<p style="margin-bottom:13px">‘যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ে/ হবেই হবেই দেখা, দেখা হবে বিজয়ে’- এই গান শোনেননি এমন শ্রোতা নেই। একটি রিয়েলিটি শোয়ের জন্য গানটি লিখেছিলেন গীতিকবি আসিফ ইকবাল। তারপর আর থেমে নেই। অসংখ্য জনপ্রিয় গান উঠে এসেছে তার কলমে। সবশেষ খবর হলো, এই গীতিকবির তিনটি গানই একসঙ্গে ইউটিউবের সেরা দশ ট্রেন্ডিংয়ে অবস্থান করছে!<br /> গান লেখার চার দশকের ক্যারিয়ারে সিনেমার জন্য গান লেখা শুরু করেছেন ২০১৮ তে। শুরুতে ‘ঢাকা এটাক’, ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’, ‘ইউটার্ণ’ আর ‘যদি একদিন’ সিনেমার জন্য গান লেখেন। মাঝে কিছুদিন বিরতি নেন। তারপর গেল বছর শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ আর মাহফুজ আহমেদের ‘প্রহেলিকা’ সিনেমার জন্য গান লিখে জনপ্রিয়তা পান তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘রাজকুমার’-এর টাইটেল গানও লিখেছেন তিনি। গানটি মুক্তির পর থেকেই অবস্থান করছে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে বাংলাদেশের এক নম্বর গান হিসেবে।<br /> আজ ২১ এপ্রিল ইউটিউব ট্রেন্ডিং তালিকায় দেখা গেছে আসিফ ইকবালের লেখা আরও দুটি গান অবস্থান করছেন সেরা দশটি গানের মধ্যে। এরমধ্যে ৭ নম্বরে রয়েছে ইমরান ও তৃষার গাওয়া স্বাধীন গানচিত্র ‘ভালোবাসি বলে যাও’। যা এই ঈদে প্রকাশ হয়েছে ইমরানের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে। আর ট্রেন্ডিংয়ের ৯ নম্বর তালিকায় অবস্থান করছে গত বছরের সুপারহিট গান ‘ও প্রিয়তমা’।</p> <p>এই ঈদে সিনেমা ও অডিও মিলে প্রায় শতাধিক গান প্রকাশ হয়েছে ইউটিউবে। এরমধ্যে সেরা দশ-এ আসিফ ইকবালের রয়েছে তিনটি গানে।<br /> এ প্রসঙ্গে আসিফ ইকবাল বলেন, ‘আমি শুধুই একজন গীতিকবি। শিল্পী বা সুরকার নই। ফলে এই বহুমাত্রিক সময়ে শুধু গান লিখে নিজেকে প্রমাণ করাটা বেশ কঠিন। সেই কঠিন সময়ে ট্রেন্ডিংয়ে নিজের লেখা তিনটি গান একসঙ্গে দেখলে নিজেরই অবাক লাগে। চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। চার দশক ধরে আমার গান লেখার অভিজ্ঞতা। শ্রোতাদের ভালোবাসা ছাড়া এতদিন টেকা যেতো না। তবে গত বছর থেকে সিনেমায় নিয়মিত হওয়ার পর, গান লেখার আনন্দটা যেন নতুন করে অনুভব করছি।’<br /> চার দশকে আসিফ ইকবাল লিখেছেন ৫ শতাধিক গান। যার প্রায় সবগুলোই সিনেমার বাইরে, রেডিও, টেলিভিশন আর একক শিল্পীদের জন্য। তার লেখা প্রথম গান প্রকাশ হয় ১৯৮৪ সালে বিটিভিতে। সৈয়দ মনসুরের সুরে বন্ধন শিল্পী গোষ্ঠীর জন্য লেখা সেই গানটির নাম ‘অনেক তো বলেছি’।</p> <p>আসিফ ইকবালের লেখা উল্লেখযোগ্য গান গুলোর মধ্যে রয়েছে, কুমার বিশ্বজিতের ‘সুখ ছাড়া দুখ’, ‘তারা ভরা রাত’, ‘মেঘ রঙ মেয়ে’, জেমসের ‘অনন্যা’, নকীব খানের ‘স্বপ্ন জড়ানো’, নকীব-সামিনা চৌধুরীর ‘তুমি এলে পায়ে পায়’, আইয়ুব বাচ্চুর ‘ভাঙা মন’, ‘বহুদূর যেতে হবে’, ‘পরিত্যক্ত ডায়েরিটা’, আশিকুজ্জামান টুলুর ‘এই দূর পরবাসে’, সামিনা-ফাহমিদা নবীর ‘আমার সকল সুখে বুবু’, নিলয়ের ‘হ্যাপি তোকে মনে পড়লে’, মাহাদির ‘সুনীল বরুনা’, ‘মেঘ হয়ে কাঁদো বলে’, ‘অন্যরকম’, মাহাদি-এলিটার ‘হৃদয়ের ঝড়ে’, ‘নিঝুম রাত’, ‘ভোরের শিশির’, সোয়েব-এলিটার ‘ঘুম হয়ে আজ থাকতে যদি’, ন্যানসির ‘আমি ছুঁয়ে দিলেই’, মিনারের ‘কী তোমার নাম’, ‘বাড়াবাড়ি’, ‘একটুখানি’, ‘বাবা মায়ের জন্য’ প্রভৃতি।</p>