<p>রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় নিজ বাসায় মমতাজ বেগম নামের এক বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় তার ছেলে ইমরান আহমেদের দোকানের দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে গেণ্ডারিয়া থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো. রফিকুল ইসলাম মুন্না এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি মোবাইল ফোনসেট ও ৮০ হাজার টাকা।</p> <p>গতকাল সোমবার (২৭ মে) গেণ্ডারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গেণ্ডারিয়া থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গেণ্ডারিয়ার ১০/২, ডি, ডিস্টিলারি রোডে নিজেদের বাড়ির দোতলায় মমতাজ বেগম ও তার ছেলে ইমরান আহমেদ বসবাস করতেন। ইমরান বাংলাবাজারে মোটর পার্টসের ব্যবসায়ী। গত শনিবার সকালে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যান। সন্ধ্যায় মাকে ফোন করে ফোন বন্ধ পান। এরপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বাসার দরজা লক করা। ইমরান বাসায় এসে তালা ভেঙে দেখেন, মায়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। দুটি মোবাইল ফোনসেট ও আলমারির তালা ভেঙে টাকা নিয়ে গেছে আসামিরা । এ ঘটনায় ইমরান ওই দিনই গেণ্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।</p> <p>তিনি আরো বলেন, গেণ্ডারিয়া থানা পুলিশ মামলাটি তদন্তকালে তথ্য-প্রযুক্তির ভিত্তিতে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।</p> <p>হত্যার কারণ সম্পর্কে ওসি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে চিন্তা করে কিভাবে তাদের মালিকের বাসায় চুরি করা যায়। বাসায় দোকান মালিক ইমরানের মা একাই থাকতেন। তিনি বয়স্ক মানুষ এবং ইমরান ব্যবসায়ী হওয়ায় তাদের বাসায় অনেক টাকা সব সময় থাকে। তাই দোকান মালিক যখন দোকানে থাকবে সেই সুযোগে তারা কৌশলে তার বাড়িতে ঢুকে বাসায় রাখা টাকা চুরির পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনামতে ২৫ মে বিকেলে কৌশলে ইমরানের ফ্ল্যাটে প্রবেশ তার মাকে খুন করে তারা।</p> <p>গেণ্ডারিয়া থানায় রুজুকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠালে আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।</p>