ঢাকা, বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫
১ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫
১ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ মহররম ১৪৪৭

গোমতী নদী খননের উদ্যোগ নিন

শেয়ার
গোমতী নদী খননের উদ্যোগ নিন

গোমতী নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার একটি নদী, যা কুমিল্লা জেলার কুমিল্লা সদর, বুড়িচং, দেবীদ্বার ও দাউদকান্দি উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে পড়েছে। গত অক্টোবরে আকস্মিক ভয়াবহ বন্যায় নদীটি স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি নাব্যতা সংকটে পড়েছে। তা ছাড়া নদীর অব্যবস্থাপনা ও দখলের কারণে বর্ষায় পানি উপচে পড়ে। শুষ্ক মৌসুমে সেচ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

অবৈধ দখল আর প্রভাবশালীদের বাঁধ নির্মাণের কারণে পানিপ্রবাহ কমে যাচ্ছে। বর্তমানে গোমতী এতটাই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে যে খরস্রোতা নদীটি এখন শুষ্ক মৌসুমে মৃতপ্রায়। গোমতীপারের বিস্তীর্ণ জনপদে ব্যাহত হয় চাষাবাদ, অন্যদিকে বর্ষায় সৃষ্টি হয় বন্যা ও জলাবদ্ধতা। দুই মৌসুমেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় জনপদ।
অবৈধ বাঁধ আর নাব্যতা সংকটে পানিপ্রবাহ না থাকার কারণে সেই জনপদে নদীভিত্তিক বাণিজ্যও সংকুচিত হয়ে পড়েছে। নদীটি খনন এবং অবৈধ বাঁধ অপসারণে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হলে আসছে শুষ্ক মৌসুম ও বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ কমবে গোমতীপারের চার উপজেলার মানুষের। ভাগ্য বদলাবে এ অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন ও নদীভিত্তিক বাণিজ্যের। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

নাহিদুল ইসলাম গাজী

শিক্ষার্থী, ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, গাইবান্ধা

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সেতুর কাজ বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

শেয়ার
সেতুর কাজ বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার দুই গ্রাম খরনদ্বীপ ও চরনদ্বীপ। এই দুই গ্রামের লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগ লাঘব করে আসছিল প্রায় ৫০ বছরের প্রাচীন কেরানি বাজার সেতু। পুরনো এ সেতুটি চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সংস্কারের জন্য ৪২ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটির পুনর্নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

প্রায় চার কোটি ৫৬ লাখ টাকার ব্যয় নির্ধারণ করে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় গত চার বছর আগে। অথচ চার বছরে বর্তমানে ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ বন্ধ রেখে ঈদের আগে ঠিকাদার লাপাত্তা। নির্মাণাধীন সেতুটি নির্মাণের সময় জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতুর বিকল্প হিসেবে খালের ওপর কাঠ ও বাঁশের সাঁকোটিও গত ১ জুলাই থেকে দেবে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এ সেতুটি খরনদ্বীপ শ্রীপুর থেকে শহরে যাতায়াতের একমাত্র পথ। যান চলাচল বন্ধ থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যেকোনো মুহূর্তে এখানে বড় দুর্ঘটনা গঠতে পারে। জনসাধারণের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়াছে এলাকাবাসী।

সাবের আহমদ রিজভী

চরনদ্বীপ, বোয়ালখালী

মন্তব্য

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিন

শেয়ার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিন

সম্প্রতি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার মধ্যে একরকম সাপ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এখন সাপের প্রজননের সময় চলছে। ইদানীং ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপের উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। রাস্তার পাশে, আবাসিক এলাকায়, এমনকি হলের ওয়াশরুমেও বিষধর সাপ দেখা গেছে।

এটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপকভাবে নিরাপত্তাজনিত আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অযাচিত ঝোপঝাড় বেড়ে উঠেছে, যেখান দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করে। ক্যাম্পাসজুড়ে যথেষ্ট আলোস্বল্পতা রয়েছে। ফলে রাতের বেলা শিক্ষার্থীদের চলাচল অত্যন্ত অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
ক্যাম্পাসে নেই কোনো সাপ উদ্ধারকারী দল। এ ছাড়া ক্যাম্পাস থেকে শহরের হাসপাতাল অনেকটা দূরে হওয়ায় সাপের কামড়ের চিকিৎসাব্যবস্থাও এখানে অনিশ্চিত। এমতাবস্থায় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সবাইকে অত্যন্ত সচেতনতা অবলম্বন করে চলতে হবে।

 

মো. জাহিদ হাসান

শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

মন্তব্য

ইন্দের হাট-মিয়ার হাট সংযোগ সেতুতে জনদুর্ভোগ

শেয়ার
ইন্দের হাট-মিয়ার হাট সংযোগ সেতুতে জনদুর্ভোগ

পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার ইন্দের হাট ও মিয়ার হাট। কিন্তু এই দুই গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সংযোগকারী একমাত্র সেতুটি আজ জনদুর্ভোগের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে রয়েছে একাধিক আধুনিক প্রাইভেট হাসপাতাল এবং স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু সংকীর্ণ সেতু পেরিয়ে দ্রুত হাসপাতালে রোগী নেওয়া প্রায় অসম্ভব।

অনেক শিক্ষার্থী প্রতিদিন জ্যামের কবলে পড়ে নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছতে পারে না। এতে শিক্ষা ও চিকিৎসা দুই খাতেই ব্যাঘাত ঘটছে।

সেতুটির প্রস্থ এতই সীমিত যে একটি ব্যাটারিচালিত অটো উঠলেই সেতুর দুই পাশে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে প্রতিটি ক্ষেত্রে।

শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে হাটুরে, রোগী কিংবা ব্যবসায়ীসবাই এই দুরবস্থার শিকার।

শুধু বাজারকেন্দ্রিক নয়, এর এক পাশে বিসিক শিল্প নগরী, অন্য পাশে ফেরিঘাট। সেতু এতই সরু যে বড় কোনো পণ্যবাহী যান চলাচল করতে পারে না। এই দীর্ঘমেয়াদি জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে সেতুটির দ্রুত সংস্কার বা নতুন একটি প্রশস্ত ও আধুনিক সেতু নির্মাণ।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি, এলাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে যেন দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সাব্বির হোসেন মিরাজ

শিক্ষার্থী, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল

মন্তব্য

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিন

শেয়ার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিন

সম্প্রতি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার মধ্যে একরকম সাপ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এখন সাপের প্রজননের সময় চলছে। ইদানীং ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপের উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। রাস্তার পাশে, আবাসিক এলাকায়, এমনকি হলের ওয়াশরুমেও বিষধর সাপ দেখা গেছে।

এটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপকভাবে নিরাপত্তাজনিত আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অযাচিত ঝোপঝাড় বেড়ে উঠেছে, যেখান দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করে। পুরো ক্যাম্পাসে আলোস্বল্পতা রয়েছে। ফলে রাতের বেলা শিক্ষার্থীদের চলাচল অত্যন্ত অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
ক্যাম্পাসে নেই কোনো সাপ উদ্ধারকারী দল। এ ছাড়া ক্যাম্পাস থেকে শহরের হাসপাতাল অনেকটা দূরে হওয়ায় সাপের কামড়ের চিকিৎসাব্যবস্থাও এখানে অনিশ্চিত। এমতাবস্থায় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সবাইকে অত্যন্ত সচেতনতা অবলম্বন করে চলতে হবে।

মো. জাহিদ হাসান

শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