<p>রাজবাড়ীর পাংশায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) হাবাসপুর ইউনিয়নের হাবাসপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।</p> <p>আহতরা হলেন হাবাসপুর গ্রামের মৃত শহর আলী প্রামাণিকের ছেলে আ. মান্নান প্রামানিক, শামসুদ্দিন শেখের ছেলে মো. দুলাল উদ্দিন শেখ, ময়েজ উদ্দিন শেখের ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন, মৃত আবুল হোসেন প্রামাণিকের ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত আ. ওহাবের ছেলে মো. রফিক, আয়েনুদ্দিন শেখের ছেলে মো. হাসেম শেখ, চরপাড়া গ্রামের হালিম খানের ছেলে রবিউল ইসলাম খান, আ. হাই খানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম, আ. লতিফ প্রামানিক ও হাসিদুল ইসলাম। </p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাবাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান প্রামানিক তার লোকজনদের নিয়ে বাজারে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় হাবাসপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ খানের নেতৃত্বে চরপাড়া মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে হাবাসপুর বাজার এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় মিছিলে থাকা লোকজন ও ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থাকা লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।</p> <p>মান্নান প্রামানিক বলেন, ‘আমিসহ আমার দলের নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে সামনে অবস্থান করছিলাম। এ সময় লতিফ খানের নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় আমিসহ সাতজন আহত হই।’ </p> <p>হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘৫ আগস্টের পর যারা গা ঢাকা দিয়েছিল তাদেরকে উত্থান করার লক্ষ্যে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন লতিফ।’</p> <p>এই হামলার ঘটনায় মামলা করবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। </p> <p>সংঘর্ষে আহত অপর পক্ষের রবিউল ইসলাম খান বলেন, ‘লতিফ খানের নেতৃত্বে চরপাড়া মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে হাবাসপুর বাজারে পৌঁছালে বিএনপির অফিসে থাকা লোকজন আমাদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আমিসহ পাঁচজন আহত হয়েছি।’</p> <p>পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষে থেকেই অভিযোগ করা হয়নি।</p>