষমতাও অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি হবে।
তিনি আরও জানান, আমি বিশ্বের সেরা গবেষকদের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি, যাতে আমরা এআই প্রযুক্তির সীমা আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারি।
টিকটক ইউরোপীয় ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চীনে সংরক্ষণ করেছে বলে স্বীকার করার পর, ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কম্পানিটির বিরুদ্ধে নতুন তদন্ত শুরু করেছে।
ডেটা প্রোটেকশন কমিশন (ডিপিসি), যা ইউরোপীয় ইউনিয়নে তথ্য গোপনীয়তা তদারকি করে। তারা জানায় যে, টিকটক স্বীকার করেছে ‘সীমিত সংখ্যক ইইএ (ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল) ব্যবহারকারীর ডেটা চীনে সংরক্ষিত হয়েছিল।
এটি পূর্বের তদন্তে দেওয়া টিকটকের বক্তব্যের বিপরীত, যেখানে তারা বলেছিল ইউরোপীয় ব্যবহারকারীর তথ্য চীনে সংরক্ষিত নয়, বরং শুধু চীনের কর্মীরা দূরবর্তীভাবে এই তথ্য অ্যাক্সেস করে।
পরবর্তীতে টিকটক তাদের অবস্থান বদলে জানায়, কিছু তথ্য আসলে চীনের সার্ভারে সংরক্ষিত ছিল। তখন ডিপিসি জানায়, তারা এই বিষয়ে আরও পদক্ষেপ নেবে। এই ঘটনার ফলস্বরূপ ডিপিসি এখন টিকটকের বিরুদ্ধে নতুন তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্র : এবিসি।
গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার মাধ্যমে নিজেদের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। দুই দশকের যাত্রায় ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাসে এবং উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক সেবার মাধ্যমে দেশজুড়ে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
উদযাপনের অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন বাংলালিংকের সঙ্গে রয়েছেন এমন গ্রাহকদের সম্মান জানাতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে অপারেটরটি। যার মধ্যে রয়েছে- ভ্রমণের সুযোগসহ বিশেষ অফার।
রবিবার (১৩ জুলাই) এর ধারাবাহিকতায় ২০ বছর পূর্তিতে গ্রাহকদের নিয়েই নানা আয়োজন করে বাংলালিংক।
গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নিজেদের সবচেয়ে পুরোনো গ্রাহক ও তাদের প্রিয়জনদের পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভ্রমণের যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আনন্দঘন সময় কাটান গ্রাহকেরা এবং বাংলালিংকের সঙ্গে নিজেদের যাত্রার স্মৃতিচারণা করেন।
উদযাপন এখানেই থেমে থাকেনি। বাংলালিংকের কর্মীরা গ্রাহকদের ফোন করে তাদের দীর্ঘদিনের আস্থা ও বাংলালিংকের সঙ্গে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
পাশাপাশি, বাংলালিংকের প্রতিনিধিরা কিছু গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি দেখা করেছেন।
বাংলালিংকের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সবকিছুর কেন্দ্রে রয়েছেন আমাদের গ্রাহকেরা। বাংলালিংকের দুই দশকের এই যাত্রা আমাদের গ্রাহকদের আস্থা, ভালোবাসা এবং ভবিষ্যতের পথে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিফলন। এ মাইলফলক শুধুমাত্র বাংলালিংকের প্রবৃদ্ধির যাত্রাই নয়, বরং এটি একটি সম্মিলিত অগ্রযাত্রা ও সম্ভাবনার গল্প।
এআই গবেষণায় উন্নতির সূচনালগ্ন থেকেই অনেকেই এমন আশঙ্কা করে আসছেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি তাহলে সবার চাকরি কেড়ে নেবে? শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই সত্য বলছেন এআই গবেষকরা। এক এআই গবেষকের দাবি, ২০৪৫ সালের মধ্যেই মানুষের প্রায় সব কাজই কেড়ে নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তবে থেকে যাবে তিনটি কাজ।
অ্যাডাম ডর নামের ওই বিশেষজ্ঞ ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব চাকরি হারাতে হবে।
ডরের হুঁশিয়ারি, ভাবতে পারেন এমন যন্ত্র ইতোমধ্যেই চলে এসেছে।
এদিকে এআই এর গডফাদার খ্যাত জিওফ্রে হিন্টন এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার যে ব্যাপকভাবে বেড়েছে, তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর জেরে চাকরির বাজারে সংকট তৈরি হবে এটা ঠিক, তবে তার সঙ্গে চাকরির বিকল্প রাস্তাও খুলে যাবে, এটাও অস্বীকার করার জায়গা নেই।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন