<p style="text-align:justify">সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল মধ্যনগর উপজেলার একমাত্র প্রধান সড়ক মধ্যনগর মহিষখলা রাস্তা। গত দুই সপ্তাহের বন্যায় হাওরের ঢেউয়ের আঘাতে রাস্তা ভেঙ্গে এখন হাওরের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিগত ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে উপজেলার প্রধান রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ার কারণে ভাঙা রাস্তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৪ টি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষ প্রতিনিয়তই চলাফেরা করছেন। </p> <p style="text-align:justify">ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে গিয়ে প্রায় সময় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে করে পঙ্গুত্ববরণ করে অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে এ সড়কটি দিয়ে যান চলাচল কোনোভাবেই সম্ভব নয়।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়,' মধ্যনগরে ২০০৮-০৯ অথর্বছরে এলজিইডির আওতায় মধ্যনগর-মহিষখলা সড়কের ১২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়। রাস্তাটি নিমার্ণকালে রাস্তাটির প্রস্থতা ছিল ২৪ ফুটের মতো। বর্তমানে সংস্কার না হওয়ায় ও গত এক সপ্তাহের বন্যায় ভেঙ্গেচুরে সংকুচিত বর্তমানে ৫ ফুটের মতো রাস্তা আছে। রাস্তার প্রস্থতা ভেঙ্গে হাওর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। </p> <p style="text-align:justify">রাস্তাটি নির্মাণকালীন সময়ে হাওরের ঢেউয়ের কবল থেকে ভাঙন ঠেকাতে পাকা ব্লকের পরিবর্তে জিও ব্যাগ ভর্তি বালুর বস্তা দেওয়া হয়, যা নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যে হাওরের ঢেউয়ের আঘাতে ধসে পড়ে। বতর্মানে রাস্তাটি দিয়ে হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের পাদদেশ থেকে কোনো মুমূর্ষু  রোগী শিশু, বয়স্ক ও প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে চাইলে দুর্গম পথেই অনেকেই মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়াও বিগত এক সপ্তাহের বন্যায় হাওরের টেউয়ের আঘাতে রাস্তাটি ভেঙ্গেচুরে সংকুচিত হয়ে গেছে।</p> <p style="text-align:justify">উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দাতিয়াপাড়া গ্রামের কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী শাহ আলম সৌরভ বলেন, 'উপজেলার একমাত্র প্রধান সড়ক মধ্যনগর মহিষখলা রাস্তা। প্রতিদিন এই ভাঙা রাস্তা দিয়ে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করে। এই রাস্তায় চলাচলের একমাত্র মাধ্যম মোটর সাইকেল, এতে গুনতে হয় তিনগুণ ভাড়া। এছাড়াও বন্যায় বর্তমানে রাস্তাটি ভেঙ্গেচুরে প্রস্থতা কমে গেছে। যার ফলে একসাথে দুটি মোটরসাইকেল আসা যাওয়া করতে পারেনা। তাই রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। </p> <p style="text-align:justify">মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো: আলাউদ্দিন বলেন, ' উন্নয়নের পূর্বশর্ত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন যাবৎ মধ্যনগর মহিষখলা সড়কটি ভাঙাচোরা থাকার কারনে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার ফলে এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে গিয়ে জনসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। </p> <p style="text-align:justify">বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ বলেন, ' উপজেলার গুরুত্বপুর্ণ জনবহুল রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। তৃনমুলের একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদেরকে এ নিয়ে নানান কথা শুনতে হয়। এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বলার পরেও তারা কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না।</p> <p style="text-align:justify">মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমা বলেন, একটি মেঘা প্রকল্প তাই জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ নেই।বর্তমানে এটি টেন্ডার পক্রিয়ায় আছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট রনজিত সরকার বলেন, ' আমি নির্বাচিত হয়েই মধ্যনগর মহিলষখলা সড়কটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে টেন্ডার পক্রিয়া শেষ করে কাজ শুরু করবে।'</p>