<p>গরিব ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের শাড়ি পেয়েছিলেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেই শাড়ি তিনি দিয়েছেন তাঁর এসএসসি-৯৫ দুই বন্ধুর স্ত্রীকে। কিন্তু দুই বন্ধু এই উপহার প্রত্যাখ্যান করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ বিষয়ে একটি পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়।</p> <p>এ বিষয়ে সায়েদুল হক সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজে লাইভে এসে বলেন, ‘প্রথম আলো এমন একটি পত্রিকা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে, তাদের ভালো চায় না। পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমান কাজী সালাউদ্দিনের মতো ব্যক্তিকেও আজীবন সম্মাননা দিয়েছে। সালাউদ্দিন যিনি দেশের ফুটবলকে শেষ করে দিয়েছেন।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘প্রথম আলো ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকানায় একটি প্রতিষ্ঠান। এ গ্রুপের অনেকেই হত্যা ও বিভিন্ন দুর্নীতির দায়ে জেল হাজতে আছেন।’</p> <p>প্রথম আলোর লোকদের চ্যালেঞ্জ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমি শপথ নিয়েছি আমি এমপি থাকা অবস্থায় কোন সম্পদের মালিক হবো না। এমনকি আমি আমার গ্রীন কার্ড পর্যন্ত জমা দিয়েছি। আপনারা কি বলতে পারবেন প্রথম আলোতে চাকরি করে কোনো ফ্ল্যাট, প্লটের মালিক হবেন না। ৭ লাখ মানুষের দায়িত্ব নিয়ে দেখেন?’<br />  <br /> প্রথম আলো অনলাইনে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৯টায় গরিব দুঃস্থদের শাড়ি দুই বন্ধুর কাছে, সমালোচনার মুখে ব্যারিস্টার সুমন শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবাদে সুমন রাত ১১টায় লাইভে এসে বলেন, ‘বাংলাদেশের মধ্যে আমি প্রথম আমার এলাকায় ৫০ বছর পরে প্রধানমন্ত্রী যে ঈদ উপহার দেন আমি লাইভে এসে বলেছি। আমি আমার লোকদের মাধ্যমে ঈদ সামগ্রী বন্টন করেছি। ঈদ সামগ্রী বিক্রি হয়েছে এমন কোন অভিযোগ ছিল না। এর মধ্যে দুটি শাড়ি যাদেরকে গরিব মনে করে দেওয়া হয়েছে তাঁরা দাবি করছেন তাঁরা গরিব না। এটাই হলো অভিযোগ।’ </p> <p>ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমি আমার এলাকার ইতিহাস পাল্টিয়ে দিতে কাজ করছি। যত টাকা পাচ্ছি জায়গায় জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছি। ব্যারিস্টারি করে যা আয় করছি তাও এলাকায় বিলিয়ে দিচ্ছি। আপনারা আসলে বাংলাদেশের ভালো চান না। আপনারা ভালো চাইলে সম্ভাবনাময় মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতেন।’</p>