<p style="text-align:justify">নারায়ণগঞ্জে সেলিনা আক্তার সোনালি নামের এক সাংবাদিক মারধর ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার পাসপোর্ট অফিস মোড়ে কোটা আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহকালে জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা তাঁকে নির্যাতন করেন বলে তাঁর অভিযোগ। দুর্বৃত্তরা ম্যাচলাইট জ্বালিয়ে সেলিনার মুখও আগুনে ঝলসে দেয়।</p> <p style="text-align:justify">সেলিনা আক্তার ছাড়াও আরো দুই নারী সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। </p> <p style="text-align:justify">সেলিনা আক্তার নারায়ণগঞ্জের সোজাসাপটা নামের একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদকর্মী। এই নির্মম ঘটনার বিবরণ দিয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সেলিনা। </p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কোটা আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহে আমি নারায়ণগঞ্জ সাইনবোর্ড পাসপোর্ট অফিসের মোড়ে অবস্থান করছিলাম। এ সময় বাবুল নামের এক ব্যক্তি আমাকে ও আমার কিছু সহকর্মীকে বলেন, ‘সামনে আন্দোলন চলছে, ওখানে যাবেন না। কিন্তু আমি তাঁর কথা না শুনে সেখানে যাই। ওই সময় শত শত লোক আমাকে ঘিরে ধরে এবং প্রশ্ন করতে থাকে, আমি সাংবাদিক কি না। জবাবে আমি বলি, আমি সাংবাদিক। কোনো ভিডিও বা ছবি তুলব না। কথা শেষ না হতেই তারা আমাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করে। </p> <p style="text-align:justify">এক পর্যায়ে হামলাকারীরা আমার পরনের জামা ছিঁড়ে ফেলে। তারা ম্যাচলাইট জ্বালিয়ে আমার গাল পুড়িয়ে দেয়। পরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হামলাকারীদের কাছ থেকে আমাকে উদ্ধার করে একটি অটোরিকশায় তুলে দেন।’</p> <p style="text-align:justify">সাংবাদিক সেলিনা আরো অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, ফতুল্লাহ থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর ইকবালের লোকজন। এ ঘটনায় সেলিনা অসুস্থ হয়ে পড়ায় থানায় অভিযোগ করতে পারেননি। সুস্থ হয়ে তিনি থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানান।</p> <p style="text-align:justify">এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এমন ঘটনা কিছুতেই কাম্য নয়। সারা দেশেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে পড়ে দুর্বৃত্তরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালিয়েছে। সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের কাজে গেলেই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনার তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’<br />  </p>