<p>মেঘালয়ের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের নদনদীতে আবারও পানি বাড়ছে। সুরমা, যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে সীমান্ত এলাকার আভ্যন্তরীণ সড়ক ডুবে গেছে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আবারও বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা  দেখা দিয়েছে।</p> <p>গতকাল রবিবার (৩০ জুন) রাত থেকেই সুনামগঞ্জ তাহিরপুর সড়কের সূত্রখলা ১০০ মিটার ডুবন্ত সড়ক ডুবে সুনামগঞ্জের সঙ্গে তাহিরপুরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে। একইভাবে দোয়ারা বাজার উপজেলার বাংলাবাজার ও ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার আভ্যন্তরীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে এই দুই ইউনিয়নের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে। ফলে যাতায়াত দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।</p> <p>সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘সুনামগঞ্জে গতকাল সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই সময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে নদ নদীতে পানি বেড়েছে। দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতক পয়েন্টে একই নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপরে এবং সীমান্ত নদী যাদুকাটার পানি বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’</p> <p>বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।</p> <p>সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রও প্রস্তুত রয়েছে।’</p>