<p>সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে। প্রতিটি সেক্টরে সংস্কারের প্রস্তুতি চলছে, নেয়া হচ্ছে পদক্ষেপও। যার ছোঁয়া লাগতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র অঙ্গনেও। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বেশ কয়েকটি সিনেমা আটকে দেওয়া হয়েছিল সেন্সর বোর্ডে। তাই অর্ন্তর্বতী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর সেন্সর বোর্ডেও সংস্কারের ডাক উঠেছে। অনেকেই চাইছেন চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে তুলে দেয়া হোক সেন্সর প্রথা। তাদের মতে, সেন্সর বোর্ড দিয়েই আটকে দেওয়া হচ্ছে স্বাধীন শিল্পচর্চা। সেন্সরের বদলে গ্রেডিং সার্টিফিকেশন সিস্টেম চালুর কথাও বলছেন অনেকে। </p> <p>তবে এ নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেন্সর প্রথা বাতিলের পক্ষে আমি বলব না। তবে সেন্সর বোর্ডে যারা থাকবেন তাদের মনমানসিকতা এবং যোগ্যতা দেখে যেন বসানো হয়।’ </p> <p>নতুন সরকারের কাছে সিনেমার উন্নয়ন, সংস্কার সম্পর্কে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সিনেমার উন্নয়নের জন্য দেশের যেসব সিনেমাহল বন্ধ আছে এগুলো খুলতে হবে এবং আধুনিকায়ন করতে হবে। কারণ অনেক আগের হলগুলোর এত জীর্ণ দশা, এমন জায়গায় মানুষ সিনেমা দেখতে চায় না।’ </p> <p>সরকারি অনুদান প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘শিল্পসম্মত সিনেমা বানাতে হলে এটা যদি ব্যবসায়িক না হয় তাহলে তো সেটা লস হবে। এ বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে স্বাভাবিক সিনেমা বানাতে যা সবার কাছে পছন্দ হয়। শুধু শিল্পসম্মত নাম দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে দাঁড় করা যাবে না।’</p> <p>ইতোমধ্যে সেন্সর বোর্ডকে পুনর্গঠন নিয়ে কথা বলেছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, সেন্সর বোর্ডের কারণে যেসব ছবি আসেনি সেগুলো নিয়ে দ্রুতই বসা হবে। এছাড়াও সেন্সর বোর্ডকে দ্রুততার সঙ্গে পুনর্গঠন করা হবে। সেন্সর বোর্ড না থাকার যে দাবি, সেটিও আলোচনা করে যৌক্তিকতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।</p>