ফোন স্মার্ট হলেই তো হল না। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে। মুহূর্তে পুরনো হয়ে যাচ্ছে আপনার স্মার্টফোন। স্মার্টফোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হল RAM।
র্যাম বাড়ানোর উপায় জেনে নিন স্মার্ট ফোনের
কালের কণ্ঠ অনলাইন

কী ভাবে? RAM বাড়ানোরও বেশ কিছু অ্যাপ আছে। তবে আপনার ডিভাইসটি রুটেড হতে হবে। প্রয়োজন, একটি ক্লাস ৮ বা ১০ মাইক্রো এসডি কার্ড। অ্যাপ লাগবে, Busy Box installer App, RAM Expander।
কী ভাবে RAM Expander দিয়ে RAM বাড়াবেন?
প্রথমে অ্যাপটি চালু করুন। এক্ষেত্রে মেমরি কার্ডে নির্দিষ্ট অংশ RAM হিসেবে ব্যবহার করার জন্য SWAP করে নিতে হবে। এর জন্য RAM Expander-এ Swap ফাইলের ইন্ডিকেটরকে ডান বা বামে সরিয়ে কাঙ্খিত SWAP ফাইলের সাইজ করে নিতে হবে। এখানে যা সাইজ দেবেন, তাই কিন্তু আপনার বাড়তি RAM।
Swappiness লেখাটির উপর টাচ করলে একটি বক্স আসবে। তাতে ০ থেকে ১০০-র মধ্যে যে কোনও সংখ্যা লিখতে পারেন। এক্ষেত্রের সংখ্যা যত বাড়াবেন, মেমরি কার্ডের RAM তত বেশি ব্যবহার হবে। ৫০ দেওয়াই ভালো। বেশি দিলে কার্ড ক্র্যাশ করার ভয় থাকে। এরপর MinfreeKB-S ক্লিক করে ১ থেকে ১০০ যা ইচ্ছে সংখ্যা দিন। সব শেষে Notify icon, Autorun-সব সব ঘরে টিক দিয়ে দিন। Swap Active লেখায় টিক দিলে Swap File Creat করা শুরু হবে। অপেক্ষা করুন।
Creat হয়ে গেলেই কাজ শেষ। টোটাল RAM দেখিয়ে দেবে।
সূত্র: এই সময়
সম্পর্কিত খবর

ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে মেসেজ আদান-প্রদান, আসছে ভিন্ন এক প্ল্যাটফরম
অনলাইন ডেস্ক

বর্তমানে আমরা মেসেজ আদান-প্রদানের জন্য ইন্টারনেটের ওপরই ভরসা করে থাকি। মোবাইল নেটওয়ার্ক-নির্ভর সাধারণ মেসেজ পাঠানোর ব্যবস্থা এখন অতীত। কারণ মেসেজ এখন আর শুধুই শব্দনির্ভর নয়। এতে থাকে বহু ছবি, ভিডিও কিংবা লিংক বা অন্যান্য অ্যাটাচমেন্ট।
তবে এবার আসছে ভিন্নতর প্ল্যাটফরম। মেসেজ পাঠাতে মোটেই লাগবে না ইন্টারনেট! সামাজিক মাধ্যম টুইটার (বর্তমান এক্স)-এর উদ্ভাবক জ্যাক ডরসির হাত ধরেই বাজারে আসছে অ্যাপটি।
ইন্টারনেট নয়, ব্লুটুথ ব্যবহার করেই এখানে পাঠানো যাবে মেসেজ। তবে মেসেজ প্রাপককে থাকতে হবে প্রেরকের ৩০০ মিটারের মধ্যে। টরেন্ট যেভাবে দুই প্রান্তের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান-প্রদান করে সেভাবেই বিটচ্যাট ডেটা লেনদেন করবে।
কিভাবে কাজ করবে এই বিটচ্যাট
জানা যাচ্ছে স্টোর অ্যান্ড ফরোয়ার্ড মডেল হিসেবে কাজ করবে এই প্ল্যাটফর্ম। যতক্ষণ সেই ইউজার ‘অ্যাভলেবল’ থাকবেন ততক্ষণ মেসেজটি সেখানে স্টোর থাকবে। আর এ ক্ষেত্রে মেসেজ চালাচালি করতে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ থাকার প্রয়োজন পড়বে না।
পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে মেসেজ থাকবে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড’। আর মেসেজ পাঠাতে কোনো ফোন নম্বর কিংবা ই-মেইল অ্যাড্রেস, কিছুই লাগবে না।
কেন বিটচ্যাটের আগমনকে এত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে
মূলত এই মুহূর্তে পৃথিবীতে ডিজিটাল প্রাইভেসি নিয়ে নানা আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নানা ভাবে হ্যাকারদের দাপট কিংবা আরো নানা ফ্যাক্টর রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই বার্তা বিনিময়কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেবল তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপের দৌরাত্ম্যের মাঝে বিটচ্যাট চেষ্টা করছে মেসেজিংয়ের এক নতুন দিগন্ত খোঁজার। যেখানে স্থানীয়, অজ্ঞাত ও ইন্টারনেটবিহীন বার্তা বিনিময় করা যাবে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

১৮ জুলাই বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট পাবেন গ্রাহকরা
অনলাইন ডেস্ক

