<p>হাতে ফের ‘শেকড়’ গজানোয় বৃক্ষমানব হিসেবে পরিচিতি আবুল বাজনদার আবারও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ফিরেছেন। গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় মা আমেনা বেগমকে সঙ্গে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আসেন আবুল।</p> <p>আজ সোমবার মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা নতুন করে শুরু করা হবে বলে জানা গেছে।</p> <p>এর আগে ২০১৬ সালে একাধিক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার হাতের ‘শেকড়’ অপসারণ করা হয়। এরপর এক পর্যায়ে নানা সমস্যার কারণে চিকিৎসা সমাপ্ত না করেই তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।</p> <p>এবার তার হাতে নতুন করে শেকড় গজিয়েছে। আগের রূপে না ফিরলেও শেকড়গুলো যথেষ্ট সমস্যাবাজ সৃষ্টি করছে তার। এর আগে চিকিৎসার জন্য প্রায় আড়াই বছর হাসপাতালে ছিলেন বাজনদার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চিকিৎসকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তার হাতে ও পায়ে ২৫টি অস্ত্রোপচার করা হয়।</p> <p>বাজনদার এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চিকিৎসার এক পর্যায়ে আমি হতাশ হয়ে যাই। এতগুলো অপারেশনের পরেও আমি যখন সুস্থ হচ্ছি না, আমার হাতে ও পায়ে আবারও শেকড় গজাচ্ছে। তখন আমি নিরাশ হয়ে একপর্যায়ে রাগের মাথায় খুলনায় বাড়িতে চলে যাই।’</p> <p>তবে চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখে চলে যাওয়া ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন বাজনদার। তিনি বলেন, ‘এখন আমি ভুল বুঝতে পেরেছি, আমার যাওয়াটা ঠিক হয়নি। আমি আবারও বাঁচতে চাই, সাধারণ মানুষের মতো সুস্থ হয়ে কাজ করে খেতে চাই। আবারও ফিরে এসেছি চিকিৎসার জন্য। ডা. স্যার আমাকে আবারও চিকিৎসা করাবেন বলে জানিয়েছেন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’</p> <p>প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সব খরচ রাষ্ট্রীয়ভাবে করার নির্দেশ দিয়েছেন আগেই। গত দু’বছরে তার ওপর ২৫ দফা অস্ত্রোপচার করা হয়।</p>