<p>কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে বাঁধের স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছিল। হ্রদের পানি স্বাভাবিক অবস্থায় আসায় ৩৬ ঘণ্টা পর তা বন্ধ করা হয়। </p> <p>গতকাল শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বাঁধের জলকপাট খোলা হয়েছিল। পরে আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় বাঁধের জলকপাট বন্ধ করা হয়। বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের।</p> <p>তিনি আরো জানান, এর আগে অতিবর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই লেকের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। বর্তমানে হ্রদে পানি রয়েছে ১০৮.৩৭ এমএসএল।</p> <p>এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে একযোগে খুলে দেওয়া হয়েছিল। ওই দিন কাপ্তাই লেক থেকে কর্ণফুলী নদীতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হয়েছিল।</p> <p>এর আগেও প্রথম দফায় গত ২৫ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর ১৫ দিন পর্যন্ত ধাপে ধাপে পাঁচ ফুট পর্যন্ত গেট খোলা হয়েছিল। হ্রদে পানি কমতে থাকায় স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট বন্ধ করা হয়।</p> <p>একই সঙ্গে বর্তমানে কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দৈনিক পাঁচটি ইউনিটে সর্বোচ্চ গড়ে ২১৬ থেকে ২২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।</p> <p><br />  </p>