জুলাই আন্দোলন স্মরণে সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে আগামী ১৮ জুলাই গ্রাহকদের বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আজ বুধবার অপারেটরদের এই নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনা অনুসারে, বিনা মূল্যের এই ডেটার মেয়াদ থাকবে পাঁচ দিন। ৮ জুলাই বিটিআরসি কার্যালয়ে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা তৈমুর রহমান বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ের চেতনা, বিশেষ করে ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের ক্ষেত্রে, সমুন্নত রাখতে অত্যন্ত আগ্রহী।
অন্য একটি মোবাইল অপারেটরের একজন কর্মকর্তা বলেন, টেলিকম কম্পানিগুলিকে গ্রাহকদের দেওয়া সব ডেটার ওপর ট্যাক্স দিতে হবে। সরকারের উচিত বিনা মূল্যের ডেটা করমুক্ত হবে কি না এই বিষয়টি স্পষ্ট করা।’
এ ছাড়া অপারেটরদের ট্রান্সমিশন এবং অন্যান্য ডেলিভারি খরচ বহন করতে হবে।
গত বছরের ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়নের সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশজুড়ে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট করে দেয়।

বর্ষায় এসি চালানোর আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখা উচিত
অনলাইন ডেস্ক

বর্ষায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। এই সময়ে ঘরে ডাম্প ও ভ্যাপসা গন্ধ তৈরি হয়। এ ছাড়াও বর্ষার এই সিজনের প্রভাব ইলেকট্রনিক গ্যাজেটসের ওপরও দেখা যায়। আপনি যদি বর্ষাকালে এসি ব্যবহার করেন, তাহলে কিছু বিষয় সম্পর্ক জানা জরুরি।
বর্ষার এই সময়ে এসি সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে আপনার এসি খারাপ হতে পারে। তবে কিছু জরুরি বিষয় আছে বর্ষার সিজনে এসি ব্যবহারের সময় যেগুলোর খেয়াল রাখা উচিত।
আপনার এসির আউটডোর ইউনিট ছাদ বা বারান্দায় রাখা থাকলে ঝড়-বৃষ্টির সময় সেটিকে ঢেকে রাখুন। তীব্র বৃষ্টি বা ঝড় তুফান থেকে সেটির ক্ষতি হতে পারে, যার ফলে আপনার এসি খারাপ হতে পারে।
বর্ষাকালে খুব লোডশেডিং হয়। এর ফলে ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন হতে পারে।
বর্ষার সিজনে আর্দ্রতা অনেক বেড়ে যায়। এই সিজনে আপনাকে এসি ড্রাই মোডে ব্যবহার করা উচিত। ড্রাই মোডে এসি ব্যবহার করলে সে আর্দ্রতা শোষণ করে।
বর্ষার সিজনে একটানা অনেক ঘণ্টা পর্যন্ত এসি চালানো উচিত নয়। এর ফলে কম্প্রেসারের ওপর বেশি লোড পড়ে, যার কারণে এসিতে সমস্যা হতে পারে। তাই কয়েক ঘণ্টা এসি ব্যবহারের পর সেটি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দিতে হবে।
সূত্র : নিউজ ১৮

জুলহাস এবার বানালেন দ্রুতগতির নৌকা, পানিতে চলে মাটিতেও চলে
অনলাইন ডেস্ক

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উদ্ভাবক জুলহাস মোল্লা। দীর্ঘ চার বছর চেষ্টার পর অবশেষে বিমান তৈরিতে সফলতা পেয়েছেন তিনি। বিমান উড্ডয়নের কোনো জ্ঞান না থাকলেও নিজের তৈরি বিমানে আকাশে উড়েছেন। ইচ্ছা পূরণের সঙ্গে সফল হয়েছে তার দীর্ঘদিনের পরিশ্রমও।
এবার জুলহাস একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মাণ করেছেন একটি নৌকা। যেটি পানির ওপর দিয়ে দ্রুতগতিতে ভেসে যেতে পারে। জুলহাস যন্ত্রটিতে চড়ে গতার পরীক্ষাও চালিয়েছেন। এমনটি ভিডিও আলোচিত এই তরুণ নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।
প্রাথমিক ভাবে বানোনো এই যন্ত্রে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ব্যবহার করাহয়েছিল।
ভিডিওতে দেখা যায়, জুলহাস নিজের বানানো ওই যন্ত্র দিয়ে বিলের মধ্যে দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছেন। পেছনে পাখা যুক্ত করা। এই ভিডিওতে অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে এটি নতুন কোনো আবিষ্কার নয়। হাফিজুর নামের একজন বলছেন, এটা হোবার ক্রাফ এটা মিনিমাম ৪০ বছর আগে তৈরি করছে, জেমস বন্ডের ছবিতে এটা আছে।
নতুন কোন কিছু নাই দেখে দেখে কপি করা।
জুলহাস এই মন্তব্যের উত্তর দিইয়েছেন। তিনি বলেন, আমি তো বলিনি এটা নতুন কিছু। আমাদের দেশে এটি নেই তাই বলেছি। তবে জুলহাসের এই বানানো যন্ত্রটি অনেকেই পছন্দ করেছেন। কেননা ভিডিওটিতে লাখের ওপর প্রতিক্রিয়া পড়েছে।
জুলহাস মোল্লার বাড়ি জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকায় হলেও নদী ভাঙনের কারণে বর্তমানে শিবালয় উপজেলার ষাইটগর তেওতায় পরিবারসহ বসবাস করেন। ছয় ভাই ও এক বোনের মধ্যে জুলহাস পঞ্চম। দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর এলাকায় বি কে এস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করার পরে আর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে। ২৮ বছর বয়সী যুবক জুলহাস চুক্তিভিত্তিকভাবে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করেন।